ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধীর গর্ভপাত ॥ নার্স গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৪ আগস্ট ২০১৬

ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধীর গর্ভপাত ॥ নার্স গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১৩ আগস্ট ॥ ধর্ষণের শিকার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর অবৈধ গর্ভপাতের দায়ে চট্টগ্রামের পটিয়ায় ইয়াসমিন আকতার (৫০) নামের এক নার্স গ্রেফতার হয়েছেন। শনিবার সকালে নগরীর শুলকবহর এলাকার মুন্সি পুকুরপার এলাকা থেকে পুলিশ ওই নার্সকে গ্রেফতার করেন। তবে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে চাপ সৃষ্টি করে গর্ভপাতে সন্তান নষ্ট করার ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় চলছে। উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মরহুম গুরা মিয়ার পুত্র আহাম্মদ নূর (৫৮) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এই কিশোরীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে লম্পট আহাম্মদ নূর ও তার পুত্র ফোরকান কিশোরীকে চাপ সৃষ্টি করে গোপনে গর্ভপাত করান। ধর্ষক আহাম্মদ নূর ৬ সন্তানের জনক। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, নিরীহ পরিবারের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে কৌশলে আহাম্মদ নুর দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে আসছিল। ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হতে দেখে পরিবারের লোকজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার নিশ্চিত হন কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ বিষয়ে কিশোরীর পরিবার ঘটনাটি তাদের আত্মীয় স্বজনদের অবহিত করে বৃদ্ধ আহাম্মদ নূরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ধর্ষিতা কিশোরীর নামে দেড় গ-া জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন এবং কিশোরীর গর্ভে থাকা সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সে লালন-পালন করবে। গর্ভপাতের পরের দিন শুক্রবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক আহাম্মদ নূর ও তার পুত্র ফোরকানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযাগের প্রেক্ষিতে পটিয়া থানার উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন অভিযান চালিয়ে নার্স ইয়াসমিন আকতারকে গ্রেফতার করে। বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে শ্রমিকের মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সুন্দরবন সংলগ্ন কালিন্দী নদী থেকে আবু মুসা ম-ল (৫০) নামে এক বাংলাদেশী ভাটাশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে বিজিবি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবু মুসা কালিগঞ্জ উপজেলার মানপুর গ্রামের আবু সাইদ ম-লের ছেলে। ভারতের একটি ইটভাঁটিতে কাজ শেষে বুধবার কালিন্দী নদী সাঁতরে বাংলাদেশে আসার সময় বিএসএফ সদস্যরা স্পিডবোট নিয়ে ধাওয়া করলে পানিতে ডুবে আবু মুসার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই শফি ম-ল। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, এক মাস আগে প্রতিবেশী কার্তিক ম-লের সঙ্গে ভারতের শিলাইদাহ এলাকার একটি ইটভাঁটিতে কাজ করতে যান আবু মুসা ম-ল ও তার ভাই শফি ম-ল। বুধবার রাতে তারা তিনজন একসঙ্গে ভারতের চাড়ালখালী এলাকা দিয়ে কালিন্দী নদী সাঁতরে বাংলাদেশের দুরমুজখালী সীমান্তে ওঠার চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফের স্পিডবোট তাদের ধাওয়া করলে আবু মুসা ম-ল পানিতে তলিয়ে যায়।
×