ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ মাস্টারমাইন্ডকে ঘিরে তদন্তে নতুন মোড়

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১৫ আগস্ট ২০১৬

পাঁচ মাস্টারমাইন্ডকে ঘিরে তদন্তে নতুন মোড়

শংকর কুমার দে ॥ গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার মাস্টারমাইন্ড মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক, তামিম আহমেদ চৌধুরী, হাসনাত রেজা করিম, তাহমিদ হাসিব খান ও মারজানÑ এই পাঁচজনকে ঘিরেই তদন্তের নতুন মোড় নিচ্ছে। গুলশান ও কল্যাণপুরে নিহত ১৫ জঙ্গীর লাশ এখনও পড়ে আছে সিএমএইচ হাসপাতাল মর্গে ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠানো ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পায়নি তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়নি সিআইডি। পাঁচ জঙ্গী মাস্টারমাইন্ডের মধ্যে হাসনাত রেজা করিম ও তাহমিদ হাসিব খানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের গুলশানের জঙ্গী হামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে জঙ্গী মাস্টারমাইন্ড মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়া, তামিম আহমেদ চৌধুরী ও মারজান (সাংগঠনিক নাম)Ñ এই তিনজন কোন গোয়েন্দা সংস্থার হাতেই আটক আছেন কিনা তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা কেউই স্পষ্ট না করার কারণে এখন নানা ধরনের গল্পগুঞ্জন মানুষজনের মুখে মুখে ফিরছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপে এ ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানান, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনায় পাঁচ জঙ্গীসহ নিহত ছয়জনের লাশ দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস ধরে এখনও পড়ে আছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে। গত ২৫ জুলাই রাতে কল্যাণপুরের জঙ্গী আস্তানায় অভিযানকালে নয় জঙ্গী নিহত হওয়ার পর এখনও পড়ে আছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। এই ১৫ জঙ্গীর মৃতদেহ থেকে রক্ত, চুলসহ আলামত সংগ্রহ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর কাছে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। সিআইডিও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামতের রিপোর্ট দেয়নি বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানান, ব্লক রেইড অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের ছয় জঙ্গী গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গীদের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এমনকি দেশের উত্তরাঞ্চলের অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেলেও এমন খবরের সত্যতা কেউই স্বীকার করছেন না। তবে অনেক জঙ্গী সদস্যই গোয়েন্দা নজরদারিতে নিয়ে আসার খবরের বিষয়টি বলা হচ্ছে। গুলশানের মাস্টারমাইন্ড মারজানের (সাংগঠনিক নাম) সম্পর্কে নানা গল্পগুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে। হাসনাত ও তাহমিদ সমাচার ॥ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু এখন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হিযবুত তাহরীরের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত রেজা করিম ও কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটির ছাত্র হিযবুত তাহরীর সদস্য তাহমিদ হাসিব খান। গুলশানের জঙ্গী হামলাকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ভিডিওচিত্র, মোবাইল ফোনসেট থেকে উইকার নামক এ্যাপসের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞের ছবি ও ভিডিওচিত্র জঙ্গী সংগঠন আইএসের মুখপত্র আমাক নিউজ এজেন্সির কাছে পাঠানো ছবির কারণে তারা তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে কানাডিয়ান নাগরিক ও হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার মাস্টারমাইন্ড হিযবুত তাহরীরের অপারেশন কমান্ডার তামিম আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হাসনাত রেজা করিম ও কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসিব খানÑ এই তিনজনের আন্তঃদেশীয় জঙ্গী কানেকশন খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ও গোয়েন্দারা। বিশেষ করে গণমাধ্যমে জঙ্গী রোহান ইমতিয়াজের সঙ্গে তাহমিদ ও হাসনাতের অন্তরঙ্গ মুহূর্তেও ছবি প্রকাশ ও তাহমিদ হাসিব খান আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে জঙ্গীদের সঙ্গে হাঁটার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর তদন্তে নতুন মোড় নিতে শুরু করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলায় অংশ নেয়া ৫ জঙ্গীর সঙ্গে হেঁটে অনতিদূরের পয়েন্ট পর্যন্ত এসে তাদের সাফল্য কামনা করে বিদায় নিয়েছিল জঙ্গী নেতা তামিম আহমেদ চৌধুরী। একইভাবে শোলাকিয়ায় হামলার দিনও সঙ্গীয় জঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে সব বুঝিয়ে সরে পড়ে তামিম চৌধুরী। আর কল্যাণপুর জঙ্গী আস্তানায় নিয়মিত তামিম চৌধুরীর যে যোগাযোগ ছিল তা স্টর্ম-২৬ অভিযানের সময়ে আহত অবস্থায় ধরা পড়া জঙ্গী রাকিবুল হাসান রিগ্যানের দেয়া জবানবন্দীতেই তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে গত মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের ছয় জঙ্গী গ্রেফতার ও গুলশানের জঙ্গী হামলার আরেক মাস্টারমাইন্ড হিসাবে মারজানের (সাংগঠনিক নাম) নাম প্রকাশ পাওয়ায় জঙ্গী হামলার ঘটনায় পাঁচ মাস্টারমাইন্ডের নাম যুক্ত হয়েছে। তবে গুলশান, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়ার তিনটি জঙ্গী কা-ের প্রত্যেকটিতেই (কমন) সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তামিম আহমেদ চৌধুরীর। এমনকি তার গুলশান হামলার আগে বসুন্ধরা এলাকার ই-ব্লকের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় লুকিয়েছিল এবং এখানেই গোপন বৈঠকে মিলিত হওয়ার মতো তথ্য উঠে আসছে অনুসন্ধানে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিন কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে হামলার পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিতে সঙ্গী জঙ্গীদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিল তামিম। হামলার আধাঘণ্টা আগে সেসব কিছু ব্রিফ করে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করে বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। ডিবির দাবি ॥ গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলার ঘটনার সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। গত ৪ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের পর গতকালই তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নতুন করে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসনাত করিমের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলেই তাকে সন্দেহভাজন আসামি থেকে সরাসরি গুলশানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। রবিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের জড়িত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। এ ধরনের ঘটনায় কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর তাকে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার যখন প্রমাণ পাই তখন আমরা তাকে গ্রেফতার দেখাই বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। গত ১ জুলাই গুলশানে হামলায় যে ৩২ জন বেঁচে যান, হাসনাত করিম তাদের একজন। ওই দিন দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে রেস্তরাঁয় খেতে যান। ২ জুলাই সেখান থেকে বেঁচে ফেরার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনার ৪৩ দিন পর ওই হামলায় হাসনাত করিমকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মারজান নিয়ে রহস্য ঘনীভূত ॥ মারজানের সম্পর্কে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটা তার সাংগঠনিক নাম। তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানেই পুলিশ, এমনও বলা হচ্ছে। আবার এও বলা হচ্ছে গুলশান হলি আর্টিজান বেকারির জঙ্গী হামলার মাস্টারমাইন্ড। যদি তার শুধু সাংগঠনিক নামই জানে এবং বিস্তারিত না জানা থাকে তাহলে সে যে জঙ্গী হামলার মাস্টারমাইন্ড তা জানা গেল কিভাবে? অথচ মারজানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত শুক্রবার পুলিশের তথ্য পাওয়ার বিশেষ এ্যাপ ‘হ্যালো সিটি’তে তার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে তাকে গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার বয়স ২২ বা ২৩ বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে মনে হয়েছে, ঢাকায় বা দেশের বড় কোন শহরে বেড়ে উঠেছে। গুলশান হামলার সঙ্গে যুক্ত মারজানের একটি ফেসবুক আইডি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সব তথ্য বিশ্লেষণ করে মনে হয়েছে, মারজান গুলশান হামলার অন্যতম সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর খুব ঘনিষ্ঠ। যে কারণে বয়স অপেক্ষাকৃত কম। ছবি প্রকাশ করে তার সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে। গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার সঙ্গে জড়িত এবং হামলাকারী জঙ্গীদের সঙ্গে মারজানের যোগাযোগ ছিল। এমন তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এমনকি হলি আর্টিজানে হামলার পর রাত একটায় ইন্টারনেট-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত ভেতর থেকে জঙ্গীরা হত্যাযজ্ঞের ছবি তুলে যাদের কাছে পাঠিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মারজান। ওই রাতেই এসব ছবি আইএসের কথিত বার্তা সংস্থা আমাক-এ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যাতে মনে হয়েছে, মারজান গুলশান হামলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাহলে কি এই মাস্টারমাইন্ড জালেই আটকা আছে? অথচ পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হচ্ছে না। এতেই অনুমিত হচ্ছে, মারজান নামের সেই মাস্টারমাইন্ড কোন গোয়েন্দা সংস্থার জালে আটকা পড়েছে কিনা তার সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম (সিটি) বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, মারজান হচ্ছে সাংগঠনিক নাম। তার ছবি পাওয়া গেলেও প্রকৃত নাম-ঠিকানা এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি বাংলাদেশী, সম্ভবত ঢাকা শহরেই কোথাও তিনি থাকতে পারেন এবং তাকে ঢাকা শহরেরই কেউ বলে মনে হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানান, গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার মাস্টারমাইন্ড মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ও তামিম আহমেদ চৌধুরী কোন না কোন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হয়েছে বলে জোর গল্পগুঞ্জন এখন মানুষজনের মুখে মুখে ফিরছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠীর এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাস্টারমাইন্ড জিয়া ও তামিমসহ আরও কয়েকজন নজরদারিতে রয়েছে। সময়মতো তাদের আটক করা হবে। আইজিপি একেএম শহীদুল হক পুলিশ সদর দফতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, ‘তারা নজরদারিতে রয়েছে’। শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তারা ঢাকায় আছেন। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার মাস্টারমাইন্ড মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ও তামিম আহমেদ চৌধুরী এই দুই মাস্টারমাইন্ডকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য গত ২ আগস্ট পুলিশ সদর দফতর থেকে ২০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ২৫ জুলাই কল্যাণপুরে জঙ্গী আস্তানায় পুলিশের সফল অভিযান পরিচালনার পর তথ্য বেরিয়ে আসে যে, হলি আর্টিজানে হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী। এরপর থেকে তামিমকে আটক করতে পুলিশ প্রথমে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়। হলি আর্টিজানে হামলার সময় জঙ্গীরা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের মোবাইল ফোন থেকে উইকার এ্যাপস ডাউনলোড করে। ঐ এ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গীরা তাদের হামলার চিত্র ও তথ্য পাঠায়। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট নিশ্চিত হয় যে, জঙ্গীদের সঙ্গে মেজর জিয়া ও তামিমের যোগাযোগ হয়েছে। সেখান থেকেই তামিমের অবস্থানও তারা শনাক্ত করেন। মেজর জিয়া ও তামিমের খোঁজ করতে গিয়েই গত মঙ্গলবার জেএমবির সুইসাইড স্কোয়াডের ছয় জঙ্গী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে আরেক জঙ্গী মাস্টারমাইন্ড মারজানের নামটি। তবে এসব মাস্টারমাইন্ডদের অবস্থান, পরিচয়, তৎপরতা, আত্মগোপন, গ্রেফতার নিয়ে ক্রমেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
×