ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সব রণাঙ্গন থেকেই পালাচ্ছে তারা

সশস্ত্র আইএস জঙ্গীর সংখ্যা নেমে এসেছে ১৫ হাজারে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১২ আগস্ট ২০১৬

সশস্ত্র আইএস জঙ্গীর সংখ্যা নেমে এসেছে ১৫ হাজারে

শীর্ষস্থানীয় এক মার্কিন কমান্ডার দাবি করেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ফলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের ৪৫ হাজার জঙ্গী এখন আর রণাঙ্গনে নেই এবং জঙ্গীদের বর্তমান সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজারে নেমে এসেছে। এদের মধ্যে অনেকেরই লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিন ম্যাকফারল্যান্ড বলেন, আইএস জঙ্গীদের মান ও সংখ্যা দুই-ই হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের যথার্থ সংখ্যা নিরূপণ করা কঠিন। এর আগে এক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, আইএস জঙ্গীদের সংখ্যা ১৯ হাজার থেকে ২৫ হাজার। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে এদের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজারের মধ্যে। তিনি বলেন, শত্রুরা সকল রণাঙ্গনেই পিছু হটছে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত স্থানীয় বাহিনীর ইরাক ও সিরিয়ায় সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। দুটি দেশেই বিদেশী জঙ্গীদের আগমন হ্রাস পেয়েছে এবং আইএসের জন্য লড়াই করতে যাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে যুদ্ধে অনিচ্ছুক অথবা প্রশিক্ষণ নেই। ম্যাকফারল্যান্ড পেন্টাগনের এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, রণাঙ্গনের কোন কোন স্থানে গিয়ে এসব তথ্য আমি জেনেছি। এখন এলাকাগুলোতে যে কোন সময় যাওয়া সহজ। এক বছর আগে এমনটা ছিল না এবং লড়াইয়ে তেমন প্রস্তুতিও নেই শত্রুদের। তিনি বলেন, সিরিয়ায় মানবিজ শহরে আইএসকে পরাজিত করতে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) গ্রুপের সময় লাগবে মাত্র কয়েক সপ্তাহ। সিরিয়ার মানবিজের অনেক অংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এসডিএফ এবং শত্রুদের প্রতিরোধ ঘাঁটিগুলো হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন। তিনি বলেন, শত্রুদের বিদেশী জঙ্গীরা এখনও প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। ম্যাকফারল্যান্ড বলেন, ইরাকী সৈন্যরা উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহর পুনর্দখল শুরু করার অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু মসুল পুনর্দখলের লড়াইয়ের জন্য উত্তরাঞ্চলে কাইয়ারাহ বিমাঘাঁটিকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারার আগে ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের এখনও কিছু কাজ করার রয়েছে। মসুল থেকে আইএসকে উচ্ছেদ করার লড়াইয়ের জন্য বিমান ঘাঁটিকে এক সমাবেশ ক্ষেত্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাকে আরও ৫শ’ ৬০ মার্কিন সৈন্য পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছেন। আইএস ২০১৪’র জুন থেকে মসুল দখল করে আছে। এবং গ্রুপটি এ শহরকে সদর দফতর হিসেবে ব্যবহার করছে। ওবামা যে সেনাদল পাঠাচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রকৌশলী, রসদ সরবরাহকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। ম্যাকফারল্যান্ড সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, দুটো দেশেই সফলতা অর্জিত হওয়ার পরও আইএস হুমকি হিসেবে বজায় থাকবে। তিনি বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় সামরিক সফলতায় অবশ্যই এটা বোঝায় না যে আইএস শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এ শত্রু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং ৩ জুলাই বাগদাদে হামলার মতো ভয়াবহ হামলা চালাতে সমর্থ এক যথার্থ বিদ্রোহী শক্তি ও সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হবে।
×