ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের ৫ কন্যার স্বর্ণ জয়

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১১ আগস্ট ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের ৫ কন্যার স্বর্ণ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রিও অলিম্পিকেও রাজত্ব করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্টিক দল। রিওতে জিমন্যাস্টিকসের দলগত ভোল্ট ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে তারা। সর্বমোট ৮.২০৯ পয়েন্ট গড়ে স্বর্ণপদক জিতে আমেরিকার জিমন্যাস্টিকস দল। ২০০৬ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় জয়। সেই সঙ্গে লন্ডন অলিম্পিকে ৫.০৬৬ পয়েন্ট নিয়ে গড়া রেকর্ডকেও খুব সহজে ছাড়িয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের সিমোন বিলেস, গ্যাবি ডগলাস, এ্যালি রাইসম্যান, মেডিসন কোসিয়ান ও লাওরি হার্নান্দেজ। এই ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছে রাশিয়া। চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকেও রৌপ্য জিতেছিল রাশিয়া। এবারও সেই দ্বিতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের। আর তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছে চীনের প্রমীলারা। যারা ২০০৮ সালে নিজেদের মাটিতে স্বর্ণপদক জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। রিওতে স্বর্ণ জেতায় এক যুগ পর জিমন্যাস্টিকসে শিরোপা ধরে রাখার রেকর্ডও গড়ল আমেরিকা। এর আগে ২০০০ এবং ২০০৪ সালে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতেছিল রোমানিয়া। অলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসে আমেরিকার এটি তৃতীয় স্বর্ণ জয়। এর আগে সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের স্বাদ পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার আমেরিকাকে জিমন্যাস্টিকসের শিরোপা উপহার দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সিমোন বিলেস। মাত্র ১৯ বছর বয়স সিমোন বিলেসের। ইতোমধ্যেই নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকে এতটাই ছোট্ট ছিলেন যে শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণই করতে পারেননি তিনি। রিওতে এবার নিজের প্রথম দলগত ইভেন্টেই আলো ছড়িয়েছেন। তবে তার ঝলক এখনও অনেক বাকি। কেননা আরও চারটি ইভেন্টে যে পারফর্ম করবেন তিনি। গত তিন বছর ধরেই জিমন্যাস্টিকসে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন সিমোন বিলেস। এই সময়ের মধ্যেই ১০ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম অলিম্পিকেই পাঁচ স্বর্ণ জয়ের রেকর্ডের হাতছানি তার সামনে। তবে প্রথম স্বর্ণ জয়ের পরই রোমাঞ্চিত বিলেস। প্রতিযোগিতার শেষে তিনি টুইটারে লিখেন, ‘যেন স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হলো।’ তবে এটাকে নাকি অলিম্পিকের মতো মনে হয়নি বিলেসের বরং অন্য আরেকটি প্রতিযোগিতার মতোই মনে হয়েছে তার, ‘আমার কাছে এটাকে অলিম্পিকের মতো মনে হয়নি বরং অন্য আরেকটি প্রতিযোগিতার মতোই মনে হয়েছে।’ আর সাফল্যের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জিমন্যাস্টিকসে সাফল্যের মূল কারণই হলো আমরা নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাসী। আমাদের দলের সকলেই একে অন্যের ওপর বিশ্বাস করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাপ অনুভব করি না। এটাই আসলে আমাদের সহায়তা করে।’
×