ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুহিতুল ইসলামের শয্যাপাশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:১১, ১১ আগস্ট ২০১৬

মুহিতুল ইসলামের শয্যাপাশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এএফএম মুহিতুল ইসলামকে দেখতে হাসপাতালে যান। এএফএম মুহিতুল ইসলাম বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। মন্ত্রী তার শয্যাপাশে কিছু সময় কাটান এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় মুহিতুলের চিকিৎসার সকল ব্যয় সরকার বহন করবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুহিতুলের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। মুহিতুল ইসলামের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে নয় সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান তাকে দেখতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আলী আসগর মোড়ল, এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ দেবব্রত বণিক। অধ্যাপক ডাঃ দেবব্রত বণিক জানান, এএফএম মুহিতুল ইসলাম বর্তমানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনির কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এ কারণে তাকে একদিন পর পর ডায়ালাইসিস দেয়া হচ্ছে, একইসঙ্গে তার ফুসফুসের সংক্রামক (নিউমোনিয়া) মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যা কোন জীবাণুনাশকেই ভালভাবে কাজ করছে না। এছাড়া তার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অনেকটাই ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল বলে জানান দেবব্রত বণিক। মুহিতুল ইসলামের একমাত্র কন্যা বাঁধন বলেন, বাবা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন এজন্য আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। মুহিতুল ইসলামের নিরাপত্তারক্ষী মোঃ শামসুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট আসার আগে স্যারের খোঁজ নিত সব গণমাধ্যম। ৩২ নম্বরে (ধানম-ি ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর বাড়ি) গিয়ে কত সাক্ষাতকার দিয়েছেন, স্যারের সঙ্গে সব সময় পাশে থাকতাম, উনি বক্তব্য দিতেন। এবার স্যার অচেতন হইয়া আছেন, ১৫ আগস্ট চলে আসছে। স্যার যেন আবার ১৫ আগস্ট নিয়া কথা বলতে পারেন, সেজন্য সবার দোয়া চাই আমরা। ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী এই মুহিতুল ইসলাম।
×