ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হবে ডিসেম্বরে

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৪ আগস্ট ২০১৬

 স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হবে ডিসেম্বরে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগামী ডিসেম্বরে। সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করে এর নির্মাণ কাজ। কর্ণফুলীর তলদেশে এ টানেল নির্মিত হলে নদীর দু’পাড়েই গড়ে উঠবে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসেই চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে ডিসেম্বর মাসেই উদ্বোধন করা হবে টানেল নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই শুরু হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ। প্রসঙ্গত, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটিও চউকের উদ্যোগেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু এটি সড়ক ও সেতু বিভাগের কাজ হওয়ায় দায়িত্ব বর্তে ওই মন্ত্রণালয়ের উপর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কর্ণফুলী টানেলের নক্সা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। টানেলটি নির্মিত হবে কর্ণফুলী নদী মোহনার কাছাকাছি এলাকায়। সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এ টানেল নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও চূড়ান্ত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। এতে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। বাকি অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন নক্সায় নির্মিত হবে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল। কর্ণফুলীর তলদেশের এ টানেলটিই হতে যাচ্ছে দেশের একমাত্র সুড়ঙ্গ পথ। এর অবস্থান হবে নদীর তলদেশের ১২ থেকে ৩৬ মিটার গভীরে। চার লেনের এ টানেল হবে দুই টিউব বিশিষ্ট। টানেলের ভেতরে জন চলাচলের সুযোগ থাকবে না। প্রথম পর্যায়ে শহর অংশের কাজ শেষ করে পরে নির্মিত হবে বাকি অংশের কাজ। ২০২০ সালের মধ্যে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে কক্সবাজার, বান্দরবান ও টেকনাফের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে এ লক্ষ্যে নির্মিত হবে ৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এ টানেল নির্মিত হলে চাপ কমে আসবে কর্ণফুলী সেতুর উপর। চট্টগ্রামের সঙ্গে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে টানেল নির্মাণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে এশিয়ান হাইওয়ের। পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে কর্ণফুলী টানেল। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে গড়ে উঠবে শিল্প কারখানা এবং সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।
×