ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আহত ১০

ক্লাসে মোবাইল ব্যবহারে বাধা দেয়ায় শিক্ষকদের ওপর হামলা

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৭ আগস্ট ২০১৬

ক্লাসে মোবাইল ব্যবহারে বাধা দেয়ায় শিক্ষকদের ওপর হামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৬ আগস্ট ॥ গোপালগঞ্জে একটি স্কুলের শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধা দেয়ায় প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে এক ছাত্র ও তার সহযোগীরা। এতে প্রধানশিক্ষকসহ ওই স্কুলের অন্তত ১০ শিক্ষক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার বিশ্বাস (৫৩) ও সহকারী শিক্ষক বনানী রায়কে (৩৫) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, সদর উপজেলার উলপুর পি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার আগেই নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৪ আগস্ট ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জামিল মীনা ওরফে জনি মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে যায়। প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার বিশ্বাস ক্লাস পরিদর্শনকালে ওই শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন দেখতে পেয়ে তার কাছ থেকে সেটা উদ্ধার করে শ্রেণী-শিক্ষকের কাছে রাখেন এবং স্কুল ছুটির পর ফোনটি তাকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে চলে যান। সে অনুযায়ী স্কুল ছুটির পর শ্রেণী-শিক্ষক শমসের আলী মোল্লা ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে দেন। কিন্তু এতে ওই ছাত্রের ক্ষোভ প্রশমন না হলে সে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাগ্বিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রধান শিক্ষক তাকে শাসন করলে জনি তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনার জের ধরে পরদিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী পালনের জন্য স্কুলে আসার পথে প্রধান শিক্ষককে বাধা দেয়। তারপরও ওই শিক্ষার্থীর ক্ষোভ মেটেনি। মঙ্গলবার সকালে ওই শিক্ষার্থী জনির নেতৃত্বে ১৪-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে উলপুর বাসস্যান্ড এলাকায় শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থী জামিল মীনা (জনি) উলপুর গ্রামের হোসেন মীনার ছেলে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছে এবং ওই শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র পালের নেতৃত্বে শিক্ষকরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাত করে নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করেন এবং ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরে প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ওই ছাত্রসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। নড়াইলে সংঘর্ষে কৃষক লীগ নেতা নিহত ॥ আহত ১০ নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ১৬ আগস্ট ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোহাগড়ায় উপজেলার পারমল্লিকপুর গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নূর ইসলাম মৃধা (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। নিহত নূর ইসলাম মল্লিকপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সাড়ে ১০টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পারমল্লিকপুর গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জলিল মৃধা এবং দুলাল ঠাকুরপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সকালে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠাকুরপক্ষের লোকজন নূর ইসলাম মৃধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত নূর ইসলামকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নড়াইল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে দুপুরে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
×