ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আজহারের এক ফোনেই ইউনুসের ডাবল সেঞ্চুরি!

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৭ আগস্ট ২০১৬

আজহারের এক ফোনেই ইউনুসের ডাবল সেঞ্চুরি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাম্প্রতিক বাজে সময় কাটিয়ে ফর্মে ফিরেছেন ইউনুস খান। দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি (২১৮ রান) হাঁকিয়ে ওভাল টেস্টে জিতিয়েছেন দলকে (১০ উইকেটে)। যার ওপর ভর করে পিছিয়ে থাকা সিরিজ ২-২এ ড্র করতে পেরেছে পাকিস্তান। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়েও সেরা পাঁচে উঠে এসেছেন তিনি। অথচ আগের তিন টেস্টে তাকে সেভাবে খুঁজে পাওয়া যচ্ছিল না। ছয় ইনিংসে সাজঘরে ফিরেছেন ৩৩, ২৫, ১, ২৮, ৩১ ও ৪ রান করে! একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। মজার বিষয়, ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এমন রাজীকয়ভাবে ফর্মে ফেরার রহস্য জানিয়ে ৩৮ বছর বয়সী ইউনুস বলেছেন, অবদানটা নাকি মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনের, সাবেক ভারত অধিনায়কের একটা ফোন কলেই এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো! ‘ওভাল টেস্ট শুরুর আগে আজহার ভাইয়ের কাছ থেকে একটা ফোন পাই। তিনি আমাকে কিছু উপদেশ দেন, ইংল্যান্ড সফরে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এই ডাবল সেঞ্চুরি পেতে যেটি আমাকে মানসিকভাবে খুব সাহায্য করেছে। এজন্য অবশ্যই তার কাছে কৃতজ্ঞ।’ এ প্রসঙ্গেই এক পাকিস্তানী সাংবাদিককে আজহার উদ্দিন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে সিরিজের শুরু থেকে ইউনুসের ব্যর্থতায় খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। কারণ আমি জানি ও বড় মাপের ব্যাটসম্যান। শেষ টেস্টের আগে তাই নিজে থেকেই ফোন করেছিলাম।’ কাকতালীয়, সিরিজ নির্ধারণী চতুর্থ ও শেষ টেস্টে পাকিদের জয়টা আসে তাদের ৭০তম স্বাধীনতা দিবসে। তবে অনেক কিছু নিয়ে বিরোধ থাকলেও ক্রিকেট যে অন্য উচ্চতায় আজহার-ইউনুসের ঘটনা তারই প্রমাণ। আধুনিক পাকিস্তান তো বটেই, ইউনুস দেশটির ইতিহাসেরই অন্যতমসেরা ব্যাটসম্যান। কিন্তু ইদানিং ব্যাডপ্যাচ তাকে পেয়ে বসেছিল। সেঞ্চুরি প্রায় এক বছর আগে, আমিরাতে গত বছর অক্টোবরে সর্বশেষ তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর আট ইনিংসে নেই কোন হাফসেঞ্চুরিও! ওভালে নিজের ৩২তম সেঞ্চুরিটিকে ষষ্ঠ মতো ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেন তিনি। ফিরে পান আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজের হারানো পঞ্চম স্থান। শনে মিলারের আলোচিত ‘ঝাঁপ’ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কখনও কি শুনেছেন ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডে দৌড় প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে সমাপ্তি রেখার কাছাকাছি গিয়ে পরিপূর্ণভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে? হ্যাঁ, এমন অবিশ্বাস্য কা-ই ঘটিয়েছেন একজন। তিনি মিলার। শনে মিলার। মধ্য আমেরিকার পুঁচকে দ্বীপদেশ বাহামার প্রমীলা দৌড়বিদ তিনি। চলমান রিও অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটার দৌড় ইভেন্টে তিনি জিতেছেন সোনার পদক। তাও আবার এই ইভেন্টে সবচেয়ে ফেবারিট যুক্তরাষ্ট্রের এ্যালিসন ফেলিক্সকে হারিয়ে। কিন্তু হারাতে গিয়ে তিনি যা করেছেন, তা বহু বছর ক্রীড়ামোদীদের কাছে আলোচনার খোরাক হয়ে থাকবে। কি করেছেন মিলার? দৌড় শুরুর প্রথম থেকেই সবার আগে ছিলেন শনে। যখন ২০০ মিটার সবাই পার হয়, তখনই নিজের দৌড়ের গতি বাড়িয়ে দেন এ্যালিসন। আস্তে আস্তে তিনি ব্যবধান কমিয়ে আনতে থাকেন শনের সঙ্গে। দৌড়ের বাকি যখন ৫০ মিটার, তখন দুজনেই সমান্তরালে এসে পড়েন। দর্শকরা ধরেই নেন, নয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও অলিম্পিকে চার স্বর্ণ জয়ী অভিজ্ঞ এ্যালিসনই জিততে যাচ্ছেন দৌড়। একসময় দৌড়ের বাকি ছিল শেষ ১০ মিটার। খালি চোখে মনে হচ্ছিল শনেকে পেছনে ফেলে সামান্য একটু এগিয়ে গেছেন এ্যালিসন। শেষের ২ মিটার। হঠাৎই দেখা গেল ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণকলি শনে ঝাঁপ দিয়ে সমাপ্তি রেখা ছুঁয়ে ফেলেছেন। পড়ে গেছেন হুড়মুড় করে! ঘটনা চাক্ষুস করে দর্শকদের চোখ ততক্ষণে হয়ে গেছে ছানাবড়া! একটু পরেই স্কোরবোর্ডে ভেসে উঠল ৪৯.৪৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন শনে! ৪৯.৫১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন এ্যালিসন।
×