ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুতিন-এরদোগান বৈঠক আজ

রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৯ আগস্ট ২০১৬

রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা

অনেক সময় দুজন ভাল বন্ধুর মধ্যেও সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। আবার সেই সম্পর্ক জোড়াও লাগে। গত বছর নবেম্বরে সিরিয়া সীমান্তের কাছে রাশিয়ার একটি জঙ্গী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল তুরস্ক। ওই ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন দুজনই একে অন্যের বিরুদ্ধে বাগ্যুদ্ধ চালিয়ে যান। খবর এএফপির। এই ঘটনার ছয় মাস যেতে না যেতেই এরদোগান দুঃখ প্রকাশ করেন এবং মস্কোও তা গ্রহণ করে। পুতিন ও এরদোগান দুজনই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে অগ্রসর হতে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে দুই নেতা মঙ্গলবার রাশিয়ার সেন্ট পিটাসবার্গে বৈঠকে বসছেন। আশা করা হচ্ছে, দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক বিমান ভূপাতিত করার আগে যেমন ছিল সেই অবস্থানে যাবে। তুরস্কে সরকার উৎখাতের চেষ্টায় ১৫ জুলাই সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর বিদেশী নেতাদের মধ্যে পুতিনই প্রথম এরদোগানকে ফোন করেন। ব্যর্থ অভ্যুত্থান পরবর্তী এরদোগানের দমনাভিযানগুলোর যে রকম সমালোচনা পশ্চিমা দেশগুলো করেছে রাশিয়া সেটি করেনি। ব্যর্থ অভ্যুত্থান পরবর্তী তুরস্কের কঠোর পদক্ষেপগুলোর প্রতি রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া যে, তুরস্কের পশ্চিমা মিত্রদের চেয়ে বিপরীত ছিল ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) জেফরি ম্যানকফও তাই মনে করেন। অতীত ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলেও দেখা যায় দুই দেশের সম্পর্ক কখনই এতটা মধুর ছিল না। কৃষ্ণসাগরের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তুরস্কের সাবেক অটোমান ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে প্রায় তিন শতাব্দী ধরে যুদ্ধ চলেছে। বিমান ভূপাতিত করার আগেও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ও ইউক্রেন নিয়ে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। তবে মস্কো ও আঙ্কারা উভয়ই চেষ্টা করেছে এই মতপার্থক্য যেন দুই দেশের কৌশলগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না করে। এর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক থেকে রাশিয়া হয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ ও রুশ সহায়তায় তুরস্কে একটি পরমাণু বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়। সব মিলিয়ে ঘটনা পরম্পরায় এরদোগান ও পুতিন এই দুই নেতা যেন পরস্পরের আরও কাছাকাছি চলে এসেছেন।
×