ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিমোনির ইতিহাস

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৩ আগস্ট ২০১৬

সিমোনির ইতিহাস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এবার রিও অলিম্পিকে এসেছেন রাশিয়ান সাঁতারু জুলিয়া এফিমোভা। সর্বোচ্চ সাফল্যটা এ কারণেই ধরা দিচ্ছে না তাকে। অবশ্য এরপরও ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে রৌপ্য জিতেছিলেন সামান্য ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে। এবার ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকেও রৌপ্য জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাকে। স্বর্ণ জিতেছেন জাপানের রিয়ে কানেতো। আর মহিলাদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ইতিহাস গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিমোনি ম্যানুয়েল। তিনি ৫২.৭০ সেকেন্ড টাইমিংয়ে গড়েছেন নতুন অলিম্পিক রেকর্ড। আন্তর্জাতিক এ্যাকুয়াটিক ফেডারেশন (ফিনা) নিশ্চিত করেছে যে তিনিই প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান নারী হিসেবে অলিম্পিকের কোন ইভেন্টে স্বর্ণ জিততে সক্ষম হয়েছেন। ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলের প্রতিযোগিতা শেষে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে অবাক হন সিমোনি। কারণ একই টাইমিং দেখাচ্ছিল কানাডার পেনি ওলেকসিয়াক। টাইমিংটা ছিল অলিম্পিকের নতুন রেকর্ড। উভয়ে যৌথভাবে স্বর্ণপদক জেতেন। আর এ ইভেন্টের ব্রোঞ্জ পান সুইডেনের সারাহ সিওস্টর্ম। ১৯৮৪ সালের অলিম্পিকে সর্বশেষ কোন মার্কিন নারী সাঁতারু এ ইভেন্টের স্বর্ণ জিততে পেরেছিলেন। বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে সেবারও ন্যান্সি হগসহেড এবং ক্যারি স্টেইনসেইফার যৌথভাবে স্বর্ণ জিতেছিলেন। তবে এবারই প্রথম কোন আফ্রিকান-আমেরিকান নারী হিসেবে স্বর্ণ জিতেছেন। পুরুষদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে সর্বশেষবার যৌথভাবে স্বর্ণ জয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার এ্যান্থনি আরভিন ও গ্যারি হল জুনিয়র যৌথভাবে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। মহিলাদের ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সবার দৃষ্টি ছিল এফিমোভার দিকে। তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন সাঁতার থেকে। রিও অলিম্পিক থেকে তাকে নিষিদ্ধ করেছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। কিন্তু ক্রীড়া সালিশ-নিষ্পত্তি আদালতে (সিএএস) আপীল করে জিতে এবার রিও অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন এ রাশিয়ান সাঁতারু। কিন্তু প্রথম থেকেই তিনি দর্শকদের কাছ থেকে দুয়োধ্বনি এবং অন্যান্য সাঁতারুদের কাছ থেকে ঘৃণাব্যঞ্জক আচরণ পেয়ে যাচ্ছেন। ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে রৌপ্য জেতার পর অনেক কটূক্তির স্বীকার হতে হয়েছিল। কাঁদতে কাঁদতে পুল ত্যাগ করেছিলেন তিনি। সে কারণেই ২০০ মিটারের ব্রেস্টস্ট্রোকে এফিমোভা কি করেন তা দেখতে উৎসুক ছিলেন সবাই। এবারও রৌপ্যই জিতলেন তিনি। এফিমোভা এরপর বলেন, ‘এটা দারুণ একটা রেস ছিল। সব মেয়েই যথেষ্ট শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।’ ২০১২ অলিম্পিকের এ ইভেন্টে এফিমোভা জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। কানেতো ২ মিনিট ২০.৩০ সেকেন্ড নিয়ে স্বর্ণ জিতে যান এবার। ২৪ বছর বয়সী এফিমোভা ছিলেন ১.৬৭ সেকেন্ড পিছিয়ে।
×