ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কম্পিউটার হ্যাকিংয়ে রাশিয়া জড়িত

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৫ আগস্ট ২০১৬

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কম্পিউটার  হ্যাকিংয়ে রাশিয়া জড়িত

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের পেছনে রুশ সরকারের হাত রয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্যাপকভাবে ধারণা করেন। এ ঘটনা ওয়াশিংটনের কাছে শীতল যুদ্ধ যুগের স্মৃতিই জাগিয়ে তুলছে। ওই সময় ক্রেমলিন প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে প্রায়ই নাক গলাত। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। ইউরোপের দেশগুলোকে নিজের পক্ষে রাখার জন্য রাশিয়া অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে। ইউরোপের উগ্রবাদী রাজনৈতিক দলগুলোকে রাশিয়া নানানভাবে সহায়তা করে থাকে। মস্কো অভিবাসী আগমন ঠেকানোর যেমন চেষ্টা করছে তেমনি বিশাল জ্বালানি সম্পদ প্রতিবেশীদেশগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে অস্ত্র হিসেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কর্মকর্তারা বলছেন, গত আড়াই বছর ধরে মস্কো ইউক্রেন ইস্যুতে যে নীতি অনুসরণ করেছে, সেটি এখন ব্যবহার করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়। উদ্দেশ্য রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিতিয়ে আনা। ট্রাম্পকে রাশিয়া বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এ কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতুন মনে হতে পারে কিন্তু ইউরোপের রাজনীতির খবর যারা রাখেন তাদের কাছে ক্রেমলিনের এ কূটচাল নতুন কিছু নয়। গত মাসে ই-মেল হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারপার্সন ডেবি ওয়াসারম্যান শুলজ পদত্যাগ করেন। ওই ঘটনার পেছনে রুশ সরকারের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে মনে করা হয়। এ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে নেদারল্যান্ডসে যে গণভোট, সেখানেও মস্কো নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গণভোটে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্যে ইউক্রেনের বিষয়টি নাকচ হয়। মস্কো সবসময়ই ইইউবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন জোরদার করার চেষ্টা করেছে। বিশ্বায়ন ও অভিবাসী ভীতির সুযোগে রাশিয়া পশ্চিমাদেশগুলোর দুর্বলতা নিজের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। নেদারল্যান্ডসের গণভোটে ইইউর পক্ষে থাকা দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য আলেক্সান্ডার পেচটোল্ড বলেছেন, ‘রাশিয়া অনেক দিন ধরেই ইউরোপকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে আমরা খুব নাজুক একটা সময়ে রয়েছি। এ কারণে রাশিয়ার এ কাজ সহজ হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, রাশিয়া যে কোন দেশের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলে তার থেকে সুবিধা নিচ্ছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ সংযুক্ত করার পর ২৮ জাতি জোট ইইউ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে রাশিয়া এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই ইউরোপীয় দেশগুলোর দুর্বলতা থেকে সুবিধা নেয়ার দিকে মস্কো আরও বেশি করে ঝুঁকে পড়েছে।
×