স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে যে রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র ছিল তা উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আড়ালে থাকা প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি উঠছে উল্লেখ করে দ্রুত এ কমিশন গঠনেরও দাবি জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ।
সোমবার রাজধানীর মহাখালীর একটি হোটেলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এ সভার আয়োজন করে। রাশেদ খান মেনন বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকা- ব্যক্তিকে হত্যা নয়, এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল। আমরা ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার করতে পেরেছি। কিন্তু এ হত্যাকা-ের পেছনে যে রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র রয়েছে তা উদ্ঘাটন করতে হবে। এটি এখন সময়ের দাবি। তবে অনেকের মতে এ কাজটি আরও আগে করা উচিত ছিল। এতে অপরাধীদের বের করা আরও সহজ হতো বলেও মনে করেন এই বাম রাজনৈতিক নেতা।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেড় দশক পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেয়া হতো না। এটা হলো সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়। যা সত্যিকার অর্থেই মেনে নেয়া যায় না। কেন এমন হলো? এ নিয়ে কথা বলার সময় আছে। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে মুজিবের নাম উচ্চারণ করা যাবে না- এটাও দেখতে হয়েছে। এরপর নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর জামায়াতের হাত ধরে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও এ হত্যাকা-ের বিচারের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা এলে তখন বলা হতো, এ হত্যাকা-ের পেছনে একটা গিট আছে। কিন্তু তখন সেই গিট আর খোলেনি। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আমাদের আনন্দের বিষয় হলো- অনেক বছর পর হলেও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার হয়েছে। খুনীদের একটি বড় অংশের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। মেনন বলেন, এ দেশে পর্যটন শিল্পেরও জনক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান আমলে আমাদের পর্যটনের উন্নয়নে কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। বঙ্গবন্ধু এ প্রতিষ্ঠানটি নিজের হাতে গড়েছেন’। বঙ্গবন্ধু কক্সবাজারে সুইজারল্যান্ডের শহরের মতো একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) এ লক্ষ্যে কক্সবাজারে ঝাউবন গড়ে তোলেন।
বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা করেন পর্যটনমন্ত্রী। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য রওশন আরা বেগম, বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, করপোরেশনের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ মউদুদউর রশিদ সফদার প্রমুখ।
