ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অন্যত্র ৪

পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন নারীসহ নিহত ৬

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৬ আগস্ট ২০১৬

পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন নারীসহ নিহত ৬

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে অন্তত ১০ জন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে পাবনায় বালিবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে তিন নারীসহ ছয়জন, মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন, গাজীপুরে একজন ও নাটোরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পাবনা-ঢাকা সড়কের আহম্মদপুর অটোরিক্সাস্ট্যান্ডে বালিবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিক্সার সংঘর্ষে তিন নারীসহ ৬ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। নিহত সবাই ওই সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ছিল। সোমবার সকাল ৮টার দিকে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানান, বালুবাহী ট্রাকটি কাঁশিনাথপুর থেকে পাবনার দিকে আসার পথে ঘটনাস্থলে বিপরীতমুখী সিএনজি অটোরিক্সার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আর চারজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে তিনজন বেড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মারা যায়। নিহতরা হলো- সুজানগর উপজেলার কাদোয়া গ্রামের আদম আলীর ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবুল কালাম মৃধা (২৫), একই উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের দুলাই গ্রামের মৃত তুষ্ট দাসের ছেলে সাধন দাস (৬০), উপজেলার মানিকহাট গ্রামের আব্দুল মালেক (৪৫) ও তার স্ত্রী পান্না খাতুন (৩০) এবং বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের চন্দ্রহাট গ্রামের সুখন বেওয়া (৬০) ও একই এলাকার হাসিনা খাতুন। এছাড়া গুরুতর আহত দুই বছরের এক শিশুকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়েছে। এ বিষয়ে আমিনপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাগুরা ॥ জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। মাগুরা-ফরিদপুর মহাসড়কের মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর নামকস্থানে রবিবার রাতে লাশবাহী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় কালাম মোল্যা (৪০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহত কালাম মোল্যা সদর উপজেলার রামনগর দুর্গাপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মৃত ছয়বার মোল্যার ছেলে। হাইওয়ে পুলিশের এসআই আব্দুর রউফ জানান, রাত ১০টার দিকে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামী লাশবাহী একটি মাইক্রোবাস পথচারী কালাম মোল্যাকে ধাক্কা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিবার রাতে জেলার শালিখা উপজেলার মাগুরা-যশোর ভায়া আড়পাড়া সড়কের শতখালী নামকস্থানে ট্রাকচাপায় অনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক প্রাইভেটকারচালক নিহত হয়েছেন। নিহত আনোয়ার চুয়াডাঙ্গা জেলার পাতিলা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। ট্রাকটি আটক হলেও চালক পালিয়ে গেছে। গাজীপুর ॥ বড়ভাইয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে গিয়ে সোমবার এক কিশোর নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছে। নিহতের নাম শুভ (১৪)। সে রংপুরের পীরগঞ্জ থানার শাহাদতপুর এলাকার সবদুল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আহত আলামিন (১৪) একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, সোমবার বন্ধু শুভকে সঙ্গে নিয়ে আলামিন তার বড়ভাই স্বপনের মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোগড়া বাইপাস মোড়ের পাশে স্কয়ার পোশাক কারখানার সামনে ওই মোটরসাইকেলটির সঙ্গে একটি পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইলের আরোহী শুভ ও আলামিন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত আলামিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নাটোর ॥ জেলার বড়াইগ্রামের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মানিকপুর কলাবাগান এলাকায় ওভারটেকিংয়ের সময় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে ইসরাইল হোসেন কালু (৩২) নামে এক হেলপার নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কালু রাজশাহী গোদাগাড়ি উপজেলার পাপড়ি ঝালপুকুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানায়, সিরাজগঞ্জ থেকে নাটোরগামী একটি ট্রাককে ওভারটেকিংয়ের সময় অপর একটি ট্রাক পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের ট্রাকের হেলপার মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রংপুরে ট্রেনের সঙ্গে ট্রলির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২ ॥ সংবাদদাতা, রংপুর, ১৫ আগষ্ট ॥ পীরগাছা উপজেলার চৌধুরানী রেলস্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রলিচালক আমিনুল নিহত ও দুই যাত্রী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দু’জনকে রংপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রেলকর্মীরা পরে দুর্ঘটনাকবলিত শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিটি রেললাইন থেকে সরিয়ে ট্রেন চলাচল সচল রেখেছে। হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশন অভিমুখে যাচ্ছিল। ট্রেনটি চৌধুরানী রেলস্টেশনের কাছে উত্তর দিকে অরক্ষিত একটি রেলক্রসিংরে কাছে পৌঁছলে একই সময়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলি রেলক্রসিংয়ের ক্রসিংপার হওয়ার চেষ্টা করে। ফলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলিচালক ও দু’জন যাত্রী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যালে আনার পথে ট্রলিচালক আমিনুল ইসলাম (২৫) মারা যায়। দুজনের মধ্যে মোমিনুলের (৩০) অবস্থা গুরুতর।
×