ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাতুড়িকন্যা আনিতার দাপুটে দুই রেকর্ড...

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৭ আগস্ট ২০১৬

হাতুড়িকন্যা আনিতার দাপুটে দুই রেকর্ড...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এই তো কদিন আগেই (৮ আগস্ট) ৩১ বছর পূর্ণ হয়েছে। জন্মদিনটা সেভাবে পালন করতে পারেননি। মনে ছিল টেনশন। কারণ অলিম্পিক গেমস। সপ্তাহখানেক পর সব টেনশন গায়েব। মনে তার অফুরান চিত্তসুখ। কারণ জন্মদিনের সেরা উপহারটা পেয়ে গেছেন তিনি। কিভাবে? রিও অলিম্পিকে মহিলাদের হ্যামার থ্রো (হাতুড়ি নিক্ষেপ) ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতে (৮২.২৯ মিটার)। তাও সেটা আবার বিশ্বরেকর্ড গড়ে! এ যেন জন্মদিনের জোড়া উপহার। এখন বলুন, এর চেয়ে ভাল উপহার আর কি হতে পারে? যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি পোলিশ হাতুড়িকন্যা আনিতা লোডারচেক। তিনি হচ্ছেন ইতিহাসের প্রথম হ্যামার থ্রোয়ার, যিনি ৮০ মিটারের বেশি দূরত্বে হ্যামার থ্রো করেছেন। অনেকেই তাকে অভিহিত করেছেন সর্বকালের সর্বসেরা মহিলা হ্যামার থ্রোয়ার হিসেবে। গত ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে অবশ্য কাক্সিক্ষত সোনা জিততে পারেননি ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং পাক্কা ১০০ কেজির অধিকারী আনিতা। এবার পেরেছেন। এবং সেটা দাপটের সঙ্গেই। সুস্পষ্ট ব্যবধানে পেছনে ফেলেন চীনের ঝ্যাং ওয়েনজু (৭৬.৭৫, ২০১২ আসরে চতুর্থ হয়েছিলেন) এবং গ্রেট ব্রিটনের সোফি হিচনকে (৭৪.৫৪)। নিজের বিশ্বরেকর্ড নিজেই ভেঙ্গেছেন আনিতা! ২০১৫ সালে চীনের বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৮১.০৮ মিটার স্কোর গড়েছিলেন। রিওতে এবার সেটাই ভাঙ্গলেন তিনি। আরও মজার বিষয়- বিশ্বরেকর্ড গড়ার আগে এই ইভেন্টেই অলিম্পিক রেকর্ড গড়েন আনিতা! মোট পাঁচবার হ্যামার থ্রো করেন। নিজের দ্বিতীয় থ্রোতে স্কোর গড়েন ৮০.৪০ মিটার। ভেঙ্গে দেন ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে রাশিয়ার তাতিয়ানা লিসেনকোর ৭৮.১৮ মিটারের রেকর্ডটি। তাতিয়ানার কাছেই সেবার হেরে রৌপ্যপদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল আনিতাকে। ‘জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তবে দু-দুটি রেকর্ড ভাঙবো, এসব মাথায় রাখিনি। কোন চাপ নিইনি। স্বর্ণ জিতে দারুণ খুশি। গ্যালারিতে আমার মা-বাবা এবং স্বদেশী দর্শকদের অবিরাম উৎসাহ জোগানো ... সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে ধরণীর সবচেয়ে সুখী নারী আমিই!’ স্বর্ণজয়ের পর আনিতার অভিব্যক্তি। এদিকে মেয়েদের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেস দূরপাল্লার দৌড় ইভেন্টে এশিয়ান রেকর্ড (৮ মিনিট ৫৯.৭৫ সেকেন্ড) গড়ে সোনা জিতেছেন বাহরাইনের রুথ জেবেত। কেনিয়াতে জন্ম নেয়া ১৯ বছর বয়সী এ কৃষ্ণকলি ২০১৩ সালে বেছে নেন বাহরাইনের নাগরিকত্ব। স্বর্ণ জিততে তিনি পেছনে ফেলেন তারই স্বদেশী আরেক কেনিয়ান হাইভিন জেপকেমোরি এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমা কুবার্নকে। মেয়েদের ম্যারাথন সাঁতারে (১০ কিমি) হল্যান্ডের শ্যারন ভ্যান রাওয়েন্ডাল স্বর্ণ, ইতালির র‌্যাচেল ব্রুনি রৌপ্য এবং ব্রাজিলের পলিয়ানা ওকিমোতো তাম্রপদক জেতেন। এ ইভেন্টে ফ্রান্সের অরিলে মুলারকে ‘ডিসকোয়ালিফাইড’ ঘোষণা করা হয়। অরিলের অপরাধ- দ্বিতীয় স্থানে থাকা অবস্থায় তিনি পানির নিচে ধাক্কা মারেন ইতালির র‌্যাচেলকে। পরে মুলারকে বাদ দিয়ে র‌্যাচেলকেই রুপার পদক দেয়া হয়। একইভাবে চতুর্থ স্থানে থাকা পলিয়ানাও পান তামা। মেয়েদের অশ্বারোহী ইভেন্টের ব্যক্তিগত ড্রেসেজ ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জিতেছেন গ্রেট ব্রিটনের চার্লোট ডুজারডিন। ২০১২ অলিম্পিকেও স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি।
×