ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিউজিকে তরুণদের বিশ্ব জয়

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৬ আগস্ট ২০১৬

মিউজিকে তরুণদের বিশ্ব জয়

জীবন একটা সত্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়, আর একটা সত্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যু মানুষের জীবন এই দুই সত্যের গ-িতে আবদ্ধ। প্রত্যেকটা মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি দীর্ঘ জীবন কামনা করে, এটা সহজাত। তবে অনেক ক্ষেত্রে সব জীবন দীর্ঘ হয় না হারিয়ে যায় দ্বিতীয় সত্যের আঁধারে। তাইতো অনিশ্চিত। জীবন মৃত্যুর ক্ষণ ও কাল! আমাদের চিরাচরিত ভাবনায় জন্ম, শৈশব, কৈশোর, যৌবন, বার্ধক্য প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা রূপ নিয়ে দেখা দেয়। জীবনের সব থেকে রঙিন ও বর্ণিল অধ্যায় হলো যৌবন। মানুষ জীবনের এই সময়টা উপলব্ধি করে এবং সব পারার দুঃসাহস দেখায়। আসলে তারুণ্যে সবই সম্ভব। এমনকি বিশ্বজয়! তবে এক্ষেত্রে যে যেভাবে নিজেকে আবিষ্কার করে এটাই মুখ্য। বর্তমান পৃথিবীতে খুবই অল্প বয়সে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার শুরু করে বাজিমাত করেছেন এমন তরুণদের সংখ্যা অনেক। সম্প্রতি কয়েকজন বিশ্বজয়ী তরুণদের নিয়ে এই আয়োজন। খুব ছোট থেকে সঙ্গীত বা মিউজককে ভালবেসে পরিণত বয়সের পূর্বেই কুড়িয়েছেন পৃথিবীজুড়ে জনপ্রিয়তার খ্যাতি। শেকু কাননি ম্যাসন তাদের মধ্যে একজন। বয়স সতেরো পেশায় পিয়োনিস্ট ও সুরকার। পাশাপাশি নটিংহাম শহরে ট্রিনিটি ক্যাথলিক স্কুলের ছাত্র। শেকুর দেয়া সুর ও পিয়ানোর কম্পোজ ইতোমধ্যে পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ দুই মেরুতেই পৌঁছে গেছে। নয় বছর বয়স থেকেই জিতে আসছেন মিউজকের উল্লেখযোগ্য পুরস্কার। কি রয়েল একাডেমির জুনিয়র স্কলারশিপ, কি নটিংহাম ইয়াং মিউজিসিয়ানের চ্যাম্পিয়নশিপ। মিউজিকে এ্যাওয়ার্ড অর্জনের সব ক্ষেত্রেই তার নাম বেশ উজ্জ্বল। তাইতো একটু বিভ্রান্ত হয়ে বলতে হয়, জন্ম কি তার মনিহার! কেননা জীবনের শুরুতে এত বিশাল বিশাল সলো কনসার্ট। টেলিভিশন প্রোগ্রাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিকবার স্কলারশিপ। তাইতো নিজেও বুঝছে না নিজের ভাললাগা ও ভালবাসার মধ্য দিয়ে কি সৃষ্টি করছেন। সম্প্রতি তিনি বিবিসি-ইয়াং মিউজিশিয়ান ২০১৬ এর এ্যাওয়ার্ড। এত কম সময়ে এ খ্যাতি! জীবন শুরুর প্রথম পর্বেই হয়ত বুঝেছেন মিউজিকই তার উপযুক্ত মনিহার! শন মেন্ডিস : বয়স ১৭ পেশায় গায়ক ও গীতিকার। যাকে বলা হয় এই সময়ের কানাডিয়ান হার্ট থ্রব ইয়াং সেলিব্রেটি। তাঁর প্রথম এ্যালবাম হ্যান্ডরাইটিং দিয়ে কাঁপিয়ে শুনিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। এই এ্যালবামের ংঃরঃপযবং গানটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের টপ চার্টে। জনপ্রিয় শেয়ারিং এ্যাপ্লিকেশন ভাইন এ ভিডিও পোস্ট করে ১ মাসের মধ্যে দর্শক ভিউতে রেকর্ড গড়ে ফেলেন। এমনকি তিনি ছিলেন ওই শেয়ারিং সাইটের তৃতীয় ফলোয়ার। এক কথায় হালের ক্রেজ। গায়ক এ্যান্ডু গ্যাটলার ২০১৪ তে অনলাইনে মেন্ডিসকে আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে মাত্র ১৪ বছর বয়সে লাইফ অব দ্য পার্টি গানটি বিলবোর্ডের ১০০ গানের মধ্যে ঞড়ঢ় ঞবিহঃুভরাব এ চলে আসে। এবং প্রশংসা কুড়ায় সবার কাছ থেকে। বয়স মাত্র সতেরো এরই মধ্যে সাফল্যের খুব উচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছেন এই ইয়াং হার্টথ্রব। পেয়েছেন, *ইৎবধশঃযৎড়মঁয অৎঃরংঃ ড়ভ ঃযব ুবধৎ, *ইবংঃ ঘবি অৎঃরংঃ *ঝঁসসবৎ সঁংরপ ঝঃধৎ গধষব এর মতো সব উল্লেখযোগ্য এ্যাওয়ার্ড। এলিসিয়া কারাসিওলো : বয়স ২০ পেশায় শিল্পী ও গীতিকার। এই সময়ের ইয়াং সুপারস্টার। অবশ্য পেশাগতভাবে সবাই তাকে এলিসিয়া কারা নামেই জানেন। ২০১৫ সালে ইপি এন্টারটেইনমেন্ট ও ডেফ জ্যাস রেকর্ডিং থেকে নো ইট অল (শহড়ি রঃ ধষষ) এ্যালবাম রিলিজের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী ইয়াংদের আলোচনার শীর্ষে চলে আসেন। পাশাপাশি এই এ্যালবামের সিøপার হিট (ঝষববঢ়বৎ যরঃ) গানটি ছিল আমেরিকা ও কানাডার টপচার্টে। ছোট বেলা থেকে কবিতা লেখা, গান গাওয়া, গীটার বাজানো এ সবই ছিল এলিসিয়ার বড় হওয়ার সরঞ্জাম। ১৩ বছর বয়স থেকেই নিজের গাওয়া গান নিজেই ইউটিউবে পোস্ট করতেন। তাঁর গাওয়া গান ও গান লেখার স্টাইল লর্ড রিহানা এবং নোরাহ জোনসের মতো গায়কদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এপ্রিল ২০১৫ সালে কসমোপ্লিটন, কমপ্লেক্স গানগুলো আবারও বিলবোর্ডের টপচার্টে উঠে আসে। তার পরবর্তী এ্যালবামে ঋড়ঁৎ ঢ়রহশ ধিষষং এর ঋড়ৎ রিষফ ঃযরহমং ভিডিওর জন্য পেয়ে যান জুলো এ্যাওয়ার্ডস। সব শেষ বিবিসি ইয়াং মিউজিশিয়ান ২০১৬-এর রানার আপের খেতাব অর্জন করেন। সবমিলে এ্যালিসিয়া কারা এই সময়ের একজন ইয়াং সুপারস্টার তাতে কোন সন্দেহ নেই। তারুণ্য এমন এক অদৃশ্য শক্তি যার দ্বারা দৃশ্যমান সব ধরা সম্ভব। তারুণ্যের এই ছোট ছোট গল্পগুলোই এর যোগ্য প্রমাণ। ব্যক্তিগত জীবন থেকে পৃথিবীর ইতিহাস সব বদলই সম্ভব তরুণদের তারুণ্যে।
×