ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জেড ক্যাটাগরির ৬ কোম্পানি ঘিরে কারসাজি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৪ আগস্ট ২০১৬

জেড ক্যাটাগরির ৬ কোম্পানি ঘিরে কারসাজি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৬ কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এসব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার কোন কারণ নেই বলে তথ্যও প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৃহস্পতিবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে মন্দাবস্থার সুযোগ নিয়ে কারসাজি চক্রের সদস্যরা দ্রুত মুনাফা তুলে নিতে চাচ্ছেন। আর এক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই লোভের ফাঁদে পা দিচ্ছেন। যদিও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়া ছাড়া আর কোন কিছুই করা হয়নি। শেয়ার দর বাড়ার কারণ না থাকা ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৬ কোম্পানি হলো-মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, রহিমা ফুড, ইমাম বাটন, শ্যামপুর সুগার মিলস, জিল বাংলা সুগার মিলস ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, স্বার্থ হাসিলের জন্য কোন একটি চক্র ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বেছে নিতে পারে। যা মাঝে মাঝে দেখা যায়। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। অন্যথায় লোকসানের কবলে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই ৬ কোম্পানির পক্ষ থেকে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানো হয়েছে, তাদের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার মতো অপ্রকাশিত কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। এর মধ্যে কোন কারণ ছাড়াই শ্যামপুর সুগার মিলস ও জিল বাংলা সুগার মিলসের শেয়ার দর বৃদ্ধি নিয়ে একাধিকবার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১ আগস্ট ইমাম বাটনের শেয়ার দর ছিল ৯.৭ টাকা। যেখান থেকে ১০ আগস্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৪ টাকায়। এছাড়া ৩১ জুলাইয়ে অবস্থান করা ৬.৯ টাকার মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ার ৮.৬ টাকায়, ২ আগস্টের ৫৪.৭ টাকার রহিমা ফুডের শেয়ার ১০ আগস্টে ৬২.৭ টাকায়, ১ আগস্টের ৫ টাকার মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ১০ আগস্টে ৮.৮ টাকায়, ১৮ জুলাইয়ের ৯ টাকার জিল বাংলা সুগার মিলসের শেয়ার ১০ আগস্টে ২১.৮ টাকায় ও ২০ জুলাইয়ের ৬.৮ টাকার শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ার ১০ আগস্টে ১৬ টাকায় অবস্থান করছে। সুতা উৎপাদনে যাচ্ছে এনভয় টেক্সটাইল অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাথমিক ধাপে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের স্পিনিং ইউনিট। এ লক্ষ্যে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে সুতা উৎপাদন শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, ১৬ আগস্ট থেকে প্রথম ধাপে প্রতিদিন ৩০ মেট্রিকটন সুতা উৎপাদন হবে। পরবর্তীতে আগামী ১ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে এই ইউনিটটি। পুরোপুরি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে এটি প্রতিদিন ৫০ মেট্রিকটন সুতা উৎপাদন করতে পারবে। যার মূল্য দাঁড়াতে পারে প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকার মতো। আর বছর শেষে তা হতে পারে প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। এতে কোম্পানিটির বছরে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা মুনাফা হতে পারে। কোম্পানিটি বর্তমানে ডেনিম ফেব্রিকস উৎপাদন করছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় কোম্পানির কারখানার অভ্যন্তরে স্পিনিং ইউনিট স্থাপন করা হবে। জার্মানি, জাপান ও সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে মিলের মেশিন ও যন্ত্রাংশ। এ মিলে উৎপাদিত সুতার বড় অংশ বিদ্যমান ডেনিম ফেব্রিকস কারখানায় ব্যবহৃত হবে।
×