ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানসিকভাবে এগিয়ে থাকাটাই সোনা জেতাতে সহায়তা করেছে ॥ থ্রেশার

প্রকাশিত: ০৭:১২, ৮ আগস্ট ২০১৬

মানসিকভাবে এগিয়ে থাকাটাই সোনা জেতাতে সহায়তা করেছে ॥ থ্রেশার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অলিম্পিকের অভিষেকেই দ্যুতি ছড়ালেন ভার্জিনিয়া থ্রেশার। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল থেকে রিও অলিম্পিকের প্রথম সোনা জিতলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শূটার। শনিবার রিও ডি জেনিরোর ডিওডোরো শূটিং রেঞ্জে ক্রীড়া জগতের মহাযজ্ঞ হিসেবে খ্যাত রিও অলিম্পিকের প্রথম স্বর্ণপদক জিতে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসলেন ১৯ বছর বয়সের এই তরুণী। আনুষ্ঠানিকভাবে রিও অলিম্পিক উদ্বোধনীর দিনেই ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ২০৮ স্কোর করে স্বর্ণপদক জয়ের স্বাদ পান ভার্জিনিয়া থ্রেশার। এই ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছেন দুলি। যিনি ২০০৪ সালের এ্যাথেন্স অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। আর লন্ডন অলিম্পিকের চ্যাম্পিয়ন ই শিলিং এবার রিওতে ব্রোঞ্জপদক জিতলেন। ক্রীড়া জগতের গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত অলিম্পিক। প্রতিপক্ষ হিসেবে তার সামনে বড় বাধা ছিলেন বর্তমান ও সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন। তারপরও অনায়াসেই স্বর্ণপদক জিতে নিলেন তিনি। এর রহস্য হিসেবে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকার কথাই বললেন ভার্জিনিয়া থ্রেশার। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার তরুণ প্রতিভাবান এই শূটার বলেন, ‘১০ মিটার এয়ার রাইফেলের হিটে যে কেউ সহজেই অংশ নিতে পারে। তবে বড় ইভেন্টে ১০ মিটারে শূট করাটা খুব কঠিন কাজ। মানসিকভাবে আপনাকে ওস্তাদ হতে হবে। নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে ফলাফলের কথা না ভেবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ ভার্জিনিয়া থ্রেশারের কোচ জন হাম্মন্ড। শিষ্যের স্বর্ণ জয়ের উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে গেছে তার হৃদয়কেও। তবে জন হাম্মন্ডের মতেও থ্রেশার খুব মনোযোগী ছাত্র। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে যে কোন ইভেন্টকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। কোন প্রতিযোগিতায় কিংবা অনুশীলনেও তার জন্য পরিপূর্ণ মনোযোগ দেয়াটা খুবই সহজ কাজ।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ সদস্যের শূটিং দলের সর্বকনিষ্ঠ হলেন, ভার্জিনিয়া থ্রেশার। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মজার বিষয় হলো, পাঁচ বছর আগে দাদার সঙ্গে হরিণ শিকার করতে গিয়ে শূটিংয়ের প্রেমে পড়েন তিনি। এরপর থেকেই প্রতিযোগিতায় মনোযোগ দেন থ্রেশার। মূলত ভালবেসে শূটিংয়ে নাম লেখানো এই আমেরিকান অলিম্পিক নিয়ে কিছুদিন আগেও এতটা মাথা ঘামাননি। গত মাসে আমেরিকার অলিম্পিক দলে জায়গা পাওয়ার পরই তিনি বলেছিলেন, ‘আসলে আমি অলিম্পিক নিয়ে এতটা সচেতন ছিলাম না। জানতাম যে শূটিংটা অলিম্পিকের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ইভেন্ট কিন্তু কখনই এমনভাবে চিন্তা করিনি। ও আচ্ছা, আমি তাহলে অলিম্পিকে যাচ্ছি। তবে প্রকৃতপক্ষে আমি শূটিংটা ভালবেসেই খেলি।’ আর সেই ভালবেসে খেলা শূটিংয়ের প্রথম স্বর্ণ পদকটাই জিতে গোটা বিশ্বকেই চমকে দিলেন ভার্জিনিয়া থ্রেশার।
×