ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে প্রথম অনুষ্ঠিত হলো উইমেন্স ম্যারাথন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৩ আগস্ট ২০১৬

দেশে প্রথম অনুষ্ঠিত হলো উইমেন্স ম্যারাথন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং নারীর ক্ষমতায়নে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘যুবা নারী মিলেমিশে, দুর্যোগে লড়বো একসাথে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘ঢাকা উইমেন্স ম্যারাথন’। শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হওয়া এ ম্যারাথন দৌড়টি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় টিএসসি গিয়ে শেষ হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ও এভারেস্ট একাডেমির আয়োজনে এবং বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের পরিচালনায় এ ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। ১০ কিলোমিটার এ দৌড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাসহ প্রায় তিন শ’ বিভিন্ন পেশাজীবী নারী অংশ নিয়েছেন। পথে শাহবাগ, কাঁটাবন মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব মোড়, নিউমার্কেট, আজিমপুর মোড়, পলাশীর মোড়, বুয়েট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন, কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন, কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা অফিসার্স ক্লাব, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, ইস্কাটন গার্ডেন রোড ও কাজী নজরুল ইসলাম এ্যাভিনিউ ইন্টারসেকশন, হোটেল রূপসী বাংলা ও শাহবাগ হয়ে ফের টিএসসি এসে শেষ হয়। পরে টিএসসির সামনে আয়োজনটির সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ‘ঢাকা উইমেন্স ম্যারাথনে’ বিজয়ী প্রথম তিনজনকে ট্রফি, পাঁচজনকে নগদ অর্থ ও প্রথম ১০০ জনকে পদক দেয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সবাইকে দেয়া হয় সম্মাননা সনদ। এই ম্যারাথন দৌড়ে প্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুমি আক্তার, দ্বিতীয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মেরুনা ও তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য স্মৃতি। এই দৌড় প্রতিযোগিতায় ২শ’ ৮৯ জন অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকালে টিএসসির সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এভারেস্ট জয়ী মূসা ইব্রাহীম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা, বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ইব্রাহিম চেঙ্গিস প্রমুখ। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বুদ্ধিভিত্তিক সক্ষমতা ও যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য শারীরিক এবং মানসিক সুস্বাস্থ্যের দরকার আছে। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক সুস্থতা প্রয়োজন। যার জন্য এ ম্যারাথনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজকের এ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ নয়, বরং শুরু হয়েছে।
×