ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লন্ডনের পর মুস্তাফিনার রিও জয়

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৬ আগস্ট ২০১৬

লন্ডনের পর মুস্তাফিনার রিও জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার রাশিয়া প্রত্যাশিত সাফল্য দেখাতে পারছে না রিও অলিম্পিকে। এর পেছনে অন্যতম কারণ দেশটির ১১৮ জন ক্রীড়াবিদ নিষিদ্ধ হওয়া। ঘোষিত ৩৮৯ জন ক্রীড়াবিদের দল থেকে রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার অনুমোদন পেয়েছেন শুধু ২৭১ জন। অধিকাংশ তারকা ক্রীড়াবিদ না থাকায় গত অলিম্পিকে দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ করা রাশিয়া এবার দশদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও পদক তালিকায় আছে ষষ্ঠ স্থানে। বড় কোন সাফল্য পাওয়ারও সুযোগ এখন কমে গেছে। বিশেষ করে ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হওয়া রাশিয়ার জন্য এখন ঘুরে দাঁড়ানো আরও কঠিন। তবে এর মধ্যে পুরো রাশিয়ার জন্য আরেকটি গৌরবময় সাফল্য এনে দিয়েছেন সুন্দরী আলিয়া মুস্তাফিনা। ২১ বছর বয়সী এ তরুণী জিমন্যাস্টিকসের আনইভেন বারস ইভেন্টে নিজের স্বর্ণপদক ধরে রেখেছেন। গত অলিম্পিকেও এ আকর্ষণীয় সুন্দরী স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। আনইভেন বারস ইভেন্টে মুস্তাফিনার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিযোগী ম্যাডিসন কোসিয়ান ও গ্যাবি ডগলাস। এবার লন্ডন অলিম্পিকের ধারাবাহিকতা শুরু থেকেই ধরে রেখেছিলেন মুস্তাফিনা। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত সে অলিম্পিকে তিনি জিতেছিলেন চারটি পদক। এবার ব্যক্তিগত অল-এরাউন্ড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ দিয়ে শুরু করেছিলেন। পরে দলগত ইভেন্টে রাশিয়ার হয়ে জয় করেন রৌপ্য। তবে মুস্তাফিনার মূল লক্ষ্য ছিল আনইভেন বারস ইভেন্টের দিকে। গত অলিম্পিকেও তিনি এ ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। এবার সেই সাফল্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল মস্কোর এ তরুণীর। পরীক্ষাটা বেশ কঠিনই ছিল তার জন্য। কারণ, ২০১৫ বিশ্ব জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপস আসরে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মার্কিন তরুণী কোসিয়ান। এবারও তিনি ফেবারিট হিসেবেই নেমেছিলেন আনইভেন বারস ইভেন্টে। শেষ পর্যন্ত ১৫.৯০০ স্কোর নিয়ে স্বর্ণপদক ধরেই রাখলেন মুস্তাফিনা। ১৫.৮৩৩ স্কোর নিয়ে কোসিয়ান রৌপ্য পান। আর হতাশ করেছেন আরেক মার্কিন তারকা ডগলাস। এবার অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে কপর্দকশূন্যই থাকলেন তিনি। ১৫.০৬৬ স্কোর নিয়ে তিনি হয়েছেন সপ্তম। জার্মানির সোফি শেডার ১৫.৫৬৬ স্কোর নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন। অলিম্পিকের আনইভেন বারস ইভেন্টে টানা দুটি স্বর্ণপদক জয় করা দ্বিতীয় জিমন্যাস্ট মুস্তাফিনা। এর আগে সভেতলানা খোরকিনা ১৯৯৬ ও ২০০০ সালের অলিম্পিকে এ ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তিনিও রাশিয়ান জিমন্যাস্ট। তবে এবার এই ইভেন্টের দিকে আরেকটি কারণে সবারই মনোযোগ ছিল। সেটা হচ্ছে ২০১৫ বিশ্ব আসরে চারজন জিমন্যাস্টের স্কোর টাই হয়ে গিয়েছিল। পরে টাইব্রেকার হয়নি, চারজনকেই স্বর্ণপদক দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে শুধু কোসিয়ান আর রাশিয়ার দারিয়া স্পিরিডোনোভাই ফাইনালে উঠেছিলেন। কোসিয়ান রৌপ্য জিতলেও আট প্রতিযোগীর মধ্যে সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে শেষ করেছেন স্পিরিডোনোভা।
×