ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিজ বাসভূমে স্কুলিংয়ের বীরোচিত প্রত্যাবর্তন

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৬ আগস্ট ২০১৬

নিজ বাসভূমে স্কুলিংয়ের বীরোচিত প্রত্যাবর্তন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিঙ্গাপুরের সাঁতারু জোসেফ স্কুলিং নিজ বাসভূমে ফিরেছেন বীরোচিত অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে। সিঙ্গাপুরের অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসের প্রথম স্বর্ণপদক বিজয়ী তিনি। কদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের জীবন্ত কিংবদন্তি মাইকেল ফেলপসকে হারিয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি। উল্লেখ্য, ফেলপসই তার সাঁতারের আদর্শ। গত শুক্রবার ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টের ফাইনালে স্বর্ণপদক করায়ত্ত করতে ২১ বছর বয়সী স্কুলিং সময় নেন ৫০.৩৯ সেকেন্ড। যা নতুন অলিম্পিক রেকর্ড। ‘জোসেফ, আমি তোমাকে ভালবাসি!’ সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরে বিমান থেকে স্কুলিং যখন নেমে লাউঞ্জে প্রবেশ করেন, তখন এক ভক্ত এমন বাক্য সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে চেঁচিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্কুলিংয়ের। হাত নেড়ে ভক্তদের অভিনন্দনের জবাব দেন স্কুলিং। তখন তার গলায় ছিল ঐতিহাসিক সেই সোনার পদকটি, আর পরনে ছিল টকটকে লাল রংয়ের জ্যাকেট। বিমান থেকে নেমে সবার আগে নিজের ৬৮ বছর বয়সী বাবা কলিন স্কুলারকে জড়িয়ে ধরেন স্কুলিং। কলিনের ইচ্ছে ছিল, রিওতে গিয়ে ছেলের খেলা দেখা। কিন্তু অসুস্থ থাকায় যেতে পারেননি। তবে ৬১ বছর বয়সী মা মে স্কুলিং ঠিকই ছেলের সঙ্গে রিওতে গিয়েছিলেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে হাসিমুখে একটি গ্রুপ ছবিও তোলেন স্কুলিং। এ সময় বিমানবন্দরে প্রায় ৫০০ ভক্ত শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন স্কুলিংকে। তাদের উদ্দেশে স্কুলিং বলেন, ‘যারা এখানে আমার ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। এই সোনার পদকটা আমার জন্য নয়, এটা আপনাদের সবার জন্য।’ এরপর বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার আগে অন্তত ঘণ্টাখানেক ধরে ভক্ত-সমর্থক-অনুরাগীদের অটোগ্রাফের আবদার মেটাতে হয় স্কুলিংকে। সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রীয় আইন হচ্ছে, এখানে ১৮ বছর হলেই যে কোন নাগরিককে দুই বছরের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কিন্তু স্কুলিং আগামী ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে সাঁতার প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেন, এজন্য তাকে আপাতত ওই সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এদিকে স্কুলিং এবং তার পরিবারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন।
×