ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীদের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাতীয় ঐক্য নয় ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১২ আগস্ট ২০১৬

জঙ্গীদের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাতীয় ঐক্য নয় ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ ১৪ দলের সমন্বয়ক, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ২০১৯ সালের আগে দেশে কোন নির্বাচন নয়। দেশে নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এবং ১৪ দলের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে। খালেদা জিয়া এ দেশের নাশকতা সৃষ্টিকারী ও ‘জঙ্গীদের নেত্রী’। তার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার কোন অধিকার নেই। জঙ্গীবাদের কারণে দেশের মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন খালেদা জিয়া ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন। জঙ্গীদের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাতীয় ঐক্য করা যাবে না। কারণ জামায়াতকে কোন দিনই বিএনপি ছাড়তে পারবে না। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় দিনাজপুর শহরের ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ মাঠে ১৪ দল আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। দেশের এই এগিয়ে যাওয়া ও ব্যাপক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দেশী-বিদেশী দালালদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তার এ ষড়যন্ত্র ১৪ দলের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবেন। দেশের মানুষকে জিম্মি ও ধর্মের নামে ইসলামী জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে একের পর এক দেশী-বিদেশী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে হত্যা ও অপহরণ করছে। তার লেলিয়ে দেয়া জঙ্গীদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চিহ্নিত করেছে। একের পর এক জঙ্গীরা আটক হচ্ছে এবং তাদের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেছে। জনগণ জেনে গেছে বিএনপি-জামায়াতরাই এই জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত। খুনী, সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, ক্ষমতালোভী বিএনপি-জামায়াতের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোন আপোস হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে জঙ্গীবাদবিরোধী কমিটি পাড়া-মহল্লায় গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কমিটিতে কোন বিএনপি-জামায়াত ও দেশদ্রোহী সদস্য হতে পারবে না। কমিটিতে দেশপ্রেমী মানুষ, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মসজিদের ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন নাগরিকরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। তাদের নেতৃত্বেই গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি পাড়া-মহল্লায় জঙ্গীবাদীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে। যদি কোন পরিবারের সদস্য নিখোঁজ থাকে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশে নতুন করে ধর্মের নামে সম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের নামে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া খুনখারাবি চালাচ্ছে। যে দলের সৃষ্টি হয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। ক্ষমতায় থেকে খালেদা-নিজামী বলেছিল, এ দেশে বাংলা-ইংরেজী ভাই বা জঙ্গীবাদ বলে কিছু নেই। জঙ্গীবাদ মিডিয়ার সৃষ্টি। সে সময় আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলকে ধ্বংস করতেই খালেদা-নিজামী জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছিল। ১৪ দল ক্ষমতায় এসে দেশ থেকে জঙ্গীবাদকে প্রতিহত করতে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। এসব দেখে বিএনপি নেত্রী দেশী-বিদেশী দালালদের নিয়ে দেশের মানুষকে জিম্মি করে রগ কাটা, নখ কাটা ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। কেউ রক্ষা পাবে না। সকলকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। এখনও সময় আছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়াকে আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেনÑ সাবেক মন্ত্রী ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, শিবলী সাদিক এমপি, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউর রশিদ খান, দিনাজপুর জেলা জাসদের সভাপতি এ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, ১৪ দলের নেতা আব্দুল হকসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।
×