ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াতের সঙ্গে কোন বিশেষ সম্পর্ক নেই ॥ তুর্কি রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৭ আগস্ট ২০১৬

জামায়াতের সঙ্গে কোন বিশেষ সম্পর্ক নেই ॥ তুর্কি রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোন ইচ্ছা নেই তুরস্ক সরকারের। ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই মনে করছে তুরস্ক। এছাড়া বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তুরস্কের কোন বিশেষ সম্পর্ক নেই। মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওয়াসতুর্ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। গত ১৫ জুলাই তুরস্কের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ও বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য ঢাকার তুরস্কের দূতাবাস রাজধানী গুলশানের একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তুরস্ক সরকার বারবার কেন প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ডেভরিম ওয়াসতুর্ক বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোন ইচ্ছা তুরস্ক সরকারের নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে তুরস্কে মৃত্যুদ- বিলোপ করা হয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে এ অবস্থান থেকেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছিলাম। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তুরস্ক সরকারের বিশেষ কোন সম্পর্ক রয়েছে কিনা- জানতে চাইলে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের সমান সম্পর্ক রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমাদের কোন বিশেষ সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদ-ের বিরোধিতা করলেও সেই তুরস্ক এখন নিজ দেশেই মৃত্যুদ- বহালের প্রচেষ্টা করছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কে মৃত্যুদ- ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে সেখানকার পার্লামেন্টই সিদ্ধান্ত নেবে। তুরস্কে মৃত্যুদ- ফিরিয়ে আনার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় বলেও জানান তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে তুরস্কের প্রায় ৩০০ কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ঢাকায় তুর্কি দূতাবাসে কর্মরত তিনজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে এক কূটনীতিক দম্পতি তুরস্ক গিয়ে পরে অন্য দেশে চলে গেছেন। অন্য কূটনীতিক তুরস্কে ফিরে গেছেন। ডেভরিম ওয়াসতুর্ক বলেন, তুরস্কে গত মাসের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের মদদদাতা ফেতুল্লাহ গুলেনের বিশ্বের ১৬০টি দেশে সমর্থক রয়েছে। বাংলাদেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কিছু প্রতিষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি আছে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। তুরস্কের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ যেমন গণতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে চলছে, তুরস্কও ঠিক তেমনি গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে চলছে। তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতি দিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছেন। সেজন্য তুরস্ক সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
×