ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সমুদ্রবন্দর ও প্রথম আট লেনের মহাসড়ক জাতির উদ্দেশে উন্মুক্ত ঘোষণা;###;আরও তিন প্রকল্পের কাজের সূচনা;###;বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অঙ্গীকার

উন্নত দেশ গড়ব ॥ পাঁচ মেগা প্রকল্পে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৪ আগস্ট ২০১৬

উন্নত দেশ গড়ব ॥ পাঁচ মেগা প্রকল্পে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ পাঁচটি মেগা প্রকল্পে উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। পায়রা বন্দরের মাধ্যমে দেশে উন্নয়নের নতুন জোয়ার উন্মোচিত হবে। নতুন এ বন্দর ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য গড়ে উঠবে। শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, সমগ্র বাংলাদেশ এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জন্যও একটা শুভ সূচনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তার সরকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করব, বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব। বঙ্গবন্ধু তার সারাজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এখন জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব। শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক সমুদ্রবন্দর পায়রা বন্দরের বহির্নোঙ্গর থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরটির অপারেশনাল কার্যক্রমসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আর এ উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে পায়রা; পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এই সমুদ্রবন্দরটি দক্ষিণ জনপদের অর্থনীতির চিত্র বদলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রথম ৮ লেন (যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর) মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিঙ্কসহ) মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাংগা মহাসড়ক উভয়দিকে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের (পদ্মা সেতু লিঙ্ক রোড) নির্মাণ কাজ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ছয়টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্নের এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন’ (কম্পিউটার এবং ভাষা শিক্ষণ ল্যাব) শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের বহির্নোঙ্গর থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে বলেন, এ বন্দরের মাধ্যমে দেশে উন্নয়নের নতুন জোয়ার উন্মোচিত হবে। তিনি চীনের জাহাজ এমভি ফরচুন বার্ড থেকে পদ্মা সেতুর জন্য আনা ৫৩ হাজার মেট্রিক টন পাথর খালাস আরম্ভ করে বন্দরে পণ্য খালাসের কাজের সূচনা করেন। এ সময় তিনি নামফলকও উšে§াচন করেন। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরকে ঘিরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনার উল্লেখ করে বলেন, ফরচুন জাহাজ আমাদের জন্য ফরচুন নিয়ে এসেছে। দক্ষিণাঞ্চল সব সময় অবহেলিত ছিল। ওই অঞ্চলে বিশাল একটা সম্ভাবনা আছে কিন্তু সেটার দিকে কেউ ফিরে তাকায়নি। ওই অঞ্চলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে। অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের সম্পদকে সরকার কাজে লাগাতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা’ হচ্ছে শান্তির প্রতীক। সে কারণে এ নামটি আমি পছন্দ করেছি। পায়রা নামটাও খুব সুন্দর। ভবিষ্যতে পায়রা বন্দর গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে রূপ নেবে। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ যাতে জমি অধিগ্রহণের জন্য ন্যায্য মূল্য পায়, আমরা তা নিশ্চিত করব। এই এলাকার মানুষজন এমনিতেই প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে। আমরা মনে করি, পায়রা বন্দর গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুঃখ-কষ্ট আর থাকবে না। আমরা পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সৃষ্টি করব। আমরা নদীগুলো ড্রেজিং করে ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত নিয়ে যাব। বন্দরের পাশাপাশি ওই অঞ্চলে বিদ্যুত কেন্দ্র, নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও সেনানিবাস স্থাপনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। এই সমুদ্র বন্দরটি ব্যবহারে প্রতিবেশী দেশ ভারতের আগ্রহের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যা থেকে বাংলাদেশও উপকৃত হবে। উত্তরে অসমের করিমগঞ্জ পর্যন্ত নৌপরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশ নয় আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পদ্মা সেতুকে মাঝে রেখে যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের যে সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে সেটিই হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। চার লেনের এ সড়কের দুইপাশ দিয়ে ধীরগতি যানবাহন চলার জন্য আরও দুটি সার্ভিস লেন থাকবে। এ কারণেই সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে এ সড়ককে আট লেনের সড়ক হিসেবে অভিহিত করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেলেও অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত না করে এই সেতু নির্মাণ করে যাচ্ছে তার সরকার। বাংলাদেশ যে পারে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। ৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুত ॥ ৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতকে বহুমুখীকরণের মাধ্যমে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশের বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধিতে তার সরকার বেশ কিছু স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করায় এর সুফল ইতোমধ্যে জনগণ পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুত পাচ্ছে। দেশের বিদ্যুত উৎপাদনের সক্ষমতা এখন ১৫ হাজার মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বিদ্যুত উৎপাদন অনেক বাড়িয়েছিলাম। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় এসে দেখলাম, যা রেখে গিয়েছিলাম, তার চেয়ে উৎপাদন আরও কমে গেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার উৎপাদন তো বাড়ায়নি, উল্টো কমিয়ে গেছে। সেখান থেকে ফের শুরু করে এখন ৭৮ শতাংশ মানুষকে আমরা বিদ্যুত দিতে পারছি। দেশের ৪৬৫টি উপজেলাতেই খুব শীঘ্রই শতভাগ বিদ্যুত দেব। অচিরেই শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে দেব। এ সময় বিদ্যুত ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়ে বিদ্যুত খরচ কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুত চাহিদা মেটাতে কয়লা, নবায়নযোগ্যসহ বহুমুখী বিদ্যুত উৎপাদনের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে তার সরকার। ভারত থেকে বিদ্যুত আমদানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নেপাল ও ভুটান থেকেও বিদ্যুত উৎপাদন ও আমদানির আলোচনা চলছে। শতভাগ বিদ্যুতায়িত ৬টি উপজেলা হচ্ছে- গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, নরসিংদীর পলাশ, চট্টগ্রামের বোয়ালখালি, কুমিল্লা সদর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন’ (কম্পিউটার এবং ভাষা শিক্ষণ ল্যাব)’এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে ২০০১টি কম্পিউটার ল্যাব এবং ৬৫ ল্যাংগুয়েজ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞানের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বে আমাদের শিক্ষার্থীরা তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ডিজিটাল সেন্টারের মতো শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবগুলোও কর্মসংস্থানের সৃষ্টির পাশাপাশি আইসিটি ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে প্রতিবছর ১০ লাখ শিক্ষার্থী আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাবে। শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্ষেত্রে সামর্থ্য বাড়ানো ও ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এসব ল্যাব। প্রসঙ্গত, প্রতিটি ল্যাব মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, সাইবার সেন্টার ও ট্রেনিং ল্যাব হিসেবে ব্যবহƒত হবে। এখানে শিক্ষার্থী ছাড়াও আগ্রহী তরুণ-তরুণীরা আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। ২০ শিক্ষার্থী বসার মতো ল্যাব কক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবগুলোতে থাকবে বিশ্বের প্রধান ৯টি ভাষা শেখার সুযোগ। এগুলো হচ্ছে- ইংরেজী (আমেরিকান, ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলিয়ান), চীনা, কোরিয়ান, জাপানিজ, ফরাসী, স্প্যানিশ, জার্মান, আরবী ও রুশ। প্রতিটি ল্যাবে আইটি সরঞ্জামের মধ্যে থাকবে ১৭টি কম্পিউটার, একটি লেজার প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, একটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর (স্ক্রিনসহ), দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জন্য থাকবে থ্রি-জি রাউটার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবগুলোতে বাড়তি হিসেবে থাকবে ভাষার ওপর প্রশিক্ষণ সফটওয়ার ও কনটেন্ট এবং হেড ফোন। ডিজিটাল ল্যাবগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য (এমপি), জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), পৌর কাউন্সিলর, উপজেলায় নিয়োজিত আইসিটি অধিদফতরের সহকারী প্রোগ্রামার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে গঠিত হবে শক্তিশালী উপদেষ্টা কমিটি। তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটি জ্ঞান সম্প্রসারণে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এসব কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ইতিহাস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের স্মরণে কম্পিউটার ল্যাবগুলোকে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ নামকরণ করা হয়েছে। এ কাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সেটাকে বাধাগ্রস্ত করে বাংলার মানুষ যেন নির্যাতিত, বঞ্চিত থাকে সেই অবস্থা সৃষ্টি করতেই জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত দেশব্যাপী শেখ রাসেল বিষয়ে কবিতা, রচনা এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে যথাক্রমে ল্যাপটপ, ট্যাব এবং স্মার্ট ফোনসহ প্রত্যেককে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘শেখ রাসেল’র ওপর একটিসহ দুটি বই উপহার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব বিষয়ে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সে সব প্রকল্প উদ্বোধনের পরই প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। গণভবনের অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের সামরিক ও বেসামরিক পর্যায়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দর প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন স্থানীয় বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমাযুন কবির এবং চীনের পাথর রফতানিকারক ফেলিক্স। পাথর সরবরাহকারী চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিও পায়রা বন্দরে বসে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, নূরে আলম চৌধুরী এমপি, মোঃ মাহবুবুর রহমান এমপি, বেগম লুৎফুন্নেসা এমপি, পররাষ্ট্র সচিব মোঃ শহীদুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ
×