ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ম-পরিকল্পনার অভাবে কাজে আসছে না সামুদ্রিক মৎস্য খাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৫ আগস্ট ২০১৬

কর্ম-পরিকল্পনার অভাবে কাজে আসছে না সামুদ্রিক মৎস্য খাত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও সুনির্দিষ্ট কর্ম-পরিকল্পনার অভাবে তেমন কোন কাজে আসছে না সামুদ্রিক মৎস্য খাত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণের ফলে বিলুপ্তির পথে মূল্যবান মাছ ও প্রাণিজ সম্পদ। তাই সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে নীতিমালা প্রণয়ন ও টেকসই মৎস্য আহরণ অবকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান তাদের। ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সমুদ্র সীমা জয়ের ফলে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার টেরিটোরিয়াল সমুদ্র সীমার অধিকার পায় বাংলাদেশ। সমুদ্রের ২০০ নটিক্যাল মাইলের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় সার্বভৌম অধিকার। তবে তা অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে। কেননা দীর্ঘসময় পার হলেও সমুদ্রের মৎস্য সম্পদ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য নেই বাংলাদেশের কাছে। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালে রাশিয়ার সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো চালানো হয় সমুদ্র জরিপ। এরপর গেল ৪ দশকে আর কোন জরিপ হয়নি। বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণে সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে আরভি মীন নামের একটি জাহাজ আনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে মূল্যবান এই সম্পদ হাত ছাড়া হতে পারে। সমুদ্রে মৎস্য সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য জরিপ না হওয়ার পেছনে দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর অভাবকেই দায়ী করলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। গেল অর্থবছরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করেছে দেশীয় জেলেরা।
×