ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটিশ সামরিক মূল্যায়নপত্র ফাঁস

ব্রিটেনকে যুদ্ধে হারাবে রাশিয়া

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১১ আগস্ট ২০১৬

ব্রিটেনকে যুদ্ধে হারাবে রাশিয়া

রাশিয়ার সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্রিটিশ সৈন্যদের হারিয়ে দিতে পারে। ক্রেমলিন সামরিক শক্তি অর্জনে এগিয়ে যাওয়ায় এটি সম্ভব হতে পারে। ফাঁস হওয়া এক রিপোর্টে একথা বলা হয়। এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো টেলিফোনে কথা বলেন। দু’নেতা আগামী মাসে চীনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হতে পারেন। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে একথা নিশ্চিত করা হয়। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধকলা শাখার এক মূল্যায়নপত্রে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, রাশিয়ার রকেট লঞ্চার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমেত অস্ত্রভা-ার ব্রিটিশ অস্ত্রশস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। মূল্যায়নপত্রটি দি টাইমস পত্রিকার নজরে এসেছে। ফাঁস হওয়া সামরিক রিপোর্টে আরও বলা হয়, শত্রুর ড্রোন ছিনতাই ও অন্যান্য সামরিক ট্রান্সমিশন ছিন্নভিন্ন করার জন্য রাশিয়ার ইলেক্ট্রনিক উপায় ব্যবহারের সামর্থ্যরে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে যুক্তরাজ্য ও এর ন্যাটো মিত্ররা হিমশিম খাচ্ছে। ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক ট্রান্সমিশন যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ক্ষেত্রে রাশিয়া সামরিক শক্তির দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যের বাহিনীর চেয়ে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। অবশ্য এরূপ সংঘর্ষের সম্ভাবনা আপাত নেই। দি টাইমস পত্রিকায় একথা বলা হয়। এতে বলা হয়, আমাদের কিছু ব্যয়বহুল ও উন্নত মানের অস্ত্রের সংখ্যা ২০০৩ সাল থেকে হ্রাস পাওয়ায় আমাদের অবশ্যই রণকৌশল নির্ধারণের পর্যায়ে দূরদর্শিতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় খুঁজে পেতে হবে। আমাদের একথা মেনে নিতে হবে যে, কোন কোন প্রতিদ্বন্দ্বী আমাদের নিজস্ব অস্ত্রের তুলনায় উৎকৃষ্টতর অস্ত্রসজ্জিত হয়ে থাকতে পারে। সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল সার নিক কার্টারের নির্দেশে মার্চ মাসে ঐ মূল্যায়নপত্র তৈরি করা হয়। জানা যায়, ইউক্রেনে চালানো এক প্রশিক্ষণ মহড়ার ভিত্তিতে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যুক্তরাজ্যের প্রভাব ও আমাদের জনগণ উভয়কে রক্ষার প্রস্তুতির উন্নতি ঘটাতে সম্ভাব্য দৃশ্যপট নিয়মিত পর্যালোচনা করে থাকে। রিপোর্টে ফেসবুক ও টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত প্রতারণামূলক অনলাইন কৌশলগুলো সম্পর্কে সৈন্যদের আরও সচেতন করে তোলার সুপারিশ করা হয়। সৈন্যদের মহড়াকালে ইলেক্টিক্যাল যন্ত্রপাতি বাসভবনে রেখে যাওয়া উচিত বলে রিপোর্টে মত ব্যক্ত করা হয়। রিপোর্টে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার অন্যতম লক্ষ্য ছিল যুদ্ধের নতুন নতুন পদ্ধতি অনুশীলন করা এবং আধুনিক ও নিষিদ্ধ অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা চালানো। এটি ইনসাইটস টু ‘ট্রেনিং স্মার্টার’ এ্যাগেইনসট এ হাইব্রিড এ্যাডভারসারি নামে পরিচিত। যুক্তরাজ্য কিভাবে রাশিয়ার ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধকলা, ড্রোন, কার্যক্রম প্রচার ও গোলন্দাজ ইউনিটের নতুন মিশ্র কৌশলের মোকাবেলা করতে পারে, রিপোর্টে তা বলা হয়। ন্যাটোর এক সময়কার শীর্ষ ব্রিটিশ অফিসার জেনারেল স্যার রিচার্ড শিরেফ বলেন, আমরা পরম্পরাগত সরকারগুলোর কাছ থেকে যা পাচ্ছি, তা সবই খুব ভাল, আর আমরা ভাল করছি না। তিনি বলেন, বাস্তব কথা হলো, আমাদের সামর্থ্য নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
×