ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৩৪ কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৯ আগস্ট ২০১৬

৩৪ কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ৩৪ কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধ এবং বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০ ওষুধ কোম্পানি ও এ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনকারী ১৪ প্রতিষ্ঠানকে সোমবার এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার। আদেশের পর এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধরণ সম্পাদকসহ বিবাদীদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখনও ওই ৩৪ কোম্পানির ওষুধ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে আবেদন করা হলে আদালত আদেশ দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক আবেদনে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৭ জুন ওই ২০ কোম্পানিকে সাত দিনের মধ্যে ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ১৪ কোম্পানিকে একই সময়ের মধ্যে এ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ৩৪ কোম্পানির অনুমোদন বাতিলে ‘বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা’ কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এবং এসব কোম্পানির লাইসেন্স ও এ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমোদন কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়। চার কোম্পানির বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকে। ২০ কোম্পানির সব ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে, সেই কোম্পানিগুলো হলো এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা লিমিটেড, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ড্রাগল্যান্ড লিমিটেড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড, জলপা ল্যাবরেটরিজস লিমিটেড, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ড্রাগ ফার্মা লিমিটেড, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, রিমো কেমিক্যালস লিমিটেড (ফার্মা ডিভিশন), রিড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টুডে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এছাড়া ১৪ কোম্পানির এ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল ড্রাগস এ্যান্ড কেমিক্যালস (ফার্মা) লিমিটেড, ব্রিস্টল ফার্মা লিমিটেড, ক্রিস্টাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এমএসটি ফার্মা এ্যান্ড হেলথকেয়ার লিমিটেড, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, ফিনিক্স কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি লিমিটেড, রাসা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সেভ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
×