ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নুসরাত ইমরোজ তিশা

বাবার ইচ্ছাতেই গান গাইতাম

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১১ আগস্ট ২০১৬

বাবার ইচ্ছাতেই গান গাইতাম

তিশার মিডিয়া জগতের রঙিন ভুবনে আসার গল্প জানতে চাই? তিশা : ১৯৯৫ সালে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলাম। গান করতে করতেই ১৯৯৭ সালে অনন্ত হীরার লেখা আর আহসান হাবীবের প্রযোজনায় ‘সাতপেড়ে কাব্য’ নামে একটি নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে শখের বশে অভিনয় করি। আমার মিডিয়া জগতে পদার্পণ টেলিভিশনের মাধ্যমেই। একজন মডেল তিশা হয়ে উঠলেন কিভাবে? তিশা : মেরিল লিপজেলের বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু করি। এরপর একে একে করি কোকাকোলা, সিটিসেল আর কেয়া সাবানের বিজ্ঞাপনে অভিনয়। এ সবগুলোই দর্শকরা ভালভাবেই নেয়। কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়ের প্রতি আলাদা ভালবাসা তৈরি হওয়ায় মডেলিং থেকে একটু দূরে থাকি। ছোটপর্দায় পূর্বে কাজ করেছেন। বর্তমানে বড়পর্দায়ও কাজ করছেন। তো লং টাইম প্রিপারেশনের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? তিশা : আমার কাছে মনে হচ্ছে সবই এক। ছোটপর্দা, বড়পর্দা, নাটক বা সিনেমা এ্যাকটিং এ সবই তো আমাকে করতে হচ্ছে। একটা ভাল স্ক্রিপ্টে আমাকে ভালভাবে প্রিপারেশন নিয়ে কাজ করতে হয়। সবকিছু মিলে আমি নিজেকে ঠিক সেভাবেই প্রস্তুত করছি। আর সেই প্রস্তুতিটাও আমি দীর্ঘস্থায়ী হিসেবেই নিচ্ছি। কিন্তু বড়পর্দায় তো নাচ বা অন্যান্য বিষয়ে বেশি পারদর্শী হতে হয়। গ্লামারাস জগৎ বলে কথা! কমার্শিয়ালি চিন্তা করলে সেটা কি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের ব্যাপার নয়? তিশা : আমি নাটকেও অনেক নাচানাচি করেছি। প্রায় নাটকেই অনেক নাচ হয়েছে। আর সেসব নাটকও কমার্শিয়াল। কারণ সেখানে আমি নায়িকার ক্যারেক্টার করেছি, নাচানাচি ও গান করেছি। তো আমার কাছে বড়পর্দার কাজ, ছোটপর্দার কাজ কিংবা মিডিয়াম পর্দার কাজ- সেটা তেমন ফ্যাক্টর নয়। আর আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েই সকল সেক্টরে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। ছোটপর্দা বা বড়পর্দায় ভাল স্ক্রিপ্ট আপনার কাছে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে? তিশা : আমি মনে করি একটা ভাল স্ক্রিপ্ট হলে বড়পর্দা, ছোটপর্দা কিংবা যে পর্দায়ই হোক না কেন আমি ফুল এ্যাফোটে কাজ করতে পারব। আমরা যে কাজই করি না কেন তার মধ্যে গান থাকে। ভাল ভাল স্টোরি থাকে, নানা রকম স্টেপস থাকে, রোমান্স-এ্যাকশন সব থাকে। সো প্রত্যেকটা নাটকই ওয়ান কাইন্ড অব স্মল ফিল্মস। ইটস মাই পয়েন্ট অব ভিউ। যেহেতু আমরা তিশাকে ছোটপর্দায় দেখে অভ্যস্ত, সেক্ষেত্রে তিশাকে বড়পর্দায় কতটুকু সফল হিসেবে দেখতে পারব? তিশা : ইট ডিপেন্ডস্। আগে আমি যে কয়েকটা ফিল্ম করেছি সেখানে দর্শক আমাকে এ্যাকসেপ্ট করেছে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, টেলিভিশন। অন্যদিকে অস্তিত্বের ক্ষেত্রেও দর্শকদের এ্যাকসেপ্টেন্স ছিল চোখে পড়ার মতো। পরবর্তীতে বলিউডের শক্তিমান অভিনেতা ইরফান খানের সঙ্গে ফারুকীর নির্মাণে ‘ডুব’ ফিল্মটিও আশা করি দর্শকপ্রিয়তা পাবে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক সাকিবের সঙ্গে করা শামিম আহমেদ রনির ‘মেন্টাল’ ফিল্মটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। আই হোপ দ্যাট দর্শকরা যেহেতু এতদিনেও আমাকে ডিনাই করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। আর আমার ফিল্মের ধুম-ধারাক্কা সব ভিডিও আগে-ভাগেই তো ইউটিউবে চলে আসে। সেখানেও আমাকে দর্শকরা ভালভাবে এ্যাকসেপ্ট করছে। আজকের তিশার ভবিষ্যত ভাবনাটা কি? তিশা : সামনের ভাবনা হচ্ছেÑ ভাল কাজ করেই যাব। দর্শক শ্রোতাদের জন্যই কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করব। একসময় আপনার একটি ব্যান্ডদলও ছিল। সেই ব্যান্ডদলটি কি এখনও আছে? তিশা : আমরা চার বন্ধু রুমানা, নাফিজা, কণা এবং আমি মিলে অনেক আগে গঠন করেছিলাম ব্যান্ডদল ‘এ্যাঞ্জেল ফোর।’ যদিও সে ব্যান্ড দলটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারিনি । ২০০৩ সাল থেকে আমার নাটকে অভিনয়ের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। অন্য সদস্যরাও তখন যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে দলটি ভেঙে যায়। বিটিভির ‘নতুনকুঁড়ি’ অনুষ্ঠানে একসময় তিশার গানের সঙ্গে সখ্য ছিল। ভবিষ্যতে গান করার প্লান আছে কি? তিশা : আমি ব্যাসিক্যালি গোল্ডকাপ পেয়েছি গানে। প্রবলেম হয়েছে, বাবা মারা যাওয়ার পর আমি গানটি নিতে পারিনি । বাবার ইচ্ছাতেই আমি গান গাইতাম! তখন থেকে কোনভাবেই আমি ওটাতে আর ইনভলব হতে পারিনি । আবার আরেকটা জিনিস মনে করি, নাটকে যখন কাজ করি তখন আমি আমার নাচ, গান সব কিছুই ইউটিলাইজ করতে পারছি একটা সার্টেন জায়গায়। এই জন্য হয়ত বা ওইটার প্রয়োজনীয়তাটাও তেমন অনুভব করিনি । তবে ইচ্ছা আছে, ভবিষ্যতে হয়ত বা আমি গান গাইতেও পারি। হয়ত বা আমি কোন এ্যালবাম বের করতেও পারি। তবে কখন ঠিক বলতে পারছি না।
×