ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জুলাইয়ে রফতানি কমেছে সাড়ে তিন শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১২ আগস্ট ২০১৬

জুলাইয়ে রফতানি কমেছে সাড়ে তিন শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আশানুরূপ রফতানি আয়ের মধ্য দিয়ে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষ করলেও নতুন অর্থবছরের শুরুতে হোঁচট খেয়েছে রফতানি আয়। গত জুলাইয়ে রফতানি আয় পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ২৫ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৩৭ কোটি মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ২৫৩ কোটি ডলার। অথচ এক মাস আগে অর্থাৎ জুনে প্রায় ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রফতানি হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ডলারের পণ্য। আর গত বছরের জুলাইয়ে রফতানি আয় হয়েছিল ২৬২ কোটি ডলার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি কাক্সিক্ষত পরিমাণে না হওয়ায় রফতানি গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় কমে গেছে। ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি থাকায় অনেক কারখানার উৎপাদন কম হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রফতানিতে। সম্প্রতি গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার প্রভাবে এ রফতানি কম হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছে। তবে রফতানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রফতানি কমার ক্ষেত্রে গুলশান হামলায় বিদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার প্রভাব নেই। কেননা রফতানি হওয়া পণ্যের অর্ডার আগেই নেয়া। তবে আগামী মাসগুলোতে রফতানি কমতে থাকলে তা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ের চাইতে গত জুলাইয়ে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি কমেছে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ২২২ কোটি ডলার সমপরিমাণ গার্মেন্টস পণ্য রফতানি হলেও গত জুলাইয়ে তা ২১১ কোটিতে নেমে এসেছে। অন্যদিকে জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এটি ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ কম। জুলাইয়ে ৩০৩ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২১১ কোটি ডলার। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ঈদের সময় কারখানায় ৭ থেকে ১০ দিন বন্ধ ছিল। এর ফলে উৎপাদন কম হয়েছে। তবে কারখানা চালু হওয়ার পর ফের পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। ফলে আগস্ট থেকে পোশাক রফতানি বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। তৈরি পোশাকের বাইরে পাটের রফতানি বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এ খাতের সব ধরনের পণ্যের আয় বেড়েছে। মাছ, চিংড়িসহ হিমায়িত সব পণ্যের আয় কমেছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। ওষুধের ১৯ দশমিক ৪৫, চায়ের ৩৫ ও চামড়া ও চামড়া পণ্যের রফতানি কমেছে দুই দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে চামড়া পণ্যের বেড়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি। বাদবাকি প্রায় সব পণ্যেরই রফতানি আয় কমেছে গত জুলাইয়ে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে রফতানি হয়েছিল ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য। এর ওপর ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ হাজার ৭শ’ কোটি মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।
×