ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজার হবে অত্যাধুনিক পর্যটন নগরী

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৫ আগস্ট ২০১৬

কক্সবাজার হবে অত্যাধুনিক পর্যটন নগরী

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন নিয়োগ-৩ অধিশাখা কর্তৃক রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উক্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুঃ জসিম উদ্দীন খান স্বাক্ষরিত ১১ আগস্ট তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিয়োগ প্রাপ্ত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পর অবসরে যান। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য। তিনি কক্সবাজার জেলা সদরের ঈদগাও দক্ষিণ মাইজ পাড়ার মরহুম হাজী নাজির হোসেনের দ্বিতীয় সন্তান। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন নগরী খ্যাত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদ জনকণ্ঠকে বলেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। আমাকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে জানাতে চাই- আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি এখন দেশকে দিতে চাই। আমাকে প্রদত্ত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করে লে. কর্নেল (অব) ফোরকান বলেন, বিশ্বের দরবারে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতকে আরও বেশি পরিচিতি এবং বিদেশী পর্যটকদের কক্সবাজারে ভ্রমণে আসার আগ্রহ সৃষ্টিকল্পে পর্যটন এলাকার উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান মতে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাব। জেলার কৃতীসন্তান কক্সবাজার সদর ঈদগাও এলাকার বাসিন্দা লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজার প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হলেও অপরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। আমার প্রথম কাজ হবে অত্যাধুনিক, সুন্দর পর্যটন নগরী গঠনে কক্সবাজারকে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় আনা। পর্যটন শহরের সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা। যা আগামী ১শ’ বছর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়ও যাতে বিঘœ না ঘটে। আমি কক্সবাজারের সন্তান, জেলার সর্বত্র আমার চেনা জায়গা। উন্নয়নের স্বার্থে সকলের মতামতের ভিত্তিতে কক্সবাজারকে মডেল টাউন হিসেবে উপহার দেয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। তিনি মুঠোফোনে আলাপকালে জনকণ্ঠকে আরও বলেন, বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে তাদের নিরাপত্তার পাশাপাশি দর্শনীয় পয়েন্টগুলোকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলব। এর আগে ওসব কাজ করতে কি কি সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং লোকবল নিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। বৃষ্টি হলে পর্যটন শহর কক্সবাজারে পানি জমে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ড্রেনেজ সমস্যার সমাধান, টমটম-রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহনের যানজট দূরীকরণ ও পরিকল্পিত নগরায়নে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য মেঘা পরিকল্পনা করে রেখেছেন। তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে কোন কিছুকে বাধা বলে মনে হবে না। উন্নয়নের স্বার্থে আমি সবার মতামত এবং পরামর্শের ভিত্তিতে কক্সবাজারকে অত্যাধুনিক পর্যটন নগরী গঠনে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব। নিজ এলাকা ঈদগাহ এর উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদগাহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হলেও অনেকটা অবহেলিত বলা চলে। এ এলাকার উন্নয়নে আমার দায়িত্বের ভেতরে যতটুকু কাজ করা যায়- আমি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তা ছাড়া ঈদগাহকে উপজেলা করার জন্য আমরা ইতোপূর্বে আন্দোলন করেছি। সরকারের কাছে যুক্তিসঙ্গত দাবি জানিয়ে আবেদন করেছি। সেখানে আমি মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত আছি। ঈদগাহকে উপজেলা করার জন্য আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
×