ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় টাঙ্গাইলে ৪৩৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৯ আগস্ট ২০১৬

বন্যায় টাঙ্গাইলে ৪৩৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ বন্যার পানির কারণে জেলায় ৪৩৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অন্যাদিকে পরীক্ষা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বন্যাকবলিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ। গত ২ আগস্ট থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বন্যা এলাকায় ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে কালিহাতী উপজেলার ১৭২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে ৮ উপজেলার হাইস্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজসহ ১৪৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে নাগরপুরে ৬৪, ভুঞাপুরে ২২, সদর ২৪, বাসাইলে ৪, সখীপুরে একটি, মির্জাপুর ৪, দেলদুয়ারে ১২, কালিহাতীতে ১৬ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার শফীউল্লাহ জানান, বন্যায় টাঙ্গাইলে ১৪৭ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা যায় এ ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলার মধ্যে ৮ উপজেলার ২৮৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ রয়েছে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টাঙ্গাইল সদরে ৬৫, দেলদুয়ারে ৫১, ভুঞাপুরে ৫৪, নাগরপুরে ১৬, কালিহাতীতে ২৬, বাসাইলে ৮, মির্জাপুরে ৩, গোপালপুরে ২ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, বন্যার কারণে স্কুলে পানি ঢুকে পড়ায় ২৮৯ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢোকায় ব্যাহত হচ্ছে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। যে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু করা যায়। এদিকে কালিহাতী উপজেলার ১৭২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে ২৮ বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাসার উদ্দিন জানান, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা গত ২ আগস্ট থেকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এবারের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ২৮ বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণীকক্ষে পানি ওঠায় এবং যাতায়াত ব্যবস্থা অনুপযোগী হওয়ায় পাঠদানসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে পানি নেমে গেলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
×