ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভৈরবে গ্রেফতার ২২ জন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৫ আগস্ট ২০১৬

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভৈরবে গ্রেফতার ২২ জন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব থেকে জানান, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জাতির জনককে হত্যার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট ভৈরবের ২২ সাহসী যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মিলাদ, কোরান খতম, দোয়ার আয়োজন করাই ছিল সেদিন তাদের অপরাধ। সেদিন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সামরিক শাসন ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধুর নামে মিলাদের আয়োজন কেন করা হলো। ঘটনার খবরে সামরিক শাসকের নির্দেশে ভৈরব থানা পুলিশ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ পড়তে দেয়নি সেদিন। মৃত্যুবার্ষিকীর সকল আয়োজন ব্যর্থ করে দিয়ে আয়োজক স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফখরুল আলম আক্কাছসহ (বর্তমান পৌর মেয়র) ২২ যুবলীগ, ছাত্র লীগ নেতা কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। সেদিন গ্রেফতার হয়েছিলেন আসাদুজ্জামান ফারুক, মোঃ রুহুল আমিন, প্রয়াত মাহাবুব মতিউর রহমান, মফিজুর রহমান, মোশারফ হোসেন জিল্লুর রহমান জিল্লু আসাদ মিয়া, আতাউর রহমান, আসাদুল হক শিশু, দিলীপ চন্দ্রসাহা, দিপেন্দ্র চন্দ্র সাহা, ফজলুর রহমান (বর্তমানে মৃত), আ. হামিদ, মোঃ ইদ্রিস মিয়া, মাহাবুব আলম, রসরাজ সাহা, সুবল চন্দ্র কর (বর্তমানে মৃত), মোঃ শাহজালাল, আজমল ভূইয়া ও ফিরোজ মিয়া। এদিন ২২ জনের সঙ্গে আরও ২ জন আওয়ামী লীগ কর্মীকে পুলিশ আটক করেছিল। তারা হলেন আঃ সাদেক (ছেতু মিয়া) ও হানিফ। এই দুইজন ভৈরব থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। আঃ সাদেকের ছেলে ইসমাইল বর্তমানে বাংলাদেশ যুবলীগের ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক।
×