নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১১ আগস্ট ॥ আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত নাজমা মেডিকেয়ার ক্লিনিকে অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় আমেনা বেগম (৬০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে ওই পরিবারের সঙ্গে অপোস করে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা দেন ক্লিনিকের মালিক। বুধবার রাতে মৃত আমেনা বেগমের ছেলে জুয়েল শেখের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই টাকা তুলে দেন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন অর রশীদ। আমেনা বেগম পাশের বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের দরিদ্র কৃষক আসাদ মোল্লার স্ত্রী।
আমেনা বেগম গত ২০ জুন নাজমা মেডিকেয়ারে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ফজলুল করিম জানান, রোগীর জরায়ুতে টিউমার ও পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। এজন্য একসঙ্গে তিনটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। রোগীর ছেলে জুয়েল শেখ তার মায়ের এত রোগের সংবাদ শুনে কোন উপায় না দেখে সব দায়িত্ব ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দেন। পরে চিকিৎসকরা প্রথমে ওই রোগীর জরায়ুতে অস্ত্রোপচার করেন। এ সময়ই মলদ্বারের নাড়ি কেটে ফেলেন। ক্লিনিকে ছয় দিন ভর্তি থাকার পর কোন উন্নতি না হওয়ায় ২৬ জুন রোগীকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে আমেনা বেগমের অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ২২ জুলাই আবার তাকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৭ জুলাই বুধবার প্রথমে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা সিটি হাসপাতালে আমেনাকে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: