ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বয়স-কথনে রিও অলিম্পিক

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৩ আগস্ট ২০১৬

বয়স-কথনে রিও অলিম্পিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খেলাধুলায় স্বর্ণপদক জিতে কীর্তি গড়া যায় অনেক ভাবেই। তবে স্বর্ণপদক না জিতেও এটা করা সম্ভব। কিভাবে? বয়স দিয়ে! চলমান রিও অলিম্পিকে এমনই কয়েকজন ক্রীড়াবিদ আছেন, যারা এখনও কোন স্বর্ণপদক না জিতলেও শুধু নিজেদের বয়স দিয়ে সবার নজর কেড়েছেন। একজন এই আসরের সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিযোগী, গৌরিকা সিং। নেপালী এই সাঁতারুর বয়স মাত্র ১৩! দ্বিতীয়জন কনক ঝা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়ের বয়স মাত্র ১৬! ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী প্রতিযোগী। আরেকজন অস্ট্রেলিয়ান অশ্বারোহী ফিলিপ ডাটন, যার বয়স ৫২! চলমান রিও অলিম্পিকে ফিলিপ বোঞ্জপ্রদক লাভ করেছেন। এই আসরের সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রতিযোগী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান অশ্বারোহী মেরি হান্নার বয়স শুনলে নিশ্চয়ই ভিমড়ি খাবেন, তার বয়স ৬১! নিউজিল্যান্ড সফরেই ফিরবেন মুস্তাফিজ! স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লন্ডনে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে, আসছে ইংল্যান্ড সিরিজে থাকছেন না মুস্তাফিজুর রহমানÑ বড় প্রশ্ন, তাহলে কবে নাগাদ মাঠে ফিরবেন কাটার মাস্টার? সাধারণত এই ধরনের অস্ত্রোপচার থেকে সুস্থ হতে পাঁচ-ছয় মাস লাগলেও ভক্তদের আশার বাণী শুনিয়েছেন দেবাশিষ চৌধুরী। অস্ত্রোপচারের সময় তার পাশে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক আশা করছেন ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্য সুস্থ হয়ে উঠবেন মুস্তাফিজ। বছরের শেষদিকে নিউজিল্যান্ড সফরেই (২৬ ডিসেম্বরের ২০১৬-২৪ জানুয়ারি ২০১৭) তাকে দলে পাওয়া যাবে। লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুস্তাফিজের বাঁ কাঁধে অস্ত্রোপচার করেন অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জন ওয়ালেস। সফল অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবাশিষ আরও বলেন, ‘মুস্তাফিজের ব্যথা তীব্র নয়, সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সে সুস্থ এবং ভাল আছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘সার্জন ওয়ালেসের পরামর্শ অনুযায়ী মুস্তাফিজের ফিজিও কর্মসূচী শুরু হয়ে গেছে। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর তাকে সহনীয় এক্সারসাইজ করানো হচ্ছে।’ ইংল্যান্ডকে হারাতে চান সাকিব স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) মাতিয়ে শুক্রবার দেশে ফিরেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব-আল হাসান। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার দল জ্যামাইকা তালাওয়াশ। দারুণ খুশি বাংলাদেশী তারকা ঘরের মাটিতে আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে ভাল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের অবশ্যই ওয়ানডে সিরিজে জেতা উচিত। টেস্টে দুই ম্যাচের একটিতে জয় ও একটিতে ড্র করতে চাই। মোট কথা দুই ভার্সন নিয়েই আশাবাদী।’ সব ঠিক থাকলে মিরপুরে ৭ অক্টোবার প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজ। নিজের পারফর্মেন্সেও সন্তুষ্ট সাকিব। ইংল্যান্ড সিরিজে এটা ধরে রাখতে চান। লন্ডনে অস্ত্রোপচার হওয়া সতীর্থ মুস্তাফিজুর রহমান দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন এমন আশা সাকিবের, ‘মুস্তাফিজ বাংলাদেশের হয়ে খুব ভাল শুরু করেছে। অবশ্যই ওর দলে থাকা ও সুস্থ থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি সে দ্রুত ফিরতে পারবে।’ পয়েন্ট পেল শেখ রাসেল স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।’ তিন পয়েন্ট খোয়ানোর চেয়ে এক পয়েন্ট পাওয়া ভাল। সেই মহা কাক্সিক্ষত একটি পয়েন্টই অবশেষে অনেক ঘাম ঝরিয়ে অর্জন করল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে শুক্রবার ময়মনসিংহের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একমাত্র ম্যাচে শেখ রাসেল ১-১ গোলে ড্র করে টিম বিজেএমসির সঙ্গে। গোল করেন রাসেলের জঁ জুলস ইকাঙ্গা এবং বিজেএমসির জাকির হোসেন জিকু। টানা ৪ হারের পর এটা রাসেলের প্রথম ড্র। ৫ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই আছে তারা (দ্বাদশ)। চমক চলছেই বিলেসের স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রিও অলিম্পিকের দ্বিতীয় স্বর্ণ জিতলেন সিমোন বিলেস। ক্রীড়াজগতের মহাযজ্ঞ অলিম্পিকের ষষ্ঠ দিনে জিমন্যাস্টিকসে মহিলাদের অল-এরাউন্ড ফাইনালে ৬২.১৯৮ পয়েন্ট নিয়ে স্বর্ণপদক জিতেন তিনি। অলরাউন্ড ফাইনালে রৌপ্যপদক জিতেছেন সিমোন বিলেসেরই স্বদেশী এ্যালি রাইসম্যান। এদিন ৬০.০৯৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হন তিনি। আর ৫৮.৬৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জপদক জয়ের স্বাদ পেয়েছেন রাশিয়ার আলিয়া মুস্তাফিনা। মাত্র ১৯ বছর বয়স সিমোন বিলেসের। এই সময়ের মধ্যেই জিমন্যাস্টিকসের পাদপ্রদীপের আলোয় অবস্থান করছেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ১০ পদক জয়ের স্বাদ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিস্ময় বালিকা। রিও অলিম্পিক শুরুর আগে থেকেই ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মাখানো তার। বাস্তবেও প্রমাণ করলেন তা। দলগত প্রথম স্বর্ণ জয়ের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় স্বর্ণপদকও নিজের শোকেসে তুলে ছিলেন তিনি। তাও আবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে দুই পয়েন্টেরও বেশি ব্যবধানে। রিও অলিম্পিকে দ্বিতীয় স্বর্ণপদক, দারুণ রোমাঞ্চিত বিলেস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। শেষ পর্যন্ত এই ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিততে পেরে আমিও মুক্ত। এই পদক জয়ের অনুভূতিটা আসলে আমি কখনই আপনাদের বলে বুঝাতে পারব না।’ বয়সে বিশ পেরোনোর আগেই বিলেসকে অনেকেই কিংবদন্তি উসাইন বোল্ট এবং জলদানব মাইফেল ফেলপসের সঙ্গে তুলনা শুরু করে দিয়েছেন। তবে বিলেসের চোখে সে শুধুই বিলেস। এ প্রসঙ্গে তার অভিমত, ‘আমি পরবর্তী বোল্ট কিংবা ফেলপস নই। সবার প্রথমে আমিই সিমোন বিলেস। আমার কাছে আমি শুধুই সিমোন।’ ব্যক্তিগত অল এরাউন্ড ফাইনাল জিতেই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কেঁদে ফেলেন বিলেস। তবে আমেরিকান তরুণ প্রতিভাবান এই জিমন্যাস্টের সামনে তো রয়েছে আরও তিনটি স্বর্ণপদক জয়ের সুযোগ। কেননা রবিবার ভল্টের ফাইনাল, মঙ্গলবার ব্যালান্স বিমের এবং তার একদিন পরই ফ্লোর এক্সারসাইজ ফাইনাল। বাকি তিনটিতেও স্বর্ণপদক জিততে পারলে নিজেকে যে ইতিহাসের সোনালী পাতায় নিয়ে যাবেন তিনি তা প্রায় নিশ্চিত। আর ওইসব ইভেন্টেও তিনি গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের অন্যদের কাছে অপ্রতিরোধ্য। আর ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দেশ হিসেবে টানা চার অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। বিলেসের এই স্বর্ণ জয়ের উচ্ছ্বাস ছুয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের হৃদয়কেও। স্বর্ণপদক জয়ী বিলেস ও রৌপ্যজয়ী অলি রাইসম্যানকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে টুইটারে হিলারি ক্লিন্টন লিখেন, ‘দেশকে স্বর্ণ এবং রৌপ্য উপহার দেয়ায় সিমোন এবং এ্যালিকে অভিনন্দন। তোমাদের এমন অর্জনে আমরা সকলেই গর্বিত।’ ওন্টারিও থেকে রিও... স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওন্টারিওর মেয়ে মাতালেন রিও। বয়স মাত্র ১৬। এই বয়সেই কিনা এক অলিম্পিক আসর থেকে চার-চারটি পদক হাসিল! এমন বিস্ময়কর কীর্তি যার, তিনি কানাডিয়ান কৃষ্ণকেশী সুদর্শনা সাঁতারু পেনি ওলেকসিয়াক। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং ৬৮ কেজির অধিকারী পেনি এবারের রিও অলিম্পিকে (এটা তার অভিষেক অলিম্পিক) মহিলাদের সাঁতারের বিভিন্ন ইভেন্ট থেকে জিতেছেন ১ সোনা, ১ রুপা এবং ২ তামার পদক। স্বর্ণপদক পান ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। গড়েন অলিম্পিক ও আমেরিকান রেকর্ড। ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে পান রৌপ্যপদক। তাম্রপদক লাভ করেন ৪ গুনিতক ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল এবং ৪ গুনিতক ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ইভেন্টে। মজার বিষয়Ñ পেনি কিন্তু স্বর্ণ একাই জেতেননি! জিতেছেন যুগ্মভাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সিমোনে ম্যানুয়েলও জেতেন স্বর্ণ। এর মধ্য দিয়ে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে অলিম্পিক সাঁতারে স্বর্ণ জেতার কীর্তি গড়েন ম্যানুয়েল। এর আগে ২০০০ অলিম্পিকেও যুগ্মভাবে সাঁতারে স্বর্ণ জেতার ঘটনা ঘটেছিল। সেটি হয়েছিল পুরুষদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। পেনি-ম্যানুয়েল দু’জনেই স্বর্ণ জিততে সময় নেন ৫২.৭০ সেকেন্ডে। অথচ এই ইভেন্টে পেনি কিন্তু ফেবারিট ছিলেন না। হিটে তিনি হন যুগ্মভাবে পঞ্চম। সেমিফাইনালে হন দ্বিতীয়। আর ফাইনালে হন প্রথম, তাও যুগ্মভাবে! এর ফলে দুটি আঞ্চলিক রেকর্ডের অধিকারী হন পেনি। ১. কানাডার প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিম্পিকের এক আসরে সবচেয়ে বেশি (৪টি) পদক জয় এবং ২.১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে স্বর্ণ জয়। এছাড়া ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল এবং ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে বর্তমানে তিনি জুনিয়র ওয়ার্ল্ড এবং কানাডিয়ান রেকর্ডেরও অধিকারী বটে। গত বছর সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপেও এমনই চোখ ধাঁধানো সাফল্য কুড়িয়েছিলেন টরন্টোর ওন্টারিওতে জন্ম নেয়া পেনি। সেবার জিতেছিলেন ৬ পদক। এর ১ সোনা, ৪ রুপা এবং ১ তাম্রপদক। পেনির বয়স যখন ৯, তখন তিনি সাঁতার শেখেন পাশের বাড়ির এক প্রতিবেশীর সুইমিং পুলে। এতে উৎসাহ যোগান তার বাবা। সাঁতার শেখার পাশাপাশি পেনি জিমন্যাস্টিক্স এবং নাচও শেখেন। তবে সাঁতারই ছিল তার প্রথম প্রেম। ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরের ওই সাফল্যের পর ২০১৬ রিও অলিম্পিকে পদক জেতার শপথ নেন পেনি। অচিরেই তাকে অলিম্পিকগামী সাঁতার দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রিওতে পেনির সাফল্য দেখে মোটেও বিস্মিত নন তার কোচ বিল ও’টুল।
×