ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধনীদের ওপর কর কমাবেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১০ আগস্ট ২০১৬

ধনীদের ওপর কর কমাবেন ট্রাম্প

কর কমানো ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক নীতি তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সবশ্রেণী বিশেষ করে ধনীদের ওপর বেশি করে কর কমানোর কথা বলেছেন। তার এই ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের কর হ্রাস পরিকল্পনায় কেবল ধনী এবং বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোই লাভবান হবে। সোমবার ডেট্রয়টে ট্রাম্প বলেন, তিনি বাণিজ্যিক কর কমানো ও এ সম্পর্কিত বিধিমালা সহজ করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ওপর থেকে করের বোঝা লাঘব করতে চান। তিনি বলেন, তিনি চান কর ব্যবস্থা আরও সহজীকরণ করতে, আমেরিকার জ্বালানি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা এবং বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তিগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে। অর্থনীতি বিষয়ক নীতিমালা তুলে ধরার জন্য ট্রাম্প ডেট্রয়েট শহর বেছে নিয়েছেন। কারণ এ শহরে বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের বাস। এর মধ্য দিয়ে তিনি এ বার্তাটি দেন যে তার রাজনৈতিক কর্মসূচীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো শ্রমজীবী মানুষ। তবে তার বক্তৃতার সময় সমাবেশ স্থলে আশপাশে অনেকে বিক্ষোভ করে। ট্রাম্প সে কথাই বলেন যা দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকানরা কংগ্রেসে বলে আসছিলেন। এর মধ্যে ছিল ধনীদের ওপর থেকে ব্যাপকমাত্রায় করভার লাঘব ও করবিধি সহজীকরণ। তবে তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিগুলো থেকে বেরিয়ে আসার ওপর বেশি সময় ধরে বক্তব্য রাখেন। ট্রাম্প মনে করেন এটি করা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর কোন উপায় নেই। ট্রাম্প যে করনীতি তুলে ধরেন রিপাবলিকান সদস্যরা চলতি বছরই প্রতিনিধি পরিষদে তা উত্থাপন করেন। এতে ধনীদের ওপর বিদ্যমান করের বোঝা ৩৯.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৩ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়। তিনি রিপাবলিকানদের ভাষায় ‘মৃত্যু কর’ বা সম্পত্তি কর বাতিল প্রত্যাহারের কথাও বলেন। তবে এ ব্যাপারে বিশদ কিছু উল্লেখ করেননি। ট্রাম্প শিশুদের প্রতিপালন খরচের ওপর কর ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করেন। বিষয়টি শ্রমজীবীদের আকর্ষণীয় মনে হলেও মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীই এ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ তাদের এ খাতে বেশি খরচ বেশি হয়ে থাকে, শ্রমজীবীদের খরচ হয় তুলনামূলকভাবে কম। কর্পোরেট আয়কর বিদ্যমান ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন ট্রাম্প। এছাড়া তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চান বলে জানিয়েছেন। কারণ তার মতে, এই চুক্তি উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান নাশ করবে। ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গে নির্বাচনী জনসভায় হিলারি ট্রাম্পের অর্থনীতি বিষয়ক বক্তৃতার জবাব দেন। তিনি বলেন, আপনার কেউ তাকে ভোট দেবেন না। ট্রাম্প যে অর্থনৈতিক নীতিমালা তুলে ধরেছেন তা কেবল ধনীদের উপকৃত করবে। কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির সামগ্রিক শ্রীবৃদ্ধি সামান্যই হবে। ট্রাম্পের কর পরিকল্পনায় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ধনীদের বিশাল কর রেয়াত। ফলে অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে দেশ আবার মন্দা কবলিত হবে। হিলারি বলেন, আপনি আমাকে একবার বোকা বানান, এটি আপনার জন্য লজ্জার। কিন্তু আমাকে দ্বিতীয় বারের মতো যদি বোকা বানান সেটি আমার জন্য লজ্জার। হিলারি বলেন, তিনি অবকাঠামো ও শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়িয়ে জনগণের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়াতে চান। বৃহস্পতিবার ডেট্রয়েট ইকনোমিক ক্লাবে নিজের অর্থনৈতিক নীতিমালা তুলে ধরবেন হিলারি। Ñনিউইয়র্ক টাইমস
×