ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে আসতে চায় ১২ কোম্পানি

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ১৫ আগস্ট ২০১৬

পুঁজিবাজারে আসতে চায়  ১২ কোম্পানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থার মাঝেও শেয়ারের যোগান বাড়ছে। আর এরই অংশ হিসেবে পুঁজিবাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন খাতের ১২ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো ফিক্সড প্রাইস ও বুক-বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে বাজারে আসতে চায়। প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজার থেকে টাকা নিয়ে কোম্পানির উন্নয়ন, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও বাবদ ব্যয় করবে। বর্তমান এসব কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পাইপ লাইনে থাকা এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে - আমরা নেটওয়ার্কস, এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড (এ্যাপোলো হাসপাতাল), ইফকো গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল লিমিটেড, ঢাকা রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিমিটেড, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড, হ্যামপ্যাল রি ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশ লিমিটেড, মারহাবা স্পিনিং, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড এবং শেফার্ড টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেড। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে বসুন্ধরা পেপার,ফরচুন সুচ, আমান কটন। এছাড়া সম্প্রতি আশুগঞ্জ পাওয়ার নামে একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে ইচ্ছা পোষণ করেছে। কোম্পানিগুলো বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে। আর কয়েকটি কোম্পানি তাদের রোড শো সম্পন্ন করেছে। জানতে চাইলে পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি তদন্ত কমিটির প্রধান ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিদ খালেদ বলেন, পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি আসবে এটা ভালো খরব। তবে যে সকল কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে তাদের আর্থিক ভিত্তি কেমন তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বিএসইসির। কারণ দুর্বল কোম্পানি যদি পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ পায় তবে তা বিনিয়োগকারী এবং বাজারে কারো জন্য ভালো হবে না। বিএসইসিকে সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। জানা গেছে, পুঁজিবাজারে আসতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে চায়। এ কোম্পানিগুলো হচ্ছে এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড (এ্যাপোলো হাসপাতাল), বসুন্ধরা পেপার মিল, আমরা নেটওয়ার্কস, আমান কটন এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্ট। সম্প্রতি কোম্পানিগুলো বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসার জন্য রোডশো সম্পন্ন করেছে। সূত্র মতে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেড ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ঢাকা রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিমিটেড ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। একইভাবে বসুন্ধরা পেপার ২০০ কোটি এবং আমান কটন ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে ইচ্চু’ক। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা, হ্যামপ্যাল রি-ম্যানুফ্যাকচারিং বাংলাদেশ লিমিটেড ২০ কোটি টাকা, ইফকো গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ২০ কোটি টাকা, মারহাবা স্পিনিং ৫০ কোটি টাকা, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড ২২ কোটি টাকা শেফার্ড টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড তুলতে চায় ২০ কোটি টাকা ও ফরচুন সুচ ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। ইতিমধ্যে ফরচুন সুজের টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়। ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, ভালো শেয়ারের যোগান দেবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের এমন কথা যদি সঠিক থাকে তবে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো। কারণ ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে তারা বছর শেষে ভালো রির্টান পেতে পারে। আর কোম্পানি যদি তাদের কথা রাখতে ব্যর্থ হয় তবে শেষ ভোগান্তিটা তাদেরই ভুগতে হয়।
×