ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাশমণি স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১২ আগস্ট ২০১৬

রাশমণি স্মৃতিসৌধ

রানিখং থেকে বিজয়পুর পাহাড়ে যাওয়ার পথে বহেরাতলিতে অবস্থিত রাশমণি স্মৃতিসৌধ। ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি, সংঘটিত কৃষক ও টংক আন্দোলনে প্রথম শহীদ নেত্রী হাজং মাতা রাশমণির স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাশমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এ স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেছে। সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী সুসং দুর্গাপুরের রানিখং গ্রামে ১৯১২ সালে একটি ক্যাথলিক গির্জা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা কালের স্বাক্ষী সাধু যোসেফ ধর্মপল্লী নামে পরিচিত। বিজয়পুর পাহাড় রাশমণি স্মৃতিসৌধ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিজয়পুরে আছে বাংলাদেশের একমাত্র সাদা রঙের চীনা মাটির পাহাড়। এই পাহাড়ের মাটির রং সাদা থেকে হাল্কা গোলাপী রঙের হয়ে থাকে। এই মাটি সাধারণত সিরামিকের জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মাটি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পাহাড় খননের ফলে এখানে তৈরি হয়েছে জলাধার। এই জলাধারের পানি একেবারেই স্বচ্ছ নীল। বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি ও জাদুঘর এখানে সুসং দুর্গাপুরে আদিবাসীদের ভাষা, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক চর্চা ও সংরক্ষণ করা হয়। বছরব্যাপী এখানে বিভিন্ন উপজাতিও অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বিভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিক নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘরও রয়েছে। বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প সুসং দুর্গাপুর ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় চোরাচালান প্রতিরোধে এ ক্যাম্পটি কাজ করে। বিজয়পুর বিজিপি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে সুমেশ্বরী নদী প্রবাহিত হওয়ায় ক্যাম্প থেকে প্রমত্তা সুমেশ্বরীর চমৎকার সৌন্দর্য চোখে পড়ে। কমলা রানীর দীঘি দুর্গাপুরের পার্শ্ববর্তী বিরিশিরি ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই কমলা রানীর দীঘি। এই কমলা রানীর দীঘি সাগর দীঘি নামেও পরিচিত। নদী ভাঙ্গনের ফলে দীঘিটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেলেও এর দক্ষিণ-পশ্চিম পাড় এখনও কালের সাক্ষী হয়ে আছে। এর দীঘি নিয়ে অনেক পৌরাণিক কাহিনী প্রচলিত আছে বলে লোকমুখে শোনা যায়। কিভাবে যাবেন ঢাকার মহাখালীর বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি দুর্গাপুর যাওয়ার বাস ছাড়ে। ভাড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এ ছাড়াও ট্রেনে যেতে পারেন কমলাপুর থেকে নেত্রকোনা হয়ে সুসং দুর্গাপুর। নেত্রকোনা থেকে সিএনজি করে যেতে হবে দুর্গাপুরে। কোথায় থাকবেন বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির নিজস্ব রেস্ট হাউস ও জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, ওয়াইএমসিএ নামক প্রতিষ্ঠানের গেস্ট হাউস আছে। এ ছাড়াও উপজেলা সদরে বিভিন্ন হোটেল রয়েছে। ওয়াইএমসিএর কক্ষ ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। যোগাযোগের জন্য ১৭১৬২৭৭৬৩৭। এ ছাড়াও দুর্গাপুরের সাধারণ মানের কিছু হোটেল রয়েছে। স্বর্ণা গেস্ট হাউস (০১৭২৮৪৩৮৭১২), হোটেল সুসং (০১৯১৪৭৯১২৫৪) ইত্যাদি। এসব হোটেলে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে থাকার ব্যবস্থা আছে।
×