ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ সন্ত্রাস-জঙ্গীরোধে সংস্কৃতি

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৮ আগস্ট ২০১৬

সমাজ ভাবনা ॥ এবারের বিষয় ॥ সন্ত্রাস-জঙ্গীরোধে সংস্কৃতি

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের জীবনের সঙ্গে সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। যদিও সময় আর মানুষের মনের রুচির সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতির ধরনেরও পরিবর্তন ঘটেছে। আগের মানুষ যে ধারায় সংস্কৃতি পালন করত, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে এসে আমরা হয়ত তার থেকে ভিন্ন ধারায় সংস্কৃতি পালন করছি-এই যা পরিবর্তন। তবে সবসময়ই সংস্কৃতির কাজ হলো মানুষের মনে আনন্দ বিনোদন সঞ্চার করা, মানুষের চিন্তাশক্তিকে বিকশিত করা, মানুষের মনে মানবিক মূল্যবোধ তৈরি করা। কিন্তু কোন কারণে যদি কেউ সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন, তবে তার মনে যেমন আনন্দ বিনোদন তৈরি হবে না, তেমনি তার মধ্যে থাকবে না মানবিক মূল্যবোধও। আর যে মানুষের মনে আনন্দ বিনোদন বা মানবিক মূল্যবোধ থাকে না, তার মধ্যে ভালবাসাও থাকে না। আর ভালবাসাবিহীন মানুষ ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে হিংস্র পশুর সমতুল্য। সে চাইলে মানবতাবিরোধী যে কোন কাজ করে ফেলতে পারে। আমাদের সমাজে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরের কাগজ খুললে দেখা যায়, সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদীদের কর্মকা-ের বিভিন্ন খবর। আর যারা এসব অপকর্ম করে, দেখা যায়, এদের বেশিরভাগই তরুণ। এরাই দিনে দুপুরে সন্ত্রাসী কর্মকা- করছে, বিভিন্ন জায়গায় বোমা ফেলছে। এরা অত্যন্ত উগ্রমানসিকতার হয়। এর কারণ ঘাটলে দেখা যাবে, এদের কেউই সংস্কৃতিমনা নয়, এমনকি এরা সংস্কৃতিকে ভালও বাসে না। আর তাই এদের মনে ধীরে ধীরে উগ্রমানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে ছোটবেলা থেকে। তাই দেশে সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদ কমিয়ে আনতে হলে অবশ্যই সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে আর ধীরে ধীরে মানুষকে সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে হবে। আর এ কাজের শুরু হতে পারে আমাদের পরিবার থেকেই। সরকারী পি সি কলেজ, বাগেরহাট থেকে
×