ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টুটুল মাহফুজ

সাগরের গভীরে বিস্ময়

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১২ আগস্ট ২০১৬

সাগরের গভীরে  বিস্ময়

লস্ট সিটি মধ্য-আটলান্টিকের প্রায় ৮০০ মিটার গভীরে অবস্থিত এই এলাকায় থাকা অসংখ্য ছিদ্র থেকে মিথেন আর হাইড্রোজেন গ্যাস বের হয়। ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেখানকার ইকোসিস্টেম পৃথিবীর অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে একেবারে ভিন্ন। ২০০০ সালে এই ছিদ্রগুলোর দেখা পান বিজ্ঞানীরা। তাঁদের ধারণা, প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বছর ধরে এরকম হচ্ছে। সামুদ্রিক মরুদ্যান ক্রান্তীয় প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলে ৫০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই স্থানটি। ইউনেস্কো এটিকে ‘সামুদ্রিক মরুদ্যান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এখানে বিশাল বিশাল আকারের মাছ,হাঙর, টুনা, ডলফিন ও তিমি রয়েছে। বিশেষ করে এখানেই আছে নীল তিমি। আর বিরল প্রজাতির লেদারব্যাক কচ্ছপও দেখা যায় এখানে। সাদা হাঙ্গর ক্যাফে মেরিন বায়োলজিস্টরা ঠিক এই নামটিই দিয়েছেন। আসলে এটি কোন কফি হাউস নয়, উত্তর আমেরিকার মেইনল্যান্ড এবং হাওয়াই এর মাঝামাঝি অবস্থান এটির। খালি চোখে এটিকে তেমন বিশেষ কিছু মনে হবে না। কিন্তু সাদা হাঙ্গর সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এই এলাকায়। এখানেই তারা খাবার খায় এবং প্রজনন করে। সারগাসো সাগর ধারণা করা হয় ১৪৯২ সালে কলোম্বাস এই স্থানটি প্রথম ভ্রমণ করেছিলেন। বারমুডার দ্বীপগুলো সারাগাসো সাগরের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। এর বিশেষত্ব হলো ভাসমান শৈবাল, মেরিন বায়োলজিস্টরা যাকে বলছেন, ‘ভাসমান স্বর্ণালী রেনফরেস্ট’। এছাড়া এলাকাটি ইউরোপীয় ও আমেরিকান ইল মাছদের প্রজনন ক্ষেত্র। আটলান্টিকের তীর ভারত মহাসাগরের আটলান্টিকের তীরে সমুদ্রের ৭০০ থেকে ৪,০০০ মিটার গভীরে প্রবাল প্রাচীর, খাড়ি, সমুদ্র সৈকত এবং লেগুনে দেখা মিলবে বড় বড় বায়ুপরাগী ফুল, চেয়ারের সমান স্পঞ্জ এবং শৈবালের। এটি আসলে একটি দ্বীপ, যেটি কয়েক লাখ বছর আগে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।
×