ঋতুর পালাবদল চলছে। বর্ষাকাল বিদায় নিয়ে পঞ্জিকায় শরতের অবস্থান। বিদায়ী বর্ষা তার দাপট কিছুটা দেখিয়েছে গত সপ্তাহে। একনাগাড়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা, ফোঁটায় ফোঁটায় হলেও দেড়-দুঘণ্টা লাগাতার ঝরঝর স্বভাব। আবার অল্পক্ষণের মধ্যেই ঝকঝকে রোদ। অবশ্য ভাদ্রের দারুণ গরম মানে তালপাকা গরম শুরু হতে আরেকটু বাকি।
আমরা পেরিয়ে এলাম জাতির পিতার মৃত্যুবার্ষিকী। চারটি দশক অতিক্রান্ত হলেও সেই শোক ও ক্ষোভ যেন প্রশমিত হচ্ছে না। হবার নয়ও। তবে একটি বিষয় লক্ষণীয়- এখন বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হচ্ছে আরও নিবিড় ও বুদ্ধিদীপ্তভাবে। এখানে আবেগের বাড়াবাড়ি নেই। তরুণ প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের মহানায়ককে তাৎপর্যপূর্ণভাবে তুলে ধরার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে শিল্পসম্মতভাবে। তাঁকে নিয়ে রচিত কবিতা ও গানে রাজধানীর সংস্কৃতি-অঙ্গন মুখরিত। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী হয়েছে টিএসসিতে। অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে। জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘর শনিবার সকালে প্রধান মিলনায়তনে স্মৃতি বক্তৃতার আয়োজন করে। বক্তৃতার শুরুতেই কবি কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলা মোটেই সহজ কাজ নয়। তাঁর প্রতিটি উচ্চারণ মহাকাব্যিক। কোন সাধারণ আলোচনায় বঙ্গবন্ধুকে পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপন করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলতে গেলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবেই। তাঁর রাজনৈতিক জীবনাচরণ, আত্মত্যাগ নিয়ে যা বলছি, তা খণ্ডিত রূপ মাত্র। তাঁর স্মৃতি তর্পণ করতে গেলে রূপক-উপমা-পৌরাণিক কাহিনী উঠে আসবেই।
বক্তৃতায় বলা হয়- ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন- ঐ মহামানব আসে/দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে/মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে।...’ কবিগুরুর এ মহামানব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের পরাধীন বাঙালী জাতিকে তিনি দিয়েছেন স্বাধীনতা, দিয়েছেন মুক্তির স্বাদ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সৃষ্ট দেশের জাতীয় সঙ্গীত করেছেন কবিগুরুর গানকে; কাজী নজরুল ইসলাম থেকে নিয়েছেন ‘জয় বাংলা’।
শুরুতে চটজলদি দেখে নেয়া যাক কতিপয় বিষয় যেগুলোকে বলতে পারি গত সপ্তাহের রাজধানীর নির্বাচিত অবয়ব।
ক্স মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে জঙ্গীবাদ মুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে তারা বলেছেন, ‘হটাবো জঙ্গী বাঁচাবো দেশ, আমরাই গড়বো সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ।’
ক্স আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো নারীদের ম্যারাথন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এভারেস্ট একাডেমি আয়োজন করে এই দৌড় প্রতিযোগিতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবী মিলে ২৮৯ জন নারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এই ম্যারাথনে। দূরত্ব ছিল ১০ কিলোমিটার।
ক্স প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার ব্যাচেলরদের বালিশসহ এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। জঙ্গী উত্থানের প্রেক্ষাপটে ব্যাচেলরসহ ভাড়াটেদের বাড়িভাড়া পেতে ভোগান্তি, বাড়িওয়ালাদের হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদেই এই অভিনব অবস্থান।
ক্স গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ অবস্থায় নাগরিকদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে এসব এলাকায় নতুন করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ও বিশেষ রিকশা নামানোর ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। অবশেষে তা বাস্তবায়ন করা হলো বুধবার।
শত বাউলের সম্মিলন
ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও বাউলদের হেনস্থা করা হয়েছে- এমন একটা পরিস্থিতিতে ঢাকায় শত বাউলের সম্মিলন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগেই এই সম্মিলন। তিন তিনটে দিন বাউলরা, বলতে পারি লালনের ভাবশিষ্যরা লালনের গান পরিবেশন করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিত্রশালা প্লাজার দোতলায় নিরাপত্তা ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকেই মন ভাল হয়ে যায়। সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ, যদিও কুমারখালীতে লালনের আখড়ার মতো মাথার ওপরে অবারিত আকাশ নেই। সুবিশাল কক্ষে একই ছাদের নিচে শত বাউলের অবস্থান তবু সুন্দর। সুপরিকল্পিতভাবেই গ্রামীণ আবহ আনার প্রয়াস লক্ষণীয়। মেঝেয় খড়-বিচালির ওপরে চাটাই পাতা হয়েছে। বাঁশের ত্রিকোণ কাঠামোর ভেতর হারিকেন জ্বলছে টিমটিম করে। যেদিকটায় মঞ্চ তার উল্টোদিকে ছোট ছোট বলয়ে বাউলদের সুস্থির ও প্রশান্ত উপস্থিতি। অভ্যাগতদের কেউ কেউ তাদের পাশে বসে আলাপ করছেন। কক্ষের এক কোনায় নারী-বাউলদের জন্য সাদা পর্দাঘেরা এলাকা। যদিও এখানে নারী-পুরুষের বিশেষ ভেদাভেদ নেই। সকলে মিলেমিশেই গল্প-গুজব করছেন। কেউ আবার তার একতারা নিয়ে মগ্ন। এখানে উপস্থিত ছিলেন ফকির শরীফ সাধু, ফকির বাউল শুভা বিশ্বাস, ফকির শাহ আলম স্বপন, ফকির ইয়াকুব, ফকির নিজাম সাঁই, ফকির বাউল মোহিনী সরকার, ফকির বাউল গণেশ বসু, ফকির নইর সাহ্, ফকির হৃদয় সাহা, বাউলগুরু পাগলা বাবলুসহ বহু বাউল।
‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ শীর্ষক এ বাউল গানের আসর শুরু হলো কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে সাতটায়। বাঁশ দিয়ে মঞ্চসজ্জা করা হয়েছে, মঞ্চের মাঝখানে লালন সাঁইয়ের প্রতিকৃতি। একতারা-দোতারা, বাঁশি-তবলাসহ আনুষঙ্গিক বাদ্য নিয়ে মঞ্চে বসে পড়লেন একদল বাউল। সঞ্চালক উঠে এলেন মাইকের সামনে। এরপর একেক করে বাউলদের আহ্বান করতে লাগলেন মঞ্চে গান পরিবেশনার জন্য। আসন্ন ভাদ্রের তাপ আঁচ করা যায় এই বিশাল প্লাজায়। কয়েকটা স্ট্যান্ড ফ্যান অবশ্য রয়েছে। তাতে আর ক’জনের আরামের ব্যবস্থা হয়! দরদর করে ঘামছেন দর্শক-শ্রোতারা চাটাইয়ের ওপর বসে। তাতে ভাবসঙ্গীত আস্বাদনে বিঘœ ঘটছে না। বহু তরুণকে দেখলাম গানের সুরে দুহাতে তাল ঠুকছেন। বয়স্কদের মাথা দুলছে আপনা থেকেই। সব মিলিয়ে যেন লালন আখড়ারই পরিবেশ। সেখানে একটুখানি রসভঙ্গও হলো। লাল টকটকে শাড়ি পরিহিতা একজনের জন্য একাডেমির উর্ধতন এক কর্মকর্তা ছুটে প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে এলেন। তার পদযুগল সবার মতো অনাবৃত হলেও ভদ্রমহিলা হাইহিল পরে আছেন। দর্শকদের কিছুটা অস্বস্তিবোধ হলো বটে, এতে তারও স্বস্তিবোধ করার কথা নয়। যাহোক, এক নারী বাউল যখন গান ধরলেন তখন স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এক বয়স্ক বাউল মঞ্চে উঠে গেলেন। তারপর গানের সঙ্গে উভয়ের ঈষৎ নৃত্যভঙ্গিমা পরিবেশে আরেকটি মাত্রা জুড়ে দিল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শতাধিক বাউলের (প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ১৫৫ জন বাউলের কথা বলা হয়েছে) সঙ্গে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী কিছু বাউলও ছিলেন। তাদের পরস্পরের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং ভাববিনিময় এই সম্মিলনের আরেকটি প্রাপ্তি। ‘জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণ’ শীর্ষক কর্মসূচীর অংশ হিসেবেও এই বাউল সম্মিলন সামাজিক উপযোগিতামূলক, সন্দেহ নেই।
ওষুধ কোম্পানির কাণ্ড!
গত সপ্তাহে সুপার শপের কাণ্ড তুলে ধরেছিলাম। এ সপ্তাহে বলা যাক নীতিহীন ওষুধ কোম্পানির মারাত্মক কাণ্ডের কথা। ভেজাল খাবার খেলে পেটের অসুখ হতে পারে বড়জোর, কিন্তু ভেজাল ওষুধ খেলে? রোগ তো সারবেই না, রোগীর অবস্থা মরণাপন্ন হয়ে ওঠাও অসম্ভব নয়। তাই ওষুধ কোম্পানির দায়িত্ব বিরাট। যাত্রাবাড়ী এলাকায় মানহীন ওষুধ তৈরির অপরাধে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে গত সপ্তাহে। ওই চারটির একটি ওষুধ কারখানায় অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, কোম্পানিটির মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসেবে যিনি কাজ করছেন, তিনি ঢাকার একটি কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ে মাস্টার্স পাস করছেন। মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তাঁর ১৫ দিনের একটি কোর্স করা আছে মাত্র। অত্যন্ত নোংরা পরিবেশেই কোম্পানিটিতে ৫২ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হচ্ছিল। গত বছর মে মাসে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি কোম্পানি থেকে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ভেজাল ও মানহীন ওষুধ জব্দ এবং ওই কোম্পানির মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন জানা যায় ওই কোম্পানির কারখানায় কোন ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট ও ল্যাব নেই। তবুও নোংরা পরিবেশে কয়েকজন শ্রমিক ওষুধ তৈরি ও প্যাকেটজাত করছে। দেশের বৃহত্তম ওষুধের বাজার মিটফোর্ডে ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্যের সংবাদ ফলাও করে কাগজে আসে গত বছর। বড় বড় নামী কোম্পানির ওষুধ নকল করে তা সারাদেশে সরবরাহ করার কথা জানা যায়। প্রকৃত ওষুধের তুলনায় এসব নকল ওষুধ অর্ধেক দামে বিক্রি হওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাইকারি মূল্যে কিনে থাকেন। যেসব ওষুধের চাহিদা বেশি, মূলত সেগুলো নকল করছে ওই অসাধু ব্যবসায়ীয়া। তারা নকল ওষুধের মোড়ক ও সিল আসল ওষুধের মতো হুবহু নকল করে বাজারে সরবরাহ করে।
বলাবাহুল্য ওষুধ প্রতিষ্ঠানকে এই প্রথম জরিমানা করা হলো, এমন নয়; বলা চলে প্রতিবছরই কয়েক দফা ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম-অপরাধের জন্য জরিমানা করা হয়ে থাকে। এটি সম্ভবত তাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। বছরভর তারা যে বিরাট অঙ্কের মুনাফা অর্জন করে সেখান থেকে দু-পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা গুনলে এমন কী এসে যায়- এমনটাই ভাবে তারা। সুনাম-দুর্নামের ব্যাপারটি বোধহয় ধর্তব্যেই আনে না। অথচ ঢাকার কোটি মানুষ এদের উৎপাদিত ওষুধের ওপরেই নির্ভর করে থাকে। আবারও বলি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নতুন করে ভাবতে হবে। শুধু অর্থদ- দিয়ে ওদের বেপরোয়া বিকিকিনি বন্ধ করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না।
পাকিস্তানী ৪২০!
রাজধানীতে আমের মৌসুম শেষই হচ্ছে না। কলাবাগান এলাকায় প্রধান সড়কের পেভমেন্টে লাইন ধরে আমের মেলা বসেছে। নানা জাতের আম বিভিন্ন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। মেলায় আগত এক ক্রেতা বললেন, কী সুন্দর সুন্দর নাম আমের- হিমসাগর, গোপালভোগ; আবার বাজে নামও আছে যেমন চোসা, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা। মজার ব্যাপার হচ্ছে চোসা আর ল্যাংড়া আম বড়ই সুস্বাদু।
বাংলাদেশের আমের মেলা, সেখানে ফলকে লেখা দেখলাম ‘পাকিস্তানী চোসা আম’। এটির দাম আবার সর্বোচ্চ- ৪২০ টাকা। ফোরটুয়েন্টি দাম দেখে হাসি পাবে। কিন্তু কথা হচ্ছে এখনও পাকিস্তানী নাম কেন? আমবাগানের মালিক কি পাকিস্তানের প্রতি দুর্বল? নাকি রাজাকার হিসেবে ভূমিকা ছিল তার?
বাড়াবাড়ি
ঢাকায় প্রাইভেট কারের অভাব নেই। ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকরা তাদের ড্রাইভারদের দিয়ে গাড়ি ধোয়ার কাজটি করিয়ে থাকেন। এটা অলিখিত শর্তই হয়ে গেছে। নিজ বাড়ির গ্যারেজেই গাড়ি ধোয়ানোর কাজটি করা সমীচীন। অথচ আমরা কী দেখি? বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে পানির পাইপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গাড়ির গোসল করানো হয়। কেউ কেউ একটু বেশি কা-জ্ঞানহীন। তারা যতটা পারে রাস্তার দখল নিয়ে নেয়। আর বেপরোয়া পানির তোড়ে ওই রাস্তা দিয়ে পথচারীর চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যদি পানির ছিটা গায়ে এসে লাগে! ড্রাইভার তো একটা স্যরি বলেই খালাস। ওদিকে পথচারীর অবস্থা লবেজান। আবাসিক এলাকার ভেতরের রাস্তাগুলো সরুই হয়। ওই সরু সড়কে স্নানরত গাড়ির পাশ গলিয়ে আরেকটা গাড়ির যাতায়াতও বিড়ম্বনাময় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে রাতের বেলাই এই কাজ করা হয়। এখন ঢাকায় রাত আর দিন কি! সব সময়েই মানুষ হাঁটছে, গাড়ি চলছে।
১৪ আগস্ট ২০১৬
[email protected]
শীর্ষ সংবাদ: