ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রেলওয়ে পাকশী বিভাগ রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১০ আগস্ট ২০১৬

রেলওয়ে পাকশী বিভাগ  রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ

তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ্বরদী ॥ বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিগত অর্থবছরের তুলনায় অতিরিক্ত ২১ কোটি ১৫ লাখ টাকা আয় করলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। যাত্রী, পার্শ্বেল, গুডস পরিবহন এবং সান্ডিস, ট্রাফিক, এস্টেট ও বিদ্যুত বিভাগের মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আয় করা সম্ভব হয়েছে ২৬৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয় করা হয়েছিল ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পশ্চিমঞ্চল রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক ও পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রমতে, যাত্রী, পার্শ্বেল, গুডস পরিবহন এবং সান্ডিস, ট্রাফিক, এস্টেট ও বিদ্যুত বিভাগে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয় করা হয় ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যাত্রী সেবার মান ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে কর্ম তৎপরতা জোরদার করা হয়। পাশাপাশি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় গত জুন/১৬ পর্যন্ত পাকশী বিভাগে রাজস্ব আয় করা হয় ২৬৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২১ কোটি ১৫ লাখ টাকা কম। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। রেলওয়ের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, কতিপয় জিআরপি পুলিশ, টিটি, গার্ড, পাওয়ার কার স্টাফ ও এটেন্ডেন্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং অনিয়মের কারণে যাত্রী পরিবহনে কাক্সিক্ষত রাজস্ব আয় করা সম্ভব হয়নি। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খায়রুল আলম ও পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আফজাল হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী, লালমনিরহাট ও বিভাগীয় হেড কোয়ার্টারের অধীনে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন ও অবহেলার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নজর রাখা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় লোকবল কম থাকা সত্ত্বেও সীমিত সাধ্যের মধ্যেই সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় যাত্রী সেবার মান ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিরও চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
×