ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুকের আগুনে কপাল পুড়েছে রুনার

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৩ আগস্ট ২০১৬

যৌতুকের আগুনে  কপাল পুড়েছে রুনার

বিয়ের ছয় মাসের মাথায় কপাল পুড়েছে রুনা খাতুনের। বেধড়ক মারধর করে খুনের হুমকি দিয়ে বাবার দেয়া স্বর্ণালঙ্কারসহ কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে নাকফুল পর্যন্ত খুলে এক কাপড়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রান্নার লাকড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে। মাটিতে ফেলে গলায় পা চাপা দেয়া হয়েছে। জবাই করে হত্যার হুমকিতে রুনার বাবা-মা ঘাবড়ে যায়। এখন দরিদ্র রিকশাচালক বাবা মজিবর হাওলাদারের ঘাড়ে বোঝা রুনা। সংসার জীবন অনিশ্চয়তার দোলাচলে ঝুলে আছে। কিশোরী বধূ রুনা দু’চোখে অন্ধকার দেখছে। স্বামীর আদর সোহাগ আর ভালবাসায় জীবন-সংসার গড়ার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। পাষ- স্বামী ও শাশুড়ি সোনাভান বেগম তাড়িয়ে ক্ষান্ত হয়নি। উল্টো চুরির মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেছে। অর্থাভাবে রুনা বিচার চাইতে মামলা করবে এমন সঙ্গতিও নেই। শুধু দু’চোখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছে আর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার কথা ভেবে মলিন মুখে দিন পার করছে। মধ্য টিয়াখালী গ্রামের রিকশাচালক মজিবর হাওলাদারের মেয়ে রুনার সঙ্গে ২০১৫ সালের ২২ জুলাই বিয়ে হয় গলাচিপা উপজেলার পূর্ব বাঁশবুনিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী আকনের ছেলে রেজাউল করিমের। একই দিনে রুনাকে তুলে নেয় রেজাউল। বিয়ের সময় দরিদ্র বাবা-মা মেয়ে জামাইকে সাধ্যমতো স্বর্ণালঙ্কার থেকে শুরু করে কাপড়-চোপড় দিয়েছিলেন। বিয়ের এক মাস না যেতেই রুনার ওপর শুরু হয় নির্যাতন। বিদেশ যাওয়াসহ নানা ছলছুতোয় যৌতুকের দাবি করতে থাকে রেজাউল। একপর্যায়ে নির্যাতন চরমে ওঠে। শেষে কিশোরী বধূ রুনার স্থান হয় বাবার সংসারে। দরিদ্র অসহায় বাবা-মায়ের কাঁধে বোঝা হয়ে মরমে চুপসে থাকে রুনা। যৌতুকের কারণে সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য এবং তাকে নির্যাতনের জন্য দায়ী স্বামীরূপী মানুষটির অমানবিক কর্মকা-ের বিচারের জন্য মামলা করার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই আইনী সহায়তাকারী এবং মানবাধিকার সংগঠনের সহায়তা চেয়েছে রুনা। রুনার মা মমতাজ বেগম জানান, আমার মেয়ের কী দোষ যে স্বামী জবাই করে হত্যা করতে চায়। Ñমেজবাহউদ্দিন মাননু কলাপাড়া থেকে
×