ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত খাতে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জাইকার সন্তোষ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১২ আগস্ট ২০১৬

বিদ্যুত খাতে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জাইকার সন্তোষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দেশের বিদ্যুতখাতে নেয়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। হলি আর্টিজানের সন্ত্রাসী হামলার পর জাপানের একটি পত্রিকা জাইকার সহায়তায় প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়েছে বলে বিভ্রান্তিকর খবর ছাপে। এরপর বিভিন্ন মহলে জাইকার নিরাপত্তা সংশয়ের কথা আলোচিত হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এবং জাইকার প্রতিনিধি দল বিদ্যুত, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা ইস্যুতে নিজেদের সন্তোসের কথা জানান। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, হলি আর্টিজানের পর বাংলাদেশ সরকারের নেয়া নিরাপত্তার ব্যাপারে স্বস্তি প্রকাশ করেছে জাপানের প্রতিনিধি দল। নিরাপত্তা জোরদার করতে মাতারবাড়ির ওই প্রকল্পে ইতোমধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান নিয়োগ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে জাইকার ৪৩ জন কর্মী এখন মাতারবাড়িতে কাজ করছেন। জাপানের প্রতিনিধি দলকে বলা হয়, নিরাপত্তা বাড়াতে যদি আর কোন পরামর্শ থাকে তাহলে বাংলাদেশ সরকার সেটি গ্রহণ করবে। মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র দাখিলের জন্য জাপানী কম্পানির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। জাপান থেকেই এ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থাও করা হবে বলে বিদ্যুত বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়। জাপানের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের নেয়া নিরাপত্তা কার্যক্রমে আমরা সন্তুষ্ট হলেও জাইকাতে যেসব কর্মী কাজ করছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। জাপানের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যুত বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানেবে ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের দুই ফাস্ট সেক্রেটারি, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতায়েদা ছাড়াও জাইকার আরও দুই প্রতিনিধি। আর বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুত সচিব মনোয়ার ইসলামসহ বিদ্যুত ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা। কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে জাপানের জাইকার অর্থায়নে নির্মিতব্য বিদ্যুত কেন্দ্রে দুটি জাপানী কোম্পানি অংশ নিতে যাচ্ছে। প্রয়োজনে এ দুটি কোম্পানিই জাপানেই দরপত্র জমা দিতে পারবে। বাংলাদেশের কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে জাপানের সাহায্য সংস্থা জাইকার অর্থায়নে একটি কয়লা বন্দর, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের অবকাঠামো ও একটি ১২০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। ১২০০ মেগাওয়াটের এ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করার কথা ছিল গত ২৪ জুলাই। এ দরপত্রে জাপানের দুটি প্রতিষ্ঠান তোশিবা করপোরেশন ও মিতসুবিসি হিতাচি পাওয়ার সিস্টেম অংশ নিতে ডকুমেন্ট কিনেছে। তবে এর আগে গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন। এর মধ্যে সাতজন ছিলেন জাপানী নাগরিক। এ ঘটনায় জাইকা থেকে অনুরোধ করা হয় দরপত্র আহ্বানের তারিখ পিছিয়ে দিতে। পরিবর্তিত নতুন দরপত্র আহ্বানের তারিখ ঠিক করা হয়েছে ২৪ আগস্ট।
×