ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ নতুন রেল লাইন হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৬ আগস্ট ২০১৬

আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ নতুন রেল লাইন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন একটি রেলরুট তৈরি হতে যাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার মধ্যে নতুন এ রুট স্থাপিত হবে। এ সংক্রান্ত ‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ’ প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তোলা হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ দুই প্রতিবেশী দেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তাছাড়া এটি হলে বিদ্যমান আগরতলা-কলকাতা রেলপথ ব্যবহার করেই আখাউড়া থেকে কলকাতা পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ভারত সরকার ৫৪ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে রাজি হয়েছে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানা গেছে, প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশ ও ভারত অংশে নতুন রেলরুট নির্মাণের কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশ অংশে ১০ দশমিক ১ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ মেইন লাইন এবং চার দশমিক ২৫ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ লুপলাইন নির্মাণ করা হবে। আর ভারতের আগরতলা অংশে নতুন করে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় তিনটি বড় এবং ২০টি ছোট সেতু নির্মাণ করা হবে। এজন্য ৫৬ দশমিক ৬১ একর ভূমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি তিনটি স্টেশনে কম্পিউটারাইজড ইলেক্ট্র্রনিক সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনেরও ব্যবস্থা থাকছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একাধিক রেলরুট ছিল। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির পর একে একে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা রেলরুটটি চালু আছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের একনেক সভায় এটি ছাড়াও আরও পাঁচটি প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে। প্রকল্পগুলো হলো- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপে বাঁধ সংস্কার প্রকল্প, শেরেবাংলা নগরের সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) কমপ্লেক্সের উর্ধমুখী (৮ তলা থেকে ১১ তলা) সম্প্রসারণ প্রকল্প (তৃতীয় পর্ব), চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় এলাকা সীতাকু-, মীরসরাই ও সন্দ্বীপ এলাকার পোল্ডার পুনর্বাসন প্রকল্প, নগরভিত্তিক প্রান্তিক মহিলাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) এবং ভৈরব রিভার বেসিন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্প।
×