স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যর্থতাই হচ্ছে সফলতার চাবিকাঠি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে পুরুষদের ২০ কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় চীনের ওয়াং ঝেন পদক জিতেছিলেন। তবে সেটা ছিল তাম্রপদক। স্বর্ণপদক পাওয়ার জন্য পরের চার বছর হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম-অনুশীলন করে গেছেন ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি এবং ৬৩ কেজির অধিকারী ঝেন। তারই সুফল পেলেন রিও অলিম্পিকে এসে। এবার আর তাম্র বা রৌপ্যপদক নয়, বহু অধরা স্বর্ণপদকটাই নিজের করে নিলেন। করলেন স্বপ্নের বাস্তবায়ন। স্বর্ণ জিততে সময় নিলেন ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট ১৪ সেকেন্ড। তার স্বদেশী কাই জেলিন জিতেছেন রৌপ্যপদক (১:১৯: ২৬)। তাম্রপদক লাভ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যান বার্ড স্মিথ (১:১৯:৩৭)।
আগের লন্ডন অলিম্পিকে তামাজয়ী ঝেনের টাইমিং ছিল ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট ২৫ সেকেন্ড। বয়স বাড়লেও আগের চেয়ে সময় ১১ সেকেন্ড কমিয়ে এনেছেন তিনি। ২০১২ আসরে যিনি স্বর্ণ জিতেছিলেন, সেই আরেক চীনা প্রতিযোগী চেন ডিংয়ের রিওতে এবারের পারফর্মেন্স বড়ই হতাশাজনক। হয়েছেন ৩৯তম!
এছাড়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের মিগুয়েল এ্যাঙ্গেল হয়েছেন একাদশ। মিগুয়েল স্বর্ণ পেলে সেটা হতো ১৯৯২ বার্সিলোনা অলিম্পিকের পর কোন স্প্যানিশ প্রতিযোগীর এই ইভেন্টে আবারও সোনাজয়ের ঘটনা।
এদিকে মেয়েদের শটপুটে সোনা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছর বয়সী মিচেল কার্টার। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি ও ১১৬ কেজির অধিকারী মিচেলের এটাই প্রথম অলিম্পিক পদক। যদিও এর আগে তিনি অংশ নিয়েছিলেন ২০০৮ বেজিং এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক গেমসেও। বেজিংয়ে তিনি হয়েছিলেন পঞ্চদশ, আর লন্ডনে হন পঞ্চম। তৃতীয়বারের চেষ্টায় সোনা জিতে এখন সুখের সাগরে অবগাহন করছেন কৃষ্ণকলি মিচেল।
পদক জিততে মিচেলের স্কোর ছিল ২০.৬৩ মিটার, যেটা পরিণত হয় আমেরিকান রেকর্ডে। নিউজিল্যান্ডের ভ্যালেরি এ্যাডামস ২০.৪২ মিটার স্কোর গড়ে রৌপ্য এবং হাঙ্গেরির এ্যানিটা মার্টন ১৯.৮৭ মিটার স্কোর নিয়ে লাভ করেন তাম্রপ্রদক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: