ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাকারিয়া স্বপন

২০১৬ সালের সেরা ৭টি প্রযুক্তি ট্রেন্ড

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৮ আগস্ট ২০১৬

২০১৬ সালের সেরা ৭টি প্রযুক্তি ট্রেন্ড

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে সবাই যেভাবে জঙ্গী আতঙ্কে ছিল, সেই ডামাডোলে পড়ে আমি নিজেও অন্য কিছু দেখার খুব একটা সুযোগ পাইনি। পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও হাইটেক শিল্পে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। দেশের প্রথম মোবাইল কোম্পানি সিটিসেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা (এখন শুনছি আবার দেন-দরবার চলছে), রবি-এয়ারটেল একত্রীভূত হওয়ার অনুমতি প্রদান, ৩৫টি ওয়েবসাইটকে ব্লক করে দেয়া ইত্যাদি অনেক কিছুই ঘটে গেছে। এই প্রত্যেকটি ইস্যুই বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে। দেশের প্রথম মোবাইল কোম্পানিটি কী কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাদের অপারেশনের অডিট রিপোর্ট কী বলে, তাদের আয়-ব্যয় এবং সরকার তার থেকে প্রাপ্য ফি আদায় করতে পেরেছে কি না, গ্রাহকদের অধিকার কী- এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর হতে পারে। পাশাপাশি দেশে অনেক সংবাদপত্রের মতো ওয়েবসাইটও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছে, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তাই তাদের বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই ওয়েবসাইটগুলোর বেশিরভাগের নামই শুনিনি আমি। তারা কিভাবে এত প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে এবং সেগুলোকে বন্ধ করলে তা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে সমস্যা কোথায়- ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সুস্থ আলোচনা হতে পারত। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আপাতত লিখছি না, কারণ এগুলো নিয়ে লিখে এ দেশে কোন লাভ নেই। এই দেশে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা দলকানাতে গিয়ে ঠেকেছে। তার থেকে পাঠককে বিশ্বের অন্য কিছু সম্পর্কে তথ্য দিলে সেটা বেশি কাজে লাগতে পারে। এ সপ্তাহেই বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০১৬ সালের সেরা ৭টি প্রযুক্তি ট্রেন্ড সম্পর্কে আলোকপাত করেছে। আর্টিকেলটা পড়ে মনে হলো, পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করা যেতে পারে। তাই সেই ট্রেন্ডগুলো সম্পর্কে লিখে দিচ্ছি, যা আমাদের জীবনকে নানাভাবে ছুঁয়ে যাবে। তবে এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভাল যে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কাজ হচ্ছে ইন্টারনেট নিয়ে এবং এর অনেক কিছুই আমাদের ব্যবসা এবং জীবনধারণ করার পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। ১. লাইভ স্ট্রিমিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসছে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে। আমরা সবাই ইতোমধ্যেই ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে পরিচিত হয়ে গেছি। তবে ফেসবুকের পাশাপাশি টিউইচ (যঃঃঢ়ং://িি.িঃরিঃপয.ঃা), পেরিস্কোপ (যঃঃঢ়ং://িি.িঢ়বৎরংপড়ঢ়ব.ঃা) এবং এই ধরনের অন্য সেবাগুলো দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সেবাগুলো পরীক্ষা করে দেখেছি। এক কথায় দারুণ। আমরা যারা এতদিন ইউটিউবে ভিডিও এবং লাইভ নিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতাম, সেই দিনগুলো শেষ হয়ে গেল। এখনকার সময়ের লাইভ ভিডিও যে কোন মানুষ তার স্মার্টফোন থেকে এত ভাল মানের স্ট্রিমিং করতে পারে যে, তা মানুষকে ভিন্ন মাত্রায় যুক্ত করছে। একজন মানুষ আকাশ থেকে শূন্যে পড়ছে, কিংবা কোন পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে সেটা লাইভ স্ট্রিমিং করছে, সেটা কি একজন সাংবাদিকের পক্ষে সচরাচর সম্ভব ছিল? ইন্টারনেটের যুগে এখন প্রতিটি মানুষই যে একেকজন সাংবাদিকের ভূমিকায় চলে যাচ্ছেন তার নতুন ফর্ম হলো লাইভ স্ট্রিমিং। মানুষ যত বেশি হাইস্পিড ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হবে, তত বেশি এই ধরনের প্রযুক্তির বিকাশ ঘটবে। একটা সময় ছিল আমরা কোথাও গিয়ে ফিল্মে ছবি তুলতাম। তারপর এলো ডিজিটাল ক্যামেরা, সেখান থেকে স্মার্টফোনে ক্যামেরা; আর এখন সেটা ভিডিওতে রূপ নিয়েছে। শুধু ভিডিও ধারণ করে পরবর্তী সময় দেখার জন্য নয়, সরাসরি দেখার জন্য। এভাবে প্রযুক্তি উন্নয়ন হতে থাকলে একটা সময় টেলিভিশনগুলোর দর্শক পাওয়া আসলেই মুশকিল হবে। আমাদের ঘরে বড় একটি পর্দা থাকবে ঠিকই; কিন্তু বেশিরভাগ কনটেন্ট আসবে আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে, টিভি স্টেশন থেকে নয়। ২. ভার্চুয়াল রিয়ালিটি মার্ক জাকারবার্গ তার আগামী দশ বছরের পরিকল্পনার ভেতর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন ভার্চুয়াল রিয়ালিটির ওপর। এই বিষয়টি নিয়ে আরও দশ বছর আগে লিখলে মানুষ ভাবত বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লিখছি। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে আমি যখন লিখেছিলাম ‘আমাদের একটি ছেলে আমেরিকায় থাকবে, আর তার মা থাকবে বাংলাদেশে এবং তারা এমনভাবে ঈদ করবে যেন বুঝতেই পারবে না তারা দুই দেশে এতটা দূরত্বে আছে’- তখন মানুষ এটাকে পুরোপুরি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ভেবেছিল। কিন্তু সেগুলো আজ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। এত দ্রুত এই বিষয়গুলো আমাদের জীবনে চলে আসবে সেটা আমরা হয়ত ভেবে রাখিনি। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেক বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে এই খাতে। বিশেষ করে ফেসবুক কর্তৃক অধিকৃত ‘ওকালাস’ এবং এইচটিসির ‘ভাইভ’ যেভাবে নতুন প্রজন্মের ডিভাইস নিয়ে এসেছে, তাতে করে সিনেমা হলে গিয়ে মানুষ মুভি দেখবে কেন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু কি সিনেমা দেখা? আপনার চারপাশের যে কোন বিষয়কেই যদি ভার্চুয়াল পরিবেশে আপনার সামনে নিয়ে আশা হয় এবং আপনি তার ছোঁয়া অনুভব করতে পারেন তা হলেই তো হয়ে গেল। আপনি আপনার বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরবেন, মা-বাবাকে বুকে নেবেন কিংবা প্রেমিকাকে আদর করবেন- দু’জন মানুষ পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসে যদি একইভাবে সেটা অনুভব করতে পারে তাহলে কী সাংঘাতিক একটা বিপ্লব ঘটে যাবে এই গ্রহে! আর এর ভেতর যারা ‘পোকেমন গো’ খেলেছেন তারা তো বুঝতেই পারছেন কিভাবে বাস্তব আর পরাবাস্তবকে এক করে দিয়েছে সেই গেম। এখন এই গেমটি নতুন নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে হাজির হয়েছে আমাদের জীবনে। আমি তো প্রায়ই ভাবি, যার সঙ্গে ফোনে, ভাইবারে কিংবা হোয়াটস-এ্যাপে কথা হচ্ছে, তার সঙ্গে যদি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি করতে পারতাম! আমি যে ঘরে হেঁটে যাচ্ছি, কিংবা সে যেই সমুদ্রের পাড়ে হেঁটে যাচ্ছে, যদি আমিও তার হাত ধরে পূর্ণিমার রাতে একটি সমুদ্রের পাড়ে হেঁটে যেতে পারতাম, কেমন হতো! আশা করছি সেই অনুভূতিটুকু দেখে যেতে পারব! ৩. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ কাজ করছে এবং বিভিন্ন সময় নতুন উদ্ভাবনীতে আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। আমার এখনও মনে আছে, যখন একটি কম্পিউটার দাবা খেলায় প্রথম একজন মানুষকে হারিয়ে দিয়েছিল, সেদিন মিডিয়া হেডলাইন করেছিলÑ যন্ত্রের কাছে হেরে যাচ্ছে মানুষ। পরক্ষণেই মানুষ আশা নিয়ে বলতে শুরু করে, না না, মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী আর কেউ হতে পারে না। যে মানুষ তৈরি করেছে যন্ত্র সে কি কখনও মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধি ধারণ করতে পারে? কিন্তু সেই আশার বাণী ভিন্ন দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। যন্ত্র আসলেই এমন বুদ্ধিমান হয়ে উঠছে যা মানুষের ব্রেনে আর কুলাচ্ছে না। আমরা দিনকে দিন যন্ত্রকে ক্ষমতাশালী করে তুলছি। যন্ত্রের বড় শক্তি হলো তার কম্পিউটিং ক্ষমতা, যা মানুষের ব্রেনের চেয়ে দ্রুত হয়ে গেছে। পাশাপাশি যেখানে দেয়া হয়েছে এমন পরিমাণ মেমরি যা মানুষের পক্ষে ধারণ করা অসম্ভব। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঠিক কী হয়েছিল আমি আপনি যতটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারব যন্ত্র আরও নিখুঁতভাবে তা করতে পারবে এবং আজ থেকে ১০০ বছর পর আরও ভালভাবে পারবে। কিন্তু আমরা কি আগামী ১০০ বছরে ব্রেনে সেটা ধারণ করে রাখতে পারব? কেউ কেউ বলছেন, নাহ্ মানুষই তো সেগুলো ব্যবহার করবে। যন্ত্র তো আর আমাদের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে পারবে না। কিন্তু যেভাবে এগোচ্ছে, সেটাও হয়ত সম্ভব হয়ে যেতে পারে। তবে আপাতত মানুষের কল্যাণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। আগামী দশকেই আমরা অনেক বেশি ফলাফল দেখতে পাব। ৪. ইন্টারনেট-অফ-থিঙ্কস নামটা একটু কঠিন, তবে বিষয়টি মোটেও কঠিন কিছু নয়। আপনার ঘরে যে যন্ত্রপাতিগুলো আছে সেগুলো এখন ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত নয়। কারও কারও টিভি হয়ত যুক্ত। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেক বিনিয়োগ হচ্ছে ঘরের যাবতীয় বিষয়কে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কাজে। অর্থাৎ আপনার ঘরের ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েব ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, রাইস কুকার, ঘরের বাতির সুইচ, ফ্যান, এয়ারকন্ডিশনার ইত্যাদি যন্ত্র যখন ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হবে, তখন অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটবে। যেমন ফ্রিজে খাবার শেষ হয়ে গেছে, ফ্রিজ নিজেই সেটা অর্ডার করে রাখতে পারবে। আপনি ওয়াশিং মেশিনটি ছেড়ে ঘরের বাইরে চলে এসেছেন। আপনি অফিসে বসে দেখতে পাবেন ওর কাজ শেষ। তখন ওখানে বসেই চাইলে সেটা বন্ধ করতে পারেন, নয়ত আরেকটি ধাপে কাপড় ধোয়া চালু করতে পারেন। আপনি দিন শেষে ঘরে ঢুকেছেন, আপনার কী কী লাগবে, কোথায় কী আছে সেগুলো জানিয়ে সাহায্য করতে পারে ছোট রোবট, যা আপনার ঘরের স্বামী/স্ত্রীও হয়ত করে দিতে পারবেন না। এমন সব মজার বিষয় ঘটতে যাচ্ছে এই দশকেই। প্রস্তুত থাকুন এর জন্য। ৫. বিগ ডাটা বিগ ডাটা নিয়ে বিনিয়োগ যদিও এই ২০১৬ সালের নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এটা নিয়ে কাজ করছিল; কিন্তু বর্তমান সময়ে এর ব্যবহার চরম আকারে বেড়ে গেছে। অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন, ডাটা তো ডাটাই, সেখানে বিগ আর স্মল কি? খুব সহজভাবে বললে বিগ ডাটা হলো মূলত গ্রাহকদের বিস্তারিত কর্মকা- সংগ্রহ করে রাখা এবং তার ওপর ভিত্তি করে গ্রাহককে পণ্য বা সেবা প্রদান করা। ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করলেন। সেই কোম্পানিটি আপনার যাবতীয় ক্লিক রেকর্ড করে রাখল। সে আসলে জেনে গেল আপনি কী ধরনের বিষয় পছন্দ করেন। পরবর্তী সময় সেই ধরনের বিষয়কেই আপনাকে দেখাবে, কারণ আপনার আগ্রহ সেইদিকে। আপনি যদি খেলাধুলা পছন্দ করেন তাহলে আপনাকে রাজনীতির বিষয়গুলো দেখিয়ে কোন লাভ নেই। আবার আপনি যদি বই পড়তে ভালবাসেন, আপনাকে আপনার পছন্দ হতে পারে এমন বইয়ের তালিকা দেখানোটাই শ্রেয় হবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে কোম্পানিগুলোকে বিশাল আকার তথ্য সংগ্রহ করতে হয়, যার পরিমাণ দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের প্রতিদিনের তথ্যকে সংগ্রহ এবং সঠিক উপায়ে রাখতে এতদিন হিমশিম খাচ্ছিল এই গ্রহের মানুষ। তবে ধীরে ধীরে এগুলোই আমাদের জীবনে প্রবেশ করে যাচ্ছে। খরচ যত হোক, এগুলো নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। ৬. এ্যাপ স্ট্রিমিং ব্যবহারকারীরা গত কয়েক বছর ধরে এটা ব্যবহার করলেও ঠিক সেভাবে বিষয়টি উঠে আসেনি। বিষয়টি হলো এমন যে, একটি এ্যাপ ডাউনলোড না করেই একজন ব্যবহারকারী সেটা ব্যবহার করতে পারছেন। বিশেষ করে গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে এ্যাপটাকেই স্ট্রিমিং করে দিচ্ছে। ধরুন আপনি একটি ‘আবহাওয়া’ বিষয়ক এ্যাপ ব্যবহার করেন। এখন আপনি খুঁজছেন ঢাকা শহরের আগামী তিন দিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে। এই বিষয়ে সার্চ করলে গুগল আপনাকে সেই এ্যাপটি ওয়েবসাইটে দেখিয়ে দিতে পারে এবং আপনি এ্যাপটির পুরো সুবিধা ওখানে বসেই নিতে পারেন। অর্থাৎ সেই এ্যাপটি আর আপনার স্মার্টফোনে ডাউনলোড করার প্রয়োজন নেই। মূলত গুগল এই সুবিধাটি দিয়ে যাচ্ছে এবং ২০১৬ সালে এর ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে যাচ্ছে। অনেক সময় ব্যবহারকারী বুঝতেই পারেন না যে, তিনি একটি এ্যাপ ব্যবহার করছেন। এই সুবিধাটি সফটওয়্যার প্রস্তুতকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ৭. এ্যাপের ভেতরে অভিজ্ঞতা বর্তমান সময়ের বড় এ্যাপগুলো তাদের গ্রাহককে ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয় যুক্ত করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকদের এ্যাপ ব্যবহার আরও সুখকর হয়ে উঠছে। সামাজিক যোগাযোগের এ্যাপগুলো এত বেশি সুবিধা দিতে শুরু করেছে যে, প্রতি কয়েকমাস পরপরই ব্যবহারকারীরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে সেগুলো আমাদের চাহিদাকেও অতিক্রম করে যাচ্ছে। এ্যাপের এই ক্রমবর্ধমান ফিচার চলতেই থাকবে এবং এর মাধ্যমেই পৃথিবী নতুন আরেক সময়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। উপরের এই যে ৭টি বিষয় যা ফোর্বস ম্যাগাজিন মনে করছে ২০১৬ সালকে সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তি খাতে প্রভাবিত করছে, তা কিন্তু আমাদের জীবন এবং ব্যবসাকেও প্রভাবিত করছে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য এবং স্ট্র্যাটেজি না থাকলে দেখা যাবে আপনার প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান আপনার চেয়ে ভাল করছে। বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য চাই প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রযুক্তির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক। আরও জানার চেষ্টা করুন বর্ণিত বিষয়গুলো। এগোতে থাকুন সময়ের সঙ্গে। ৬ আগস্ট ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ [email protected]
×