ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণ

ফ্রান্সকে কি পুরোপুরি নিরাপদ রাখা যাবে?

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৮ আগস্ট ২০১৬

ফ্রান্সকে কি পুরোপুরি  নিরাপদ রাখা যাবে?

ফরাসী সৈন্যরা আগস্ট মাসের ছুটির দিন সমুদ্রোপকূলে টহল দিচ্ছে। সন্ত্রাসী বলে সন্দেহভাজন হাজার হাজার লোকের জন্য গুয়ানতানামো ধরনের কারাগার স্থাপনের বিষয়েও কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মসজিদগুলোর জন্য বিদেশী তহবিল আসা বন্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এখনকার কথা বলতে গেলে, সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেছে। অথবা চলতি গ্রীষ্মকালের সন্ত্রাসী হামলাগুলোর পর সেসব প্রস্তাব সামান্যই গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু এসব প্রস্তাব যে আদৌ উত্থাপিত হয়েছে, সেটিই নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান পেতে ফ্রান্সের হিমশিম খাওয়ার অবস্থায়ই ইঙ্গিত বহন করে। দেশটিতে আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে শরৎকালেই প্রচার অভিযান শুরু হয়ে যাবে। তখন ফ্রান্স কিভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করবে, তা নিয়ে বিতর্ক তুমুল রূপ নেবে। ইসলামী চরমপন্থীদের হামলার লক্ষ্যস্থল হিসেবে ফ্রান্সের অবস্থানের এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে: এর নিজস্ব নাগরিকরাই প্রায়ই হামলাগুলো চালিয়েছে। ফ্রান্সের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৭ দশমিক ৫ ভাগ মুসলিম। তারা ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাদের এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশই দেশটির অস্বস্তির কারণ হয়ে রয়েছে। সরকার এরই মধ্যে জরুরী অবস্থার ঘোষণার আওতায় লোকজনের ওপর নজরদারি ও তাদের গৃহবন্দী রাখার ব্যাপক ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছে। এখনকার কথা বলতে গেলে, সেপথে আরও এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষার আবেদনের কাছে টিকতে পারছে না। দীর্ঘদিন পুলিশী অভিযান, লোকজনকে গৃহবন্দী রাখা এবং ঐ হুমকি রোধের উপায় নিয়ে সীমাহীন পার্লামেন্টারি বিতর্কের পর, এমনকি কড়া ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের কাছ থেকেও ফরাসীদের প্রাত্যহিক জীবনে পুলিশের আরও হস্তক্ষেপের পক্ষে স্থায়ী যুক্তি দেয়া হয়নি। ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস লা মঁদে পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বলেন, প্রজাতন্ত্রই বিপন্ন, আর গণতন্ত্রই আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহ। তিনি আরও দমনমূলক নীতি গ্রহণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। তার বিচারমন্ত্রী জ্যাঁ জ্যাক আরভোয়াস ব্যাপক সংখ্যক ব্যক্তিকে নিবৃত্তিমূলক আটকাদেশের আওতায় আনার পক্ষে মধ্য-ডানপন্থীদের আহ্বান অগ্রাহ্য করেন।
×