ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের দাবি

মারজানের আরও সাত আট সঙ্গী শনাক্ত, দেশেই আছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৭ আগস্ট ২০১৬

মারজানের আরও সাত আট সঙ্গী শনাক্ত, দেশেই আছে

শংকর কুমার দে ॥ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার মাস্টারমাইন্ড নুরুল ইসলাম ওরফে জঙ্গী সংগঠনের সাংগঠনিক নাম মারজানের পরিচয় পাওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। শুধু তার পরিচয়ই নয়, জঙ্গী হামলায় তার সহযোগী আরও সাত-আট জনের সাংগঠনিক নাম পেয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। জঙ্গী হামলায় যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই দেশের ভেতরেই আছে, তারাও জঙ্গী হামলায় অংশগ্রহণ করেছে। এ হামলার আরেক মাস্টারমাইন্ড হাসনাত রেজা করিমকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হলি আর্টিজানে নিহত হওয়ার আগে জঙ্গী নিবরাস ইসলামের সঙ্গে এ্যাপসের মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদানের সময় মারজানের প্রসঙ্গটি চলে আসে। জঙ্গী হামলার অপর দুই মাস্টারমাইন্ড চাকরিচ্যুত (মেজর) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ মারজান কোথায় তা এখনও ধোঁয়াশায় আচ্ছাদিত। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসনাত রেজা করিম জঙ্গী হামলায় নিহত হওয়ার আগেই জঙ্গী নিবরাস ইসলামকে এ্যাপসের মাধ্যমে যে বিশেষ বার্তা (মেসেজ) পাঠিয়েছিলেন তাতে মারজানের নামের প্রসঙ্গটি পায় তদন্তকারীরা। হাসনাত করিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসেট থেকেও হত্যাকা-ের পর নিহতদের ছবি ও ভিডিও পাঠানোর প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে দেখানো হয়েছে। গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার আগেই জঙ্গী নিবরাস ইসলামের সঙ্গে মেসেজের মাধ্যমে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করেন হাসনাত করিম। এজন্য হাসনাত করিম তার ল্যাপটপ থেকে উইকার এ্যাপস ব্যবহার করেন। কঠোর গোপনীয়তা রক্ষার অংশ হিসেবে আনকমন ইউকার এ্যাপস ব্যবহার করা হয়। ইংরেজীতে লেখা তথ্য আদান-প্রদানের এক স্থানে জঙ্গী নেতা মারজানের প্রসঙ্গ আসার পর জঙ্গী হামলায় আরও জঙ্গীর অংশগ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তবে এ মারজান কে তখনও তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অন্ধকারে ছিল। পুলিশের দাবি, আরও ৭-৮ জন শনাক্ত ॥ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান হামলার ঘটনায় তামিম চৌধুরী, মারজান ছাড়া আরও সাত-আট জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, এ সাত-আট জনের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। গুলশান হামলায় তাদের বিভিন্ন ধরনের ভূমিকার তথ্য পাওয়া গেছে। তারা সবাই দেশের ভেতরেই আছে। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি, ছবিও পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, পুলিশের তরফ থেকে গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মারজানের ছবি প্রকাশ করে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে। মারজানের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে তাকে চট্টগ্রাম এলাকায় দেখা গিয়েছিল বলে পুলিশের ‘হ্যালো সিটি’ এ্যাপে মানুষ তথ্য দিয়েছে। জঙ্গী হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম উঠে আসা তামিম চৌধুরী ও জিয়াউল হক গ্রেফতার আছেন কিনাÑ জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় শুধু হাসনাত রেজা করিম গ্রেফতার আছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তামিম ও জিয়া কোথায় আছে বা তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে কি-না তা জানা নেই। হাসনাত করিমের জড়িত থাকার বিষয়ে কিভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশÑ এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, হাসনাত করিমের পূর্ব ইতিহাস, জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তার জড়িত থাকা, ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতি, তার কিছু ছবি দেখে এমনটা মনে হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ও বর্তমানে ?পুলিশের রিমান্ডে থাকা তাহমিদ খান সম্পর্কে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তার সম্পর্কে এখনও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার দ্বিতীয় দফা রিমান্ড চলছে। গুলশান হামলার ঘটনায় মারজানের দায়িত্ব কী ছিলÑ এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মারজানকে গ্রেফতার করা যায়নি। গ্রেফতার করলে এ ব্যাপারে জানা যাবে। যেভাবে পরিচয় মেলে মারজানের ॥ গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার মাস্টারমাইন্ড মারজানের (সাংগঠনিক নাম) নাম পাওয়া গেলেও তার পরিচয় উদ্ঘাটনে তৎপর হয় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। তার বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) হ্যালো সিটি এ্যাপস ও ডিএমপি নিউজে নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যই পুলিশ মারজানের ছবিটি প্রকাশ করে। কিন্তু কে এই মারজান? পুলিশ জানিয়েছে, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সময় জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী পাঁচ হামলাকারীকে নিয়ে গুলশানে যান। তামিমের সঙ্গে মারজানও ছিলেন। এর পর পাঁচজনের গ্রুপটি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে হেঁটে হলি আর্টিজানে প্রবেশ করে। তখন মারজান কল্যাণপুরের জঙ্গী আস্তানায় চলে আসেন। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গীরা গোপন এ্যাপসের মাধ্যমে যে ছবি বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছিল সে ছবি মারজানের কাছে এসেছিল। তিনি ওই লিংক ওপেন করেছিলেন। মারজান তার জেএমবি থেকে দেয়া সাংগঠনিক নাম। গত সপ্তাহে গ্রেফতারকৃত এক জঙ্গীর মোবাইল থেকে মারজানের ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই জেএমবি সদস্য পুলিশকে জানিয়েছেন, মারজান নামেই জঙ্গী সংগঠনে তার পরিচয়। তার বাড়ি কোথায়, কী করেন তা তারা জানেন না। তখন পুলিশ জানিয়েছে, জেএমবির প্রচার বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মারজান। গুলশান হামলার পর জঙ্গীরা যে নাশকতার ছবি পাঠিয়েছিল, তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার কাজ ছিল তার। জঙ্গীদের সঙ্গে এ্যাপসের মাধ্যমে তিনি কথাও বলেছিলেন। হলি আর্টিজানের নাশকতার ভেতরের ছবি মারজানের কাছে পাঠানোর পর তার প্রশংসা করেছিলেন মারজান। মারজানের প্রশংসা পেয়ে জঙ্গীরাও খুশি হয়েছিল। গোয়েন্দারা জানায়, মারজান কল্যাণপুর বসে পুরো গুলশানের হামলাটি মনিটরিং করেন। তবে কল্যাণপুরে তিনি হামলার পর আর অবস্থান করেননি। জেএমবির অন্য সদস্যদের কাউন্সেলিংও করাতেন মারজান, ঢাকার গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ হিসেবে পুলিশ যে মারজানের সন্ধান চেয়ে নাম ও ছবি প্রকাশ করে। কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) হ্যালো সিটি এ্যাপস ও ডিএমপি নিউজে মারজানের ছবিসহ তার পরিচয় উদ্ঘাটনের জন্য নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানানোর তিন দিনের মধ্যেই তার পরিচয় উদ্ঘাটিত হয়। ছবি দেখেই পাবনায় জানাজানি হয় ॥ গত সপ্তাহে পুলিশ দাবি করে, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনায় মূল হোতাদের অন্যতম মারজানের বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট তথ্য চেয়ে তার ছবি প্রকাশ করে। এতেই দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হলে মারজানের পৈত্রিক বাড়ির এলাকা পাবনায় ঘটনার জানাজানি হয়। ভিড় করে তার গ্রামের বাড়িতে। মারজানের বিষয়টি জেনে যায় তার পরিবারও। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ভিড় করেন তার গ্রামের বাড়িতে। তখনই তার নাম প্রকাশ হয় মারজান সাংগঠনিক নাম হলেও তার প্রকৃত নাম গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ নুরুল ইসলাম। মারজানের বাবা নাজিমউদ্দিন। তার মায়ের নাম সালমা খাতুন। পাঁচ বোন, পাঁচ ভাই। ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয় মারজান। মারজানের বাড়ি পাবনার সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রায় আট মাস ধরে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। গণমাধ্যম ও পত্রিকায় ছবি প্রকাশের পর মারজান জঙ্গী হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার। হোসিয়ারি শ্রমিক নিজামের ১০ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মারজান আর্থিক অনটনের মধ্যেই বেড়ে ওঠেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মারজানের বাবা নিজামউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য, সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে, তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না। মারজানের বোন আফিয়া সুলতানা আয়শা বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে সাদা পোশাক পরিহিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়। একই কথা জানিয়েছেন প্রতিবেশী সাগর হোসেন রনিসহ অন্যরাও। পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির দাবি করেন, তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না। ঢাকা থেকে একটি দল এসেছে। তারাই এ নিয়ে কাজ করছে। গুলশান হামলার নেপথ্যের ক্লু বের হচ্ছে ॥ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু বের হয়ে আসছে। গুলশান হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত পাঁচ জঙ্গীর মধ্যে নিবরাস ইসলাম অন্যতমদের একজন। সেও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। হাসনাত করিম হলি আর্টিজানে হামলার পুরো বিষয়টি নিজে উপস্থিত থেকে তদারকি (মনিটরিং) করেন। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন তিনি। একপর্যায়ে অপারেশন থান্ডারবোল্ট শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে তিনি সপরিবারে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন। দ্বিতীয় দফায় হাসনাত করিমকে শনিবার ৮ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। এ রিমান্ড সময়ের মধ্যে তার কাছ থেকে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী পেয়ে যেতে পারেন বলে তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে। প্রসঙ্গত, ১ জুলাই রাতে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গীরা। তারা ১৭ বিদেশীসহ ২০ জনকে হত্যা করে। জঙ্গীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রথমেই হামলায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরদিন সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন ‘থান্ডারবোল্টে’ সন্দেহভাজন একজনসহ ৬ জঙ্গী নিহত হয়। এছাড়া জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় ৩২ জনকে। আহতদের মধ্যে পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শাওন নামের আরেকজন। বাংলাদেশের গোয়েন্দা দল কলকাতায় ॥ গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় পৌঁছেছে। সোমবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে তারা রওনা হয়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‌্যাবের প্রতিনিধি আছেন। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিনিধি দলটি জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম সন্দেহভাজন আবু সুলেমান ওরফে মোহাম্মদ সুলেমানের বিষয়ে খোঁজ নিতে কলকাতায় এসেছেন। ভারতীয় গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, সুলেমান নামের (৩০) ওই যুবক গুলশান ও কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম হোতা। এমনকি কিশোরগঞ্জে হামলার সময় সুলেমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মুসার ভাষ্য অনুযায়ী, মোবাইল ফোনে ওই ভিডিও রেকর্ডিং করার কথা ছিল এবং সুলেমান বলেছিল ওই ভিডিও বাংলাদেশেও পাঠানো হবে। তার আগেই অবশ্য মুসা ও তার দুই সঙ্গী ধরা পড়ে। কিন্তু সেই সুলেমানের খোঁজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, বাংলাদেশী নাগরিক ওই যুবকের প্রকৃত নাম আদৌ সুলেমান নয়। মুসা তাকে প্রথমে ‘জিহাদী জন’ সাঙ্কেতিক নামে চিনত। পরে সে মুসাকে জানায়, তার নাম আবু সুলেমান। মুসাকেও ওই যুবক তার আসল নাম বলেনি বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
×