ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু- দুটি অভিন্ন শব্দ ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১৫ আগস্ট ২০১৬

বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু- দুটি অভিন্ন শব্দ ॥ মুহিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু অভিন্ন দুটি শব্দ। বাংলাদেশের কথা বললে বঙ্গবন্ধুর কথা বলা হয়। আবার বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ; মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশজুড়ে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করেছেন। ততকালীন প্রত্যেক মহকুমাকে (বর্তমান জেলা) তিনি গড়ে তোলেন একেকটি পিলার হিসেবে। একাত্তরে তিনি যখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী, তখন তাঁর তৈরি সেই পিলারগুলো ‘জাতীয় গ্রিডের’ মতো কাজ করে। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর বাহাদুরী। শারীরিক অনুপস্থিতি সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসজুড়ে তিনি স্বাধীন ‘বাংলাদেশের’ সমার্থক হয়ে ছিলেন। রবিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ইআরডির সিনিয়র সচিব মোঃ মেজবাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব শফিকুল আযম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয় একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া। চৌদ্দ শতকে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের আমলে যে ‘বাঙ্গালা’ রাষ্ট্রের সূচনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেটি ‘বাংলাদেশ’ নামে পূর্ণতা লাভ করে। মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিকরা সাধারণত প্রতিষ্ঠিত দলের ছায়ায় বড় হয়ে ওঠেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। সে সময়ের প্রতিষ্ঠিত দল মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে তাকে প্রথমে দল গঠন করতে হয়েছে। যা ছিল অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা তিনি পেরেছিলেন। কারণ, জনগণের দুঃখ ও ব্যথা ছোটবেলা থেকেই তাঁর মনকে গভীরভাবে আলোড়িত করত। অতিরিক্ত সচিব শফিকুল আযম বলেন, ইআরডি ঋণ নিয়ে কাজ করে। বিদেশ থেকে ঋণ আনে, ঋণ পরিশোধ করে। বঙ্গবন্ধু নিজের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, এই ঋণ কখনও শোধ করা যাবে না।
×