ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমিরাত ও কুয়েতের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির তাগিদ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৩ আগস্ট ২০১৬

আমিরাত ও কুয়েতের  শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে কূটনৈতিক  তৎপরতা বৃদ্ধির তাগিদ

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ এবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও কুয়েত সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে সে দেশে বন্ধ থাকা বাংলাদেশীদের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার প্রয়াস নিতে হবে। গত বুধবার মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব, যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হিসেবে পরিচিত, সে দেশের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক যাওয়া বা নেয়ার ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশগুলোতে যেসব বাংলাদেশী কাজ করে আসছেন তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ চট্টগ্রামের। প্রধান দুটি দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশীদের কাজ করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকজন। এক্ষেত্রে সৌদি আরব তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ায় চট্টগ্রাম অঞ্চলজুড়ে অন্য ধরনের সুসংবাদ বয়ে এনেছে। তবে এ সুসংবাদ সারাদেশের মানুষের জন্যও। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে তুলনামূলকভাবে কম হলেও বিভিন্ন ট্রেডে চাকরি নিয়ে মানুষ যাচ্ছেন। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েতে। এ দুই দেশের বিভিন্ন শহরে বিদেশীদের মধ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের বড় একটি অংশ কাজ করেন। পৃথক ঘটনায় এসব দেশে বাংলাদেশী শ্রমিকদের সেসব দেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। সৌদি আরবের ঘটনাও অনুরূপ ছিল। দীর্ঘ কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফরে গিয়ে সে দেশের বাদশার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। যার জের হিসেবে সে দেশের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় গত বুধবার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। অনুরূপভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কুয়েতেও বাংলাদেশী শ্রমিকদের কদর রয়েছে। বিশেষ করে আরব আমিরাতের শহর ও গ্রামাঞ্চলে বাঙালী শ্রমিকদের আধিক্য রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এসব দেশে বাঙালী শ্রমিকরা যেতে পারছেন না। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারের বিশেষ কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা গেলে এসব দেশে যাওয়ার দরজাও বাংলাদেশীদের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে প্রবাসীদের ধারণা। প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাইসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত বিদেশী শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশীদের আধিক্য রয়েছে। আবার এর মধ্যে চট্টগ্রামের মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এসব দেশের শ্রমবাজার যতই উন্মুক্ত হবে, ততই বাংলাদেশের অর্থনীতির পাশাপাশি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক অর্থনীতিও ত্বরান্বিত হবে। প্রতিনিয়ত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীর ভূমিকা বেশ গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হয়ে থাকে।
×