ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাত মাসে আয় ২৩ কোটি টাকা

রাজশাহী ও চাঁপাই সীমান্তে বেড়েছে শুল্ক আদায়

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৭ আগস্ট ২০১৬

রাজশাহী ও চাঁপাই সীমান্তে বেড়েছে শুল্ক আদায়

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করা ভারতীয় গবাদিপশু থেকে ২০১৫ সালে শুল্ক আদায় হয়েছিল ছয় কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। তবে চলতি বছরের সাত মাসে সেই শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় তিনগুণের বেশি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মতিউর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে গবাদিপশু পারাপার এবং শুল্ক আদায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনায় এটি সম্ভব হয়েছে। রবিবার বিজিবির রাজশাহী সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। মতিউর রহমান জানান, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২০১৫ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৯০ হাজার ৮৭টি গরু, ৪৭ হাজার ৮০৯টি মহিষ এবং ১৪টি উট, যা থেকে আয় হয়েছে ছয় কোটি ৭০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। অপরদিকে চলতি বছরের গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে এসেছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৮৮৩টি গরু, ৫০ হাজার ২২৬টি মহিষ এবং ১০টি ছাগল, যা থেকে শুল্ক আদায় হয়েছে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা। মতিউর রহমান জানান, বিগত সময়ে গরু আনা-নেয়ার ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। শুল্ক আদায়ে কোন শৃঙ্খলা ছিল না। এখন গরু-মহিষ পারাপারের জন্য বিট বা খাটালগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। খাটালগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুশৃঙ্খলতা ফিরিয়ে আনতে পারলে সীমান্ত হত্যা, অবৈধ পণ্যের পারাপার, পাচার, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদশ থেকে তথাকথিত জঙ্গীর গমনাগমনও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার কিছু মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে গরু আনার জন্য ভারতের সীমানায় প্রবেশ করে হত্যাকা-ের শিকার হয়। এমন কোথাও হয়নি যে বিজিবি বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে কাউকে হত্যা করেছে। যদি এ দেশের মানুষের সচেতনতা বাড়ানো যায়, সীমান্তে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে হয়ত একদিন শুনবেন, বিজিবির গুলিতে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, রাজশাহী সীমান্তে এবার গরু ব্যবস্থাপনায় (আমদানি) শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অবৈধভাবে গরু আনতে গিয়ে সীমান্তে একের পর এক প্রাণহানি ও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বিশেষ এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সীমান্তের আট কিলোমিটার এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ডের মধ্যে শুল্কবিহীন কোন গরু পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গরু পার করে নিয়ে আসা ব্যক্তিকে পাচারকারী হিসেবে আটক করে তার বিরুদ্ধে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। কোন অবস্থাতেই সীমান্ত দিয়ে রাতে গরু আনা যাবে না। যারা রাতে গরু আনবেন বিজিবি ধরেই নেবে তারা চোরাকারবারি।
×